তিল চাষে সম্ভাবনাময় এলাকা ঘাটাইলের পাহাড়ি অঞ্চল
তিল চাষের অনেক সুবিধা। সেসব সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে টাংগাইলের ঘাটাইল উপজেলার পাহাড়ি এলাকার কৃষকেরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। কয়েক বছর ধরে এসব পাহাড়ি এলাকায় জমে উঠেছে তিলের চাষ ও বাজার।
উপজেলার ধলাপাড়া, সাগরদিঘী ও গারো বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি ১ মণ তিল বিক্রি হচ্ছে ধরন অনুযায়ী ২,৫০০-৪,০০০ টাকা।
তিল চাষে বেশি লাভবান হওয়ার অনেক সম্ভাবনা থাকলেও বাণিজ্যিকভাবে এর প্রচার-প্রসার ততোটা হয়নি। ফলে কৃষকেরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল এ ফসল থেকে। দুই যুগ আগেও পাহাড়ি বা উঁচু জমিগুলোতে তিল চাষ হতো।
তিলের বৈজ্ঞানিক নাম (Sesamum indica)। তিল এমন একটি ফসল যা কোন প্রকার সার-বিষ ও সেচ ছাড়াই অতি সহজে ফলানো যায়। এমনকি আগাছা দমনেরও খুব একটা প্রয়োজন পড়ে না। সাধারণত খরিপ-১ (ফাল্গুন থেকে আষাঢ়) ও খরিপ-২ (আষাঢ় থেকে ভাদ্র) উভয় মৌসুমে তিল চাষ করা যায়। সঠিকভাবে চাষ করলে হেক্টর প্রতি ৭০০ থেকে ৮০০ কেজি তিল উৎপাদন করা সম্ভব। বর্তমানে এর দেশি চাহিদা ছাড়াও বিদেশি চাহিদা বেড়েছে।
মনির আহম্মেদ নামে শোলাকুড়া গ্রামের এক কৃষক বলেন, ‘আমি তিন বিঘা জমিতে তিল লাগিয়েছি। এগুলো কাটার সময় হয়ে এলো প্রায়। এ বার ৭০-৭৫ হাজার টাকার তিল বিক্রি করবো।’
এছাড়া উপজেলার তুলাবর এলাকার লাল মিয়া নামে এক কৃষক বলেন, ‘এটি একটি খরচ ছাড়া ফসল। পানি দেওয়া লাগে না, সার দেওয়া লাগে না। তাছাড়া তিলের পিঠা খুব সুস্বাদু।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলশাদ জাহান বলেন, ‘আমরা তিল চাষে কৃষকদের আগ্রহী করে তুলছি এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করেছি। এটি একটি পুষ্টিগুণসম্পন্ন ফসল ও অল্প খরচে বেশি লাভাবান হওয়ায় কৃষকরাও ব্যাপক সাড়া দিচ্ছে।’
/এএন