নৌ পুলিশের ইনচার্জ পরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র দে বলেন, মেঘনা ও মেঘনার শাখা নদীতে মা ইলিশ সংরক্ষণে নৌ পুলিশ ও মৎস্য বিভাগের যৌথ অভিযানে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় ৯ জন জেলেকে আটক করা হয়। পরে তাদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ব্রিফিংয়ে কথা বলছেন পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের সাধারণ ক্ষমা চাওয়া এবং স্বাধীনতাপূর্ব বাংলাদেশের সম্পদ ফেরতের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় সম্মত হয়েছে ইসলামাবাদ। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক (এফওসি) শেষে ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন।
ঢাকায় অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দু’দেশই পারস্পরিক সম্পর্ককে সামনে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। বৈঠকে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে তারা অভ্যন্তরীণ আলোচনা চালিয়ে যাবে।
পররাষ্ট্র সচিব জানান, স্বাধীনতাপূর্ব সময়ে পাকিস্তানে রেখে যাওয়া বাংলাদেশের সম্পদের পরিমাণ হিসেবে আনুমানিক ৪ দশমিক ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের দাবি জানিয়েছে ঢাকা। এ বিষয়ে উভয় দেশ আলোচনা শুরু করতে একমত হয়েছে বলে জানান তিনি।
বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়, বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে শিগগিরই সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হবে। দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা এ যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরায় চালুর বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে শুধু রাজনৈতিক ইস্যুই নয়, আলোচনা হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, পরিবহন ও যোগাযোগ উন্নয়ন, আটকে পড়া পাকিস্তানিদের প্রত্যাবাসনসহ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়েও।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “দুই দেশের মধ্যে যেসব বিষয় এখনও অনিষ্পন্ন, সেগুলো দ্রুত সমাধানের তাগিদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। নিয়মিত যোগাযোগ থাকলে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।”
বৈঠকে জানানো হয়, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশহাক দার চলতি মাসের ২৭ ও ২৮ এপ্রিল ঢাকা সফর করবেন। তখন দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের আরও আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে একইদিনে আমেরিকার একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও বৈঠক করেন পররাষ্ট্র সচিব। সেখানে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর আমেরিকান বাজারে উচ্চ শুল্ক আরোপ নিয়ে উদ্বেগ জানানো হয়। পাশাপাশি রোহিঙ্গা সংকটে মার্কিন মানবিক ও রাজনৈতিক সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানায় বাংলাদেশ।
এছাড়াও সার্ক (দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা) সচল করা, চলমান রাজনৈতিক সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও স্বঘোষিত অভিনয়শিল্পী হিরো আলম স্ত্রী রিয়া মনির সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে বগুড়া সদরের এরুলিয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম জানান, দীর্ঘদিন ধরেই স্ত্রী রিয়া মনির সঙ্গে তার সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল। তবে সর্বশেষ তার পালক পিতার মৃত্যুর সময় রিয়ার অনুপস্থিতি এবং উদাসীনতা তাকে ‘মানসিকভাবে ভেঙে দেয়’। এরই প্রেক্ষিতে তিনি রিয়া মনিকে ‘বয়কট’ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং সর্বশেষ ‘তালাক’ দেওয়ার ঘোষণা দেন।
স্ত্রী রিয়া মনির সঙ্গে হিরো আলম। ছবি: সংগৃহীত
হিরো আলম বলেন, “আমি আগেও রিয়াকে অনেকবার মাফ করেছি। কিন্তু এবার সে সীমা ছাড়িয়েছে। আমার বাবা হাসপাতালে ছিলেন, অথচ সে একবারও খোঁজ নেয়নি। আমি তাকে বয়কট করেছি মানে, এখন থেকে কোনো সম্পর্ক আর থাকবে না। আমি ঢাকা গিয়ে তার থেকে আলাদা হয়ে যাব। সে যেসব অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে করছে, সেগুলোর প্রমাণ দিতে হবে।”
এই সময় তিনি পবিত্র কোরআন শরীফ হাতে তুলে নিয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং বলেন, তিনি কোনো অন্যায় করেননি।
প্রসঙ্গত, হিরো আলমের পালিত পিতা আবদুর রাজ্জাক গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর একটি সরকারি হাসপাতালে মারা যান। শৈশবে হিরো আলমকে দত্তক নিয়েছিলেন রাজ্জাক। মৃত্যুর পর পরদিন বগুড়ায় তার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়। হিরো আলম ফেসবুকে লেখেন, “রিয়া মনিকে বয়কট করলাম। কারণ, আমার বাবা হসপিটালে ছিলেন। অথচ রিয়ার পরিবারের কেউ তাকে দেখতে আসেনি।”
অন্যদিকে, হিরো আলমের এসব মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিয়া মনি বলেন, “মানসিকভাবে তিনি (হিরো আলম) ভালো নেই, কারণ তার বাবা মারা গেছেন। আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।”
উল্লেখ্য, একসঙ্গে কাজ করতে গিয়েই রিয়া মনির প্রেমে পড়েন হিরো আলম। এরপর তাকে বিয়ে করেন তিনি। তবে এই বিয়ের জেরে তার দ্বিতীয় স্ত্রী মডেল নুসরাত জাহান তাকে ডিভোর্স দেন। হিরো আলমের প্রথম স্ত্রী ছিলেন সাবিহা আক্তার সুমি, যার ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
রিয়া মনির সঙ্গে বিয়ের পর একাধিক গানের ভিডিও, নাটক ও অন্যান্য কন্টেন্টে একসঙ্গে কাজ করেছেন হিরো আলম। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ঘিরে নানা গুঞ্জন তৈরি হয়। এখন তা এসে ঠেকেছে তালাকের ঘোষণা পর্যন্ত।
কুমিল্লা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ.ক.ম. বাহাউদ্দিন বাহার। ছবি: সংগৃহীত
কুমিল্লা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ.ক.ম. বাহাউদ্দিন বাহারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে এবার বড় পদক্ষেপ নিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আদালতের আদেশে জব্দ করা হয়েছে তার একটি বাড়ি ও ১৫ শতক জমি। পাশাপাশি অবরুদ্ধ করা হয়েছে তার এবং সংশ্লিষ্টদের ২৯টি ব্যাংক হিসাব।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন। দুদকের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সংস্থার জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম।
দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কুমিল্লার মনোহরপুর এলাকায় অবস্থিত জব্দ হওয়া বাড়িটির নির্মাণে আনুমানিক ১৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই এলাকার ১৫ শতক জমির মূল্য ধরা হয়েছে প্রায় ৩৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
দুদক দাবি করেছে, আ.ক.ম. বাহাউদ্দিন বর্তমানে পলাতক অবস্থায় রয়েছেন এবং তিনি তার স্থাবর সম্পদ বিক্রির পাশাপাশি ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলন ও স্থানান্তরের চেষ্টা করছেন। এমন প্রেক্ষাপটে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে সম্পদ জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আবেদন জানানো হয়।