শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

দূষণ, কৃত্রিম চর! ভালো নেই কীর্তনখোলা

ঢাকাগামী লঞ্চ ছাড়ার দৃশ্য দেখতে বরিশাল নদী বন্দরে গিয়েছিল ছোট্ট শিশু জাহানুর। বিস্ময়ভরে আলো ঝলমল বিশাল লঞ্চ ছাড়ার দৃশ্য বেশ পুলকিত করে তাকে। প্রায় ৩০ মিনিটের ব্যবধানে নদী বন্দর থেকে একে একে ৬টি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেতেই পন্টুন লাগোয়া কীর্তনখোলা নদীর আসল চেহারা ফুটে ওঠে তার সামনে। চিপসের প্যাকেট, পানির উচ্ছিষ্ট বোতল, কাগজ, পলিথিন, পোড়া মবিলসহ বিভিন্ন ধরনের ময়লা-আবর্জনা পানিতে ভাসতে দেখে জাহানুরের প্রশ্ন ‘বাবা নদীটা এত নোংরা কেন? লঞ্চ ছাড়ার দৃশ্য দেখে আনন্দিত হওয়া শিশুটির আনন্দ ম্লান হয়ে যায় নদীতে নোংরার স্তূপ দেখে।

শুধু নদী বন্দর এলাকা নয়, নগরী সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর ৮টি পয়েন্টে ময়লা-আবর্জনা ফেলে দূষণ করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা)। নগরীর প্রবাহমান ২৪টি খাল-দুষণে ড্রেন হয়ে গেলেও সেগুলো দিয়ে নগরীর সব বর্জ্য-ময়লা আর বড়-ছোট কলকারখানার সব কেমিক্যাল বর্জ্য মিশছে কীর্তনখোলা নদীতে। প্রতিদিন সকালে বরিশাল নদী বন্দরে ঢাকা থেকে আগত লঞ্চগুলোর হাজারো যাত্রীর উচ্ছিষ্ট সরাসরি ঝাড়ু দিয়ে ফেলা হয় নদীতে। এতে ক্রমে স্বচ্ছতা হারিয়ে বিষাক্ত হয়ে উঠছে কীর্তনখোলার পানি। অথচ এই নদীর পানিতে গৃহস্থালী কাজ চলে তীরবর্তী হাজার হাজার নিম্ন আয়ের পরিবারের।

দূষণের পাশাপাশি তিল তিল করে কীর্তনখোলা গ্রাস করছে নদী খেকোরা। নদী ড্রেজিং করে সেই পলি তীরে ফেলে বিশাল বিশাল চর সৃষ্টি করে গড়ে তোলা হয়েছে কয়েক হাজার বসতি, মাছের ঘের, ডেইরি ফার্ম, বাগানসহ অনেক কিছু। নদীর সীমানারেখায় বন্দর কর্তৃপক্ষের জমিতেও রয়েছে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা।

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নদীর অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে ধারাবাহিক অভিযান চললেও বরিশালে শুধু ‘হচ্ছে-হবে’তেই সময় পার করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) বরিশালের সমন্বয়কারী রফিকুল আলম বলেন, ব্রিটিশ আমলে ১৮০০ সালে ডিস্ট্রিক কালেক্টর হেনরি বেভারেজের উদ্যোগে কীর্তনখোলা নদীর ভাঙন থেকে বরিশাল শহর রক্ষায় একটি বাঁধ নির্মাণ করা হয়। পরে ওই বাঁধের উপর সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। যা নগরীর বান্দ রোড নামে পরিচিত। বাঁধ রোড সংলগ্ন নদীতে চর পড়তে শুরু করলে তৎকালীন কর্তৃপক্ষ ওই পলি অপসারণ না করে বরং মাঝ নদী থেকে পলি ড্রেজিং করে চরে ফেলে আয়তন বাড়ায়। পোর্টরোড থেকে স্টেডিয়াম হয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার বিস্তৃত হয় নদী লাগোয়া চর। যে যেভাবে পেরেছে দখলে নিয়েছে চরের জমি।

আশির দশকে কীর্তনখোলা নদীর পোর্ট রোড লাগোয়া এলাকায় প্রায় ২৩ একর জমি নিয়ে জেগে ওঠে একটি চর। যার নামকরণ করা হয় রসুলপুর চর। পরবর্তী সময় ওই চর চার দলীয় জোট সরকারের সময় নদীর পলি ড্রেজিং করে চরের আয়তন বাড়ানো হয়। বর্তমানে প্রায় ৫০ একর আয়তনের রসুলপুর চর নানা ছুতোয় দখল করে আছে প্রভাবশালী চক্র। মাঝ নদীতে চর জেগে উঠলে সেসব চরেরও মালিকানা করে নিয়েছে অনেকে। সেখানে গড়ে উঠেছে বহুতল পাকা ভবনসহ বস্তি ধরনের হাজারো বসতি।

এর পাশেই কীর্তনখোলা নদীতে কৃত্রিমভাবে চর সৃষ্টি করে গড়ে তোলা হয়েছে মোহাম্মদপুর চর ও পলাশপুর চর। এসব চরে মাছের ঘের, মুুরগীর ফার্ম, বাগান, ডেউরী ফার্ম, বালুর ব্যবসা, ডকইয়ার্ড এবং ছোট ছোট ঘর নির্মাণ করে মাসিক ভাড়া আদায় করছে প্রভাবশালী চক্র। এমনকি প্লট করেও বিক্রি করা হয়েছে চরের জমি।

কৃত্রিমভাবে জেগে ওঠা দপদপিয়ার চর, কর্ণকাঠী চর, চরবাড়িয়ার চর এবং খোন্নারের চরও প্রভাবশালীদের দখলে। প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় প্রতিনিয়ত দখল পাকাপোক্তসহ আয়তন বাড়াচ্ছে তারা।

বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, ১৯৬০ সালে বরিশাল নদী বন্দর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ভাটির সময় কীর্তনখোলা নদীর পানির স্তর থেকে স্থলভাগের দিকের ৫০ গজ জমি বিআইডব্লিউটিএর মালিকানাধীন। সিমানা প্রাচীর না থাকায় নদী বন্দরের উত্তর ও দক্ষিণে বিআইডব্লিউটিএর জমি দখলে নিয়ে ভূমিখেকো ও রাজনৈতিক মদদপুষ্টরা গড়ে তুলেছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসত ঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

সারা দেশে নদীর অবৈধ দখলদার চিহ্নিত করে ধারাবাহিক উচ্ছেদ কার্যক্রম চললেও বরিশালে গত ৫ বছরে নদী দখলকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ২০১৯ সালের ২৩মে বরিশালে অবৈধভাবে নদ-নদী, খাল-বিল, জলাশয়-জলাধার অবৈধ দখলকারীদের তালিকা চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দেয় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান। এরপর জেলা প্রশাসন থেকে নদীর অবৈধ দখলদারদের তালিকা নদী কমিশনে পাঠানো হলেও তাদের উচ্ছেদে আজ পর্যন্ত কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক ও বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বরিশাল নদী বন্দরের জমিতে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের পরিকল্পনা রয়েছে। এ লক্ষ্যে নানা কার্যক্রম চলছে। অচিরেই অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।’

নদী ও বন্দরের জমি দখলদারদের বিষয়ে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার বলেন, ‘সরকারি যে সংস্থার নিয়ন্ত্রণাধীন জমি বা নদী অবৈধ দখল হয়েছে তাদের সবার আগে উদ্যোগী হতে হবে। তারা অবৈধ দখল উচ্ছেদে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তা চাইলে জেলা প্রশাসন সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে। জেলার ১০ উপজেলায় ধারাবাহিকভাবে নদী-খাল-বিল জলাশয়ের অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ কার্যক্রম চলছে বলে তিনি জানান।

এসও/এএন

Header Ad
Header Ad

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস। ছবি: সংগৃহীত

দুই ঠিকাদার কর্মীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এতে পাচার হয়েছে ঘাঁটির সংবেদনশীল এলাকার ছবি, ভিডিও, নথিসহ বিভিন্ন ভবনের নকশা।

এমন অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (আইএসআই) বিরুদ্ধে। ভারতীয় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনআইএ) দাবি, নারী গোয়েন্দাকে ব্যবহার করে সুকৌশলে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ পর্যন্ত দুই জনকে আটক করেছে দেশটির এনআইএ।

জানা যায়, ১১ হাজারেরও বেশি একর জায়গা নিয়ে ভারতের ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে অবস্থিত নৌঘাঁটি- ‛আইএনএস কদম্ব’। বর্তমানে এটিই দেশটির তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটি। তবে, সম্প্রসারণ কাজ শেষ হলে পূর্ব গোলার্ধ্বের সবচেয়ে বড় নৌঘাঁটিতে পরিণত হবে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে আইএনএস কদম্বকে। সামরিক ও প্রতিরক্ষাখাতে কৌশলগত ব্যাপক অবদান রয়েছে। তবে, চতুর্দিক নিরাপত্তায় মোড়া এই ঘাঁটির সংবেদনশীল তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এমন অভিযোগ উঠেছে দেশটির প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) বিরুদ্ধে।

এদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর দাবি- ঐ নৌঘাঁটিতে কর্মরত দুই সিভিলিয়ান ঠিকাদার কর্মীদের হানিট্র্যাপে ফেলে তথ্য হাতিয়ে নেয় নাফিসা জান্নাত নামের এক পাকিস্তানি নারী গোয়েন্দা। যার সাথে ২০২৩ সাল থেকে পরিচয় ছিল ঐ দুই কর্মীর। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং টেলিগ্রামে ভিন্ন নামের তাদের সাথে শখ্যতা গড়ে তোলেন ঐ নারী।

গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ঐ দুই ঠিকাদার কর্মীর মাধ্যমে আইএনএস কদম্বের খুবই সংরক্ষিত স্থানের ছবি, ভিডিও, গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্মাণাধীন স্থাপনার নকশা, সিমুলেটর বিল্ডিং এরিয়ার ছবি সুকৌশলে হাতিয়ে নেন ঐ পাকিস্তানি গোয়েন্দা। এমনকি কোন জাহাজ কখন কোথায় টহল দেয়, কোনটি অপারেশনাল কিংবা রেডি টু এনগেজ মুডে থাকে এসব তথ্য রয়েছে আইএসআই’র কাছে।

তবে, আটক দুই ব্যক্তির ভাষ্যমতে, প্রতি মাসে তাদের ৫ হাজার রুপি করে দেয়া হত। টানা ৮মাস টাকা দিয়ে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের বিশ্বাস অর্জন করে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা। সম্প্রতি, তাদের মাধ্যমে পাচার হয় ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের

নিহতদের বিচারের দাবি স্বজনদের। ছবি: সংগৃহীত

আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নিহতদের পরিবার। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’ নামের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি উঠে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে নিহতদের স্বজনরা বলেন, একদল রাজনৈতিক দল গঠন করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। আরেক দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন চাচ্ছে। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন দেওয়া যাবে না।

তারা বলেন, এই দুই হাজার হত্যাকাণ্ডের বিপরীতে একজন হত্যাকারী পুলিশ কিংবা হেলমেট বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হলেও দুই হাজার জন গ্রেপ্তার হতো। কিন্তু নগণ্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত মো. সিয়ামের ভাই মো. রাশেদ বলেন, এই সরকারের কাছে বেশি কিছু চাই না, ভাই হত্যার বিচার চাই। দেশে কোনো নির্বাচন দেওয়ার আগে ভাই হত্যার বিচার করুন।

নিহত সিফাতের বাবা কামাল হাওলাদার বলেন, আমাদের সন্তানরা জীবন দিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন দল নির্বাচন নিয়ে রাজনীতি করছে। অথচ আমাদের সন্তান হত্যার বিচারের কথা কেউ বলছে না।

নিহত সাজ্জাত হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম বলেন, পুলিশ আমার ছেলেকে আশুলিয়ায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাত মাস হয়ে গেল আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার পেলাম না। কান্না করতে করতে এখন চোখের জল শুকিয়ে গেছে। তবুও ছেলে হত্যার বিচার পাচ্ছি না।

সংবাদ সম্মেলনে তিনজন উপদেষ্টা নিয়ে ৩০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়। সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদে আছেন মো. মহিউদ্দিন, শহিদুল ইসলাম ভুইয়া এবং মো. মীর মোস্তাফিজুর রহমান। নির্বাহী পরিষদ কমিটিতে চেয়ারম্যান হয়েছেন মো. গোলাম রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল ভুইয়া। কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছে আব্দুল্লাহ আল মারুফ ও জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা। সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম মাহমুদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল হাওলাদার ও সহ সাধারণ সম্পাদক সাবিনা আক্তার রিমা।

এছাড়া কোষাধক্ষ্য হয়েছেন জারতাজ পারভীন ও সহকোষাধক্ষ্য আবু হোসেন, জনসংযোগ সম্পাদক শিল্পী আক্তার, দপ্তর সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম ও সহদপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন রাহাত আহম্মেদ খান, ক্রিয়া সংস্কৃতি ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কবির হোসেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার খান পলাশ এবং সহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবরিনা আফরুজ সেবন্ধী।

নির্বাহী সদস্য হয়েছেন সামছি আরা জামান, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. অব্দুল বাসার অনিক, স্বর্ণা আক্তার, রাজু আহমেদ, শাহিনা বেগম, ফারহানা ইসলাম পপি, খালেদ সাইফুল্লাহ, রাজু আহমেদ, মো. সুমন মিয়া, আহমেদ লামিয়া, পাপিয়া আক্তার শমী এবং এম. এ. মতিন।

Header Ad
Header Ad

চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত

মির্জাপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আতিকুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত

চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানীর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আতিকুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এইচএম মাহবুব রেজওয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ভুক্তভোগী কয়েকজন বাসযাত্রী মির্জাপুর থানায় গিয়ে চলন্ত বাসে ডাকাতির বিষয়ে ডিউটি অফিসার মো. আতিকুজ্জামানকে অবহিত করেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ আমলে না নেওয়ায় কয়েক মিনিট পর তারা থানা ত্যাগ করেন।

এছাড়া ডিউটি অফিসার তাদের নাম ঠিকানা বা মোবাইল নম্বর সহ কোন তথ্যই রাখেননি তিনি। যার কারণে মামলা গ্রহণ করতে বিলম্ব হয়। এরপর ঘটনার তিনদিন পরে এক ভুক্তভোগী বাস যাত্রীর মামলা নিতে হয়েছে।

এদিকে, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান গত শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারি রাতেই এএসআই আতিকুজ্জামানকে মির্জাপুর থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করেন। শনিবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এএসআই আতিকুজ্জামানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

এ বিষয়ে মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এইচএম মাহবুব রেজওয়ান জানান, শনিবার আতিকুজ্জামানের সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস
নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের
চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত
ছাত্রদের নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা
চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি: পুলিশ সুপার
ময়মনসিংহে দেড় শতাধিক বিড়ালের মিলনমেলা
বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
১৩ দিনের চীন সফরে যাচ্ছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির
২৯ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা পেয়েছে ২ সদস্যের একটি অপরিচিত বাংলাদেশি ফার্ম: ট্রাম্প
ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা: প্রাণে বাঁচলেন দিতি কন্যা লামিয়া
ফাগুনের দুপুরে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
‘আমাদের অনেক বয়স হয়েছে, নবীন-তরুণরা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন’
ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষেই সম্ভব: তারেক রহমান
চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩
আমরা কারো দাবার গুটি হবো না: জামায়াত আমির
গরমে স্যুট পরে এসির তাপমাত্রা কমানো বন্ধ করুন: জ্বালানি উপদেষ্টা
সেনাবাহিনীতে চাকরির সুযোগ, আবেদন শুরু ২৮ ফেব্রুয়ারি
নতুন দলের শীর্ষ ছয়টি পদ নিয়ে ‘সমঝোতা’
মিঠাপুকুরে তোপের মুখে পালিয়ে গেলেন সাব রেজিস্ট্রার
আমার মা চাইতেন না আমি বিয়ে করে সংসারী হই : পপি