গুম হওয়া যুবকের ৫ বছর পর কঙ্কাল উদ্ধার

ঝালকাঠির রাজাপুরে গুম হওয়ার ৫ বছর পর খাইরুল মীর নামে এক যুবকের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বুধবার (৫ অক্টোবর) বিকালে উপজেলার কানুদাশকাঠি গ্রামের একটি মসজিদের পেছন থেকে কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঝালকাঠি সিআইডির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সহকারী পুলিশ সুপার মো. এহসানুল হক।
সিআইডি জানায়, ২০১৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর রাজাপুর উপজেলা সদরের বাইপাস এলাকা থেকে খাইরুল মীরকে মোবাইল ফোনে নলবুনিয়া গ্রামে ডেকে নেয় ফোরকান নামে এক মাদক ব্যবসায়ী। নলবুনিয়া গ্রামের মনির হোসেনের বাড়িতে বসে খাইরুল মীরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ফোরকান, সোহাগ, মনির ও গিয়াস মিলে তাকে হত্যা করে। পরে তাঁর লাশ মনিরের বাড়ির পাশে মাটি চাপা দেয় তারা।
ঘটনার এক মাস পর ওই চারজন মিলে খাইরুলের লাশ তুলে পাশের গ্রাম কানুদাশকাঠি গ্রামের একটি মসজিদের পেছনে বাঁশঝাড়ের মধ্যে পুনরায় মাটি চাপা দেয়। এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন খাইরুলের ছোট ভাই সিরাজুল ইসলাম। ওই বছরের ২৬ ডিসেম্বর মামলাটি সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়। সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) বাবুল হোসেন মামলাটি তদন্ত করেন। তদন্তকালে তিনি ঘটনার ক্লু উদঘাটন করতে সক্ষম হন। এরপরে গত ৩ অক্টোবর রাতে কানুদাশকাঠি গ্রামের বাড়ি থেকে মিরাজুল ইসলাম মিজুকে আটক করে সিআইডি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকারীদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন।
ঝালকাঠি সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. এহসানুল হকের নেতৃত্বে একটি দল বুধবার বিকালে কানুদাশকাঠি গ্রামের একটি মসজিদের পেছনের বাঁশঝাড় থেকে খাইরুল মীরের কঙ্কাল উদ্ধার করে।
এসআইএইচ
