যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী নুরুজ্জামান বাবু গ্রেপ্তার
যশোরের ঝিকরগাছার শীর্ষ সন্ত্রাসী নুরুজ্জামান বাবু (৪৩) কে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৩)। এসময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার র্যাব-৩ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
নুরুজ্জামান বাবু যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের মো. শহীদুল নজর আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও মারামারিসহ ১৩টি মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ছোট থেকেই দল বেঁধে দাঙ্গা-হাঙ্গামা করতে পছন্দ করত বাবু। ঝিকরগাছা এলাকায় নুরুজ্জামান বাবু ছিল এক আতঙ্কের নাম। আধিপত্য বিস্তারের জন্য অবৈধ অস্ত্রসহ এলাকায় নিয়মিত মহড়া দিত সে। ২০১৩ সালে অস্ত্রসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল বাবু। পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে জেল থেকে বেরিয়ে আবারও একই অপরাধে জড়িত হওয়ার পাশাপাশি অস্ত্র ব্যবসা শুরু করে বাবু। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ঝিকরগাছা থানা এলাকায় পুনরায় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হলে বাবুর বিরুদ্ধে ঝিকরগাছা থানায় মামলা হয়। ওই মামলায় তার ১০ বছরের সাজা হয়।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কোন্দলের জের ধরে ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাবু ও তার সহযোগীরা মোটরসাইকেলে করে ছাত্রলীগ নেতা মিলন হোসেনের পথ রোধ করে নির্মমভাবে কুপিয়ে তাকে হত্যা করে। মিলন হত্যা মামলায় বাবু গ্রেপ্তার হয়ে জামিনে মুক্ত হয়ে পলাতক জীবনযাপন শুরু করে। তার বিরুদ্ধে তিনটি অস্ত্র মামলা, হত্যা, মারামারি ও মাদক মামলাসহ মোট ১৩টি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
ছাত্রলীগ নেতা মিলন হোসেন হত্যা মামলায় জামিনে মুক্ত হয়ে বাবু কিছু দিন পলাতক থাকে। পরে সে রাজধানীতে আশ্রয় নেয়। ইতোমধ্যে অস্ত্র মামলায় তার যাবজ্জীবন সাজা হওয়ায় বাবু আরও সতর্কভাবে আত্মগোপনে থাকার চেষ্টা করে।
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্ত নুরুজ্জামান বাবুর গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এসজি