প্রেমিকাকে বিয়ে করতে স্ত্রীকে মারধর, অতঃপর....
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামের নাজমা আক্তার। ১১ বছর বয়সী সিয়াম মাহমুদ জিম ও ৫ বছর বয়সী ছেলে আব্রাহাম সাদকে নিয়ে ঘুরছেন পথে পথে। সন্তানদের ও নিজের অধিকার ফিরে পেতে অসহায়ের মতো মানুষের কাছে ঘুরে ফিরছেন। সম্মুখীন হচ্ছে নানা বাঁধার। এদিকে পরকীয়া নিয়ে ব্যাস্ত সময় পার করছেন আকাশ মাহমুদ টিটল। তিনি ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত আছেন।
জানা গেছে, ১২ বছর আগে মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার বেথলী গ্রামের হারেজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে আকাশ মাহমুদ টিটলের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় নাজমা আক্তারের। বিয়ের পর নাজমার কোলজুড়ে আসে দুই সন্তান। বিয়ের পর সুখেই চলছিল তাদের সংসার। কিন্তু কয়েক বছর আগে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফায়ার সার্ভিসে চাকরি নেয় আকাশ মাহমুদ টিটল। চাকরির সুবাদে বাইরে থাকায় একাধিক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। শুরু হয় নাজমার উপর অত্যাচার। কারণে-অকারণে গালি-গালাজ আর বাড়িতে এসে শুরু করে মারধর। অত্যাচার সহ্য করেও দুই সন্তানের কথা চিন্তা করে শশুর বাড়িতেই থাকতেন নাজমা। মারধর ও নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে যৌতুক দাবি করে বসে টিটল। নাজমাকে বাড়ি ছাড়া করতে চরম নির্যাতন শুরু করে টিটল। এরপরও নাজমা স্বামীর বাড়ি না ছাড়লে তালাক পাঠিয়ে দেয় টিটল। ছেলেদের খরচ দেওয়া বন্ধ করে দেয় সে। ডিভোর্স লেটার পেয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে পিতার বাড়িতে চলে যায় নাজমা। নাজমা চলে আসার পর টিটল পরকীয়া প্রেমিকাকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসে।
ভুক্তভোগী নাজমা অভিযোগ করেন, বিয়ের আগেও টিটলের চরিত্র খারাপ ছিল। তার আগেও একটি বউ ছিল। অন্য নারীদের সাথে কথা বলার জন্য আগের বউ গর্ভাবস্তায় বিষপান করে আত্মহত্যা করে। এখন আবার আমাকে তালাক দিচ্ছে। আমার দুই ছেলের কথা চিন্তা না করে আমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। আমি এখন কি করব। আমার সন্তানদের নিয়ে কোথায় উঠব। আমি আদালতে মামলা ও ফায়ার সার্ভিসের হেড অফিসে অভিযোগ দিয়েছি। এখনও কোনও প্রতিকার পাইনি। আমি আমার সন্তানদের ও আমার অধিকার ফিরে পেতে চাই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আকাশ মাহমুদ টিটল বলেন, আমি তাকে ডিভোর্স দিয়েছি। পারিবারিক নানা ঝামেলার কারণে তাকে ডিভোর্স দিতে বাধ্য হয়েছি।
এসআইএইচ