শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পল্লী চিকিৎসকের ভুল ইনজেকশনে প্রাণ গেল শিশুর

নওগাঁর মহাদেবপুরে এক পল্লী দন্ত চিকিৎসকের ভুল ইনজেকশনে এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার হাতুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশু সাব্বির রহমান (৪) জেলার পত্নীতলা উপজেলার চান্দুইল গ্রামের ছানোয়ার হোসেনের ছেলে। ঘটনার পর থেকে ওই পল্লী চিকিৎসক পলাতক রয়েছে।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছানোয়ার হোসেন তার ছেলের দাঁতের চিকিৎসার জন্য মহাদেবপুর উপজেলার হাতুর গ্রামের আশা ডেন্টাল কিওর হোমের পল্লী চিকিৎসক প্রদীপ কুমার মন্ডলের কাছে নিয়ে যায়। এসময় দাঁতের ব্যথা উপশমের জন্য ওই পল্লী চিকিৎসক বলেন, একটি দাঁত তুলে ফেলতে হবে। এর আগে দুটি ব্যথানাশক ইনজেকশন পুশ করতে হবে। পরে দুটি ইনজেকশন পুশ করে দাঁত উঠানো হয়। দাঁত উঠানোর পরপরই সাব্বির কাঁপতে কাঁপতে নিথর হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। তখন ওই পল্লী দন্ত চিকিৎসক তার চেম্বার থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা সাব্বিরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত শিশুর বাবা ছানোয়ার হোসেন বলেন, আমি এর আগে বেশ কয়েকবার পল্লী চিকিৎসক প্রদীপ কুমার মন্ডলের কাছে ছেলের দাঁতের চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু দাঁতের ব্যথা না কমায় তার সঙ্গে আজ সকালে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি তার চেম্বারে যেতে বলেন। বেলা ১১টার দিকে তার চেম্বারে গেলে তিনি একটি দাঁত তুলে ফেলতে বলেন। তার কথায় রাজি হলে তিনি দাঁত তুলে ফেলার আগে দুটি ইনজেকশন পুশ করেন। দাঁত তুলে ফেলার পর আমার ছেলে কাঁপতে কাঁপতে নিথর হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এসময় ওই চিকিৎসক দ্রুত পালিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, ছেলেকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসক জানান, অনেক আগেই আমার ছেলে মারা গেছে। ইনজেকশন দিয়ে আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে ওই দন্ত চিকিৎসক। সঠিক চিকিৎসা দিতে না পারলে তিনি বলতে পারতেন আমরা অন্য কোথাও গিয়ে চিকিৎসা করাতাম। ওই পল্লী চিকিৎসকের কঠিন শাস্তি চাই। আর যেন কোনো শিশুকে আমার ছেলের মতো ভুল চিকিৎসায় মরতে না হয়।

মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খোরশেদুল ইসলাম বলেন, শিশু সাব্বিরকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আগেই মারা যায়। ভুল চিকিৎসার কারণেই এমনটা হয়ে থাকতে পারে। কারণ পরিবারের সদস্যরা বলছেন, দুটি ইনজেকশন পুশ করা হয়েছিল। হাইপার সেনসেনটিভ বা নিউজেনিভ শকের কারণেও হতে পারে।

মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজম উদ্দিন মাহমুদ বলেন, সাব্বিরের মরদেহ উপজেলা হাসপাতাল থেকে নওগাঁ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। নিহতের বাবা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বর্তমানে অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক প্রদীপ কুমার মন্ডল পলাতক রয়েছে। ঘটনাটি আমরা তদন্ত করছি।

এসজি

Header Ad

সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা

সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

সাফজয়ী নারী ফুটবল দলের সদস্য আইরিন খাতুনকে নিজ জেলা নওগাঁয় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। গত ৩০ অক্টোবর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বিজয়ী হওয়ার শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এলাকায় গেলে নওগাঁ জেলা স্টেডিয়াম মাঠে শহীদ জিয়াউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট কমিটি, নওগাঁ ও নওগাঁ জেলা ফুটবল রেফারিজ এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।

শুক্রবার বিকেল ৪টায় জেলা স্টেডিয়াম মাঠে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শহীদ জিয়াউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট কমিটি নওগাঁর পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক ফুটবলার এবামুল হক।

নওগাঁ জেলা ফুটবল রেফারিজ এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ। এ সময় অন্যদের মধ্যে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বাইজিদ হোসেন পলাশ, শহীদ জিয়াউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য শামীনূর রহমান, নওগাঁ জেলা ফুটবল রেফারিজ এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মাসুদ ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবু, কোষাধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার প্রমুখ।

জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার এনামুল হক বলেন, 'নারী ফুটবল দলের সাফল্যে নওগাঁর মানুষ ভীষণ খুশি। বিশেষ করে নওগাঁর মেয়ে আইরিন এই দলের সদস্য হওয়ায় নওগাঁর মানুষ আরও আনন্দিত। আইরিন শুধু নওগাঁর নয়, পুরো বাংলাদেশের গর্ব। তার সাফল্য নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।'

Header Ad

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপের অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ স্কলারশিপে ১০০ বাংলাদেশিকে পাকিস্তানে পড়ার সুযোগ দেওয়ার বিষয়টির অনুমোদন দিয়েছেন।

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম সামা টিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের পড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর- সৌহার্দ্যের অংশ হিসেবে ১০০ বাংলাদেশিকে শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। এতে করে বাংলাদেশিদের পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার পথ সুগম হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ও পাাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে।

একটি সূত্র সামা নিউজকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনার এই বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি কাজ করছেন। স্কলারশিপ দেওয়ার জন্য পাকিস্তানি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিজস্ব পোর্টালে যুক্ত করবে।

এর আগে গত ১৩ নভেম্বর ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক এক্সচেঞ্জ বা সমঝোতা স্মারক নতুন করে সই হবে না। যেগুলো আছে, সেগুলোও স্থগিত থাকবে।’ ২০১৫ সালে নেওয়া ঢাবির তৎকালীন উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রশাসনের এমন নিষেধাজ্ঞা সম্প্রতি তুলে নেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে এসব সিদ্ধান্তগুলো গৃহীত হয়েছিল।

এর ফলে পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে যেতে পারবে। পাকিস্তানের সঙ্গে শিক্ষা ও সংস্কৃতিসহ নানা বিষয়ে মতবিনিময় করতে পারবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। অর্থাৎ ২০১৫ সালের আগের সেই স্বাভাবিক সম্পর্কে ফিরেছে ঢাবি ও পাকিস্তান।

২০১৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এক সিন্ডিকেট সভায় পাকিস্তানের সঙ্গে একাডেমিক সম্পর্ক ছিন্নের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৫ পাকিস্তানির বিচার করার জন্য পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়। আর পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে সিন্ডিকেট সভা থেকে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মন্তব্য করায় এবং যুদ্ধাপরাধী রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তানের সদস্যপদ বাতিল করতে সিন্ডিকেট সার্ক ও জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ করে।

Header Ad

বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত

যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোলের পুটখালী সীমান্ত থেকে ৮৯৫ বোতল ভারতের তৈরি ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। এসময় কোনো মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করতে পারেনি বিজিবি।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে সীমান্তের পুটখালী গ্রামের পশ্চিমপাড়া থেকে ফেনসিডিলের চালানটি উদ্ধার করা হয়।

খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ খুরশীদ আনোয়ার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পুটখালী সীমান্তের পশ্চিমপাড়া নামক স্থান দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা ভারত হতে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিলের চালান বাংলাদেশ সীমান্তে এনে মজুদ করছে। এ সময় বিজিবি সদস্যরা সেখানে অভিযান চালালে ফেনসিডিল ব্যবসায়ীরা তাদের সাথে থাকা কয়েকটি বস্তা ফেলে ইছামতি নদী পার হয়ে ভারতের দিকে পালিয়ে যায়। পরে টহল দলের বিজিবি সদস্যরা বস্তাগুলি ক্যাম্পে নিয়ে তল্লাশি করে ৮৯৫ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল উদ্ধার করে।

তিনি আরও জানান, দেশের সীমান্ত এলাকায় মাদক পাচারকারীসহ যে কোনো প্রকার চোরাচালান বন্ধে বিজিবি’র অভিযান অব্যাহত থাকবে।মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করা হবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
তামিমকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত