সাপ্তাহিক ছুটি বঞ্চিত নওগাঁ গ্রামীণ ব্যাংকের ৬১২ কর্মী
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সপ্তাহে দুই দিন ছুটি ঘোষণা ও নতুন করে অফিস সময় নির্ধারণ করে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। কিন্তু নওগাঁয় এই নিয়ম অমান্য করছে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী সংস্থা গ্রামীণ ব্যাংক।
সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবারও খোলা রাখা হচ্ছে ব্যাংকটি। চালু রাখা হয়েছে ঋণ প্রদান ও কিস্তি আদায় কার্যক্রম। এতে করে একদিকে যেমন সরকারি নির্দেশনা ভঙ্গ হচ্ছে অন্যদিকে সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৬১২ কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারী সাপ্তাহিক ছুটি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
সরেজমিনে শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) জেলার বিভিন্ন অফিস খোলা পাওয়া যায়। সেখানে দেখা যায় বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জানান, প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবারও তাদের কাজ করতে হচ্ছে। এই শাখা ছাড়াও বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক শনিবার ছুটির জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলছে, কাজের চাপ থাকার জন্য আপাতত শনিবারও কাজ করতে হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন উপজেলা শাখায় কর্মরত কয়েকজন মাঠকর্মীর সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী নিজেদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও শনিবার তাদের কাজ করতে হচ্ছে। আবার টার্গেট দেওয়া এবং বকেয়া টাকা উত্তোলনের জন্য চাপ দেওয়া হয়। এতে করে জেলায় ৬১২ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী সাপ্তাহিক ছুটি থাকা সত্ত্বেও ছুটি কাটাতে পারছেন না।
তারা আরও জানান, সপ্তাহে দুই দিন ছুটি পেলে বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে দেখা করা যায়। বাড়িতে গেলে নতুন করে কাজের স্পৃহা পাওয়া যায়। কিন্তু বাস্তবতা হলো সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও ছুটির দিনে কাজ করতে হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ বিষয়ে গ্রামীণ ব্যাংক নওগাঁর জোনাল ম্যানেজার তৈবুর রহমান বলেন, রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অফিস কার্যক্রম চলে। কিন্তু সাপ্তাহিক কিছু কাজ অসমাপ্ত থাকায় শনিবারও অর্ধদিবস কার্যক্রম চলছে। তবে ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো কর্মকর্তাকে কাজের জন্য চাপ দেওয়া হয় না। স্বেচ্ছায় যে যার মতো অফিসে এসে বাকি কাজগুলো শেষ করেন।
এসজি