রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

নাচে-গানে মাতোয়ারা নওগাঁর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির তরুণীরা

দুপুর থেকেই নেচে-গেয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ। ঢোল, মাদল আর মন্দিরার শব্দে ঐতিহ্যবাহী দলবদ্ধ নৃত্য। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির বিভিন্ন সম্প্রদায় নাচে-গানে ও ঢোল-মাদলের আওয়াজে মাতোয়ারা নওগাঁর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির তরুণীরা। সমতল ভূমির ওড়াও, মুন্ডা, সাঁওতাল, মাহাতো, হাড়িসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বার সবচেয়ে বড় পার্বন কারাম উৎসবে বর্ণিল সাজে নেচে-গেয়ে নিজেদের ঐতিহ্য তুলে ধরে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন উপজেলার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক দল।

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকালে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা নজিপুর পৌরসভার ডাকবাংলো মাঠে ঐতিহ্যবাহী এই উৎসব পালিত হয়। নাচে-গানে ও ঢোল-মাদলের আওয়াজে মাতেয়ারা হয়ে উঠে ডাকবাংলো মাঠ। ভাদ্রের বিকেলে বৈচিত্র ভরা এমন উৎসব দেখতে ঢল নামে নানা শ্রেণী-পেশা মানুষের। দর্শনার্থীর ভিড়ে ভরে যায় চারপাশ। ক্ষণিক বিনোদনের এমন উৎসবে মুগ্ধ হন দর্শনার্থীরা।

ঐতিহ্যবাহী কারাম উৎসব পালন ও আদিবাসী মিলনমেলা উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক মিলনমেলায় সভাপতিত্ব করেন পত্নীতলা কারাম উৎসব ও আদিবাসী সাংস্কৃতিক মিলনমেলা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক জতিন টপ্য। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন নওগাঁ-২ (পত্নীতলা ও ধামইরহাট) আসনের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার।

বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে বিকেল ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে কারাম উৎসবের উদ্বোধন করেন নওগাঁ-৩ (ধামইরহাট ও বদলগাছী) আসনের সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার। আলোচনা অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পত্নীতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গাফফার, পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আফরোজা প্রমুখ।

উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় পত্নীতলা উপজেলা ছাড়াও জেলার মহাদেবপুর, সাপাহার, নিয়ামতপুর ও ধামইরহাট থেকে আসা ২০টি সাংস্কৃতিক দল। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নারীরা লাল-হলুদ-বেগুনী শাড়ি আর খোপায় বাহারি ফুল গুঁজে ঢোল আর মাদলের তালে মেতে উঠেন নৃত্যে। আলতা মাখা পায়ে নুপুরের ঝংকারে হাতে হাত রেখে তাঁরা ফুটিয়ে তুলেন নিজ নিজ সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী নৃত্য।

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নিজস্ব সংস্কৃতিকে তুলে ধরাই এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য বলে জানান আয়োজকেরা। সমাবেশে বক্তারা বলেন, কারাম মেলার আয়োজন শুধু নিছক বিনোদনের জন্য করা হয় না। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী মানুষের ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

কেন্দ্রীয়ভাবে কারাম মেলার আয়োজন শুরু হওয়ার পর ইতোমধ্যে বাংলাদেশে সমতল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মধ্যে কারাম উৎসব ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। প্রতি বছর ভাদ্র মাসের একাদশী তিথিতে জাকজমকপূর্ণভাবে কারাম উৎসব পালিত হচ্ছে। এই উৎসব ঘিরে শুধু নওগাঁতেই প্রতি বছর ২০টির অধিক স্থানে কারাম মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এসব উৎসবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নানান সম্প্রদায়ের মানুষ তাঁদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরার সুযোগ পাচ্ছে।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে গিয়ে তাদের চিকিৎসা বন্ধ রাখতে ও ছাড়পত্র না দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনই এক প্রমাণ প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আদালতে পূর্বনির্ধারিত শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন অফিসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, "আমরা রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) পরিদর্শনে গিয়ে জানতে পারি, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগে একবার হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তখন তিনি চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’—অর্থাৎ আহতদের চিকিৎসা না দিতে এবং কাউকে ছাড়পত্র না দিতে নির্দেশ দেন।"

তিনি আরও বলেন, "এই নির্দেশের কথা আহত রোগী, তাদের স্বজন এবং হাসপাতালের চিকিৎসকরাও আমাদের জানিয়েছেন। আমরা এর তথ্য-প্রমাণ পেয়েছি এবং আদালতে তা উপস্থাপন করেছি।"

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর জানান, "জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের মৃতদেহ সুরতহাল করতে দেওয়া হয়নি, ডেথ সার্টিফিকেটেও গুলিবিদ্ধ হওয়ার তথ্য লুকানো হয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট বা জ্বরের কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনকি আন্দোলনে শহীদদের লাশ দাফন করতে গেলে পুলিশের হামলার মুখে পড়তে হয়েছে তাদের পরিবারকে।"

তিনি বলেন, "আদালত জানতে চেয়েছেন, শহীদদের সুরতহাল প্রতিবেদন বা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট কেন নেই। আমরা আদালতকে জানিয়েছি, সে সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, দ্রুত লাশ দাফনে বাধ্য করা হয়েছিল। ফলে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন তৈরি করা সম্ভব হয়নি।"

চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, "শেখ হাসিনার নির্মমতার এসব প্রমাণ যাচাই-বাছাই ও ফরেনসিক বিশ্লেষণের পর মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার প্রমাণ হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।"

এই মামলার তদন্ত ও বিচারকাজ চলমান রয়েছে এবং এর মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রসিকিউটর।

Header Ad
Header Ad

এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৮ হাজার ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক আদালতে শেয়ার অবরুদ্ধের আবেদন করেন, যা শুনানি শেষে মঞ্জুর করা হয়।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তিনি ও তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন এবং দেশ-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন।

এছাড়া, বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা এসব অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান শেষ হওয়ার আগে এসব সম্পদ স্থানান্তর হয়ে গেলে তা উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়বে।

ফলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ এবং সরকারের অনুকূলে রাখার স্বার্থে শেয়ারগুলোর পাশাপাশি সেগুলো থেকে উদ্ভূত মুনাফা, আয় ইত্যাদি জরুরি ভিত্তিতে ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে বলে দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

থাকবে না সরকারি ছুটি

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা

পিলখানা হত্যাকাণ্ড। ছবি: সংগৃহীত

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জন্য ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে আজই প্রজ্ঞাপন জারি হবে। এ বছর থেকে দিবসটি পালন করা হবে। তবে এ দিনে থাকবে না সরকারি ছুটি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের এমন বক্তব্যের কিছু সময় পরই ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী  
বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসর ঘরে হামলা  
আজ দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান মহারণ  
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার  
দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  
সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  
এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু  
জিম্মিদের ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল