'সন্তানের বদলে টাকা চাই না, হত্যার বিচার চাই'
'সন্তানের জিবনের বদলে টাকা চাই না, সন্তান হত্যার বিচার চাই', ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু হাসপাতালের ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ। গত ৭সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের সেন্ট্রাল হাসপাতালে সিজার এর মাধ্যমে মায়ের গর্ভ থেকে বের হয়ে পৃথিবীতে আলোর মুখ দেখা সুস্থ-সবল একটা শিশু হাসপাতাল কর্মীদের ভুল চিকিৎসায় ৯ সেপ্টেম্বর আবার হারিয়ে গেলো মায়ের কোল খালি করে গহীন অন্ধকারে।
এ ব্যাপারে মৃত শিশুটির স্বজনরা জানান, ২ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজন নিয়ে জন্ম হয় শিশুটির। জন্মের পর ডাক্তার শারমিন হক দিপ্তি নবজাতককে দেখে বলেন সম্পূর্ন সুস্থ আছে। তখন বাচ্চাটি স্বাভাবিক নাড়াচড়া করছিল এবং মায়ের বুকের দুধ খাচ্ছিলো। গতকাল (৯সেপ্টেম্বর) সকাল বেলা শিশু ডাক্তার মোঃ আক্তার হোসেন হাসপাতাল এ রাউন্ড দেয়ার সময় বাচ্চাটিকে দেখে তিনি বলেছিলেন বাচ্চাটিকে এখানে রাখা যাবে না, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু হাসপাতালে ভর্তি করে ইনকিউবেটর এ রাখতে হবে। তখন আমরা বাচ্চাটিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু হাসপাতালে নিয়ে যায় বাচ্চাটি তখন সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল।
হাসপাতাল এ ভর্তি কার্যক্রম শেষ করে বাচ্চাটিকে হাসপাতালের হাতে হস্তান্তর করে। বাচ্চাটিকে তারা ভিতরে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন ঔষধ পুষিং করে ইনকিউবেটরে রাখে। তখন থেকে বাচ্চার নাড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়। তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে ঘুমের ঔষধ দেয়া হয়েছে তাই নাড়াচরা করে না। ২ ঘন্টা পর বাচ্চার বাবার নিকট ফোন দিয়ে বলতেছে তার বাচ্চা মারা গেছে।
পরে বাচ্ছাটি কিভাবে মারা গেলো জানতে চাইলে উপস্থিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের লোকজন বিভিন্ন কারন দেখিয়ে একে একে সকলে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যায় চলে যায়। তারা আরো বলেন, আমরা তখন ডাঃ আক্তার হোসেন এর কাছে গেলে তিনি স্বীকার করেন হাসাপাতাল কর্মীদের ভুলে বাচ্চাটি মারা গিয়েছে।
তখন হাসপাতাল কতৃপক্ষের কাছে জবাব চাইতে গেলে তারা টাকা দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার প্রচেষ্টা চালায়। আমরা সন্তানের জিবনের বদলে টাকা চাই না, সন্তান হত্যার বিচার চাই। এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তারা কোন কথা বলতে রাজি হন নাই।
এএজেড