রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

৪ কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে খানাখন্দ আর গর্তে জনদুর্ভোগ

হালকা বৃষ্টি হলেই স্কুল, কলেজ ও হাটবাজারের যাতায়াতের রাস্তাটি হয়ে যায় কাঁদাময়। স্কুল শিক্ষার্থীরা কখনও পা পিচ্ছলে পড়ে যায় কাঁদায়। কেউ অসুস্থ হলে নেই দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা। কৃষক তার ফসল উৎপাদন করে বাজারে নিয়ে বিক্রি করবে তারও নেই ভালো কোনও যোগাযোগ ব্যবস্থা । শুধু তাই নয় খানাখন্দ আর গর্তে জরাজীর্ণ। এমনি একটি অঞ্চল হলো জয়পুরহাটের সদর উপজেলার পুরানাপৈল ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নের বড়তাজপুর-শালগাঁও -শিডগাংরাইল রাস্তাটির প্রায় ৪ কিলোমিটার জুড়ে এমনই বেহাল দশা। এর ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ৫টি গ্রামের মানুষকে।

সরেজমিনে জানা গেছে, বড়তাজপুর-শালগাঁও-শিডগাংরাইল রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন বড়তাজপুর, শালগাঁও, দস্তপুর এবং শিডগাংরাইলসহ আসপাশের কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৫ হাজার লোক যাতায়াত করে। এ রাস্তাটির দুই পাশে ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ছোট বড় ২০০টি গরুর খামার ও ২৫টি পোল্ট্রি ফার্ম, ১০-১২টি চাষযোগ্য পকুর অবস্থিত।

রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ থাকায় চলাচল করতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় পথচারীদের। বড় পুকুরের পাড়ের উপর দিয়ে গেছে রাস্তাটি। তবে ওই পুকুরে ভেঙ্গে পড়ছে রাস্তার প্রায় ৩০০ মিটার। ফলে রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করতে অনেক সময় ঝু্ঁকির মুখে পড়তে হয়। ঝুঁকি থাকা সত্বেও জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ভটভটি, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, ভ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে। প্রায়ই ছোট ছোট দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। দ্রুত এ রাস্তাটি পাকা করা না হলে যেকোনও সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ‘নিরাপদ সড়কে’র স্বার্থে অতি দ্রুত রাস্তাটি পাকা করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

গরুর খামারি এমদাদুল ইসমাম বলেন, রাস্তাটিতে খানাখন্দ থাকায় গরু এবং মুরগির অসুখ-বিসুখে জরুরি প্রয়োজনে চিকিৎসক সময় মতো আসতে পারেন না। তখন মোটা অংকের লোকশান গুনতে হয়।

শালগাঁও গ্রামের কৃষক আব্দুল আব্দুর রাজ্জাক বলেন, রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে উৎপাদিত বিভিন্ন শস্য বাজারজাত করতে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বেশি টাকা দিতে চাইলেও অনেক সময় কৃষিপণ্য পরিবহনের জন্য ভ্যান বা ভটভটি পাওয়া যায় না। ফলে কৃষি ও কৃষকের স্বার্থে রাস্তাটি দ্রুত পাকাকরণের দাবি জানাচ্ছি।

শিডগাংরাইল গ্রামের শ্রীমতি চামেলি রানী বলেন, বর্ষাকালে রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করতে অনেক সমস্যা হয়। ভ্যান বা ভটভটিও চলাচল করতে পারে না। তাই প্রসূতিকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।

শালগাঁও কোরবানিয়া সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারিন্টেনডেন্ট আব্দুল হালিম বলেন, বর্ষাকালে রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ নানা পেশার লোকজনকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। রাস্তাটি পাকা হলে এলাকাবাসীর কষ্ট দূর হবে।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরিদুল ইসলাম বলেন, শালগাঁও কোরবানিয়া সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসাটি ভোটকেন্দ্র হওয়ায় কেন্দ্র পর্যবেক্ষণের জন্য রাস্তাটি পাকা হওয়া জরুরি। রাস্তাটির কোড নম্বর হয়েছে মর্মে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জেনেছি।

এ ব্যাপারে পুরানাপৈল ইউনিয়ন পারিষদের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম বলেন, জেলা প্রশাসক শরিফুল ইসলামের মাধ্যমে ইতিমধ্যে বড়তাজপুর-শালগাঁও-শিডগাংরাইল রাস্তাটির কোড নম্বর পাশ হয়েছে। এখন যেকোনও সময় রাস্তাটির পাকাকরণ কাজ শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী

নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ। ছবি: সংগৃহীত

আশুলিয়ার জিরাবোয় নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ছোট পর্দার অভিনেতা আজিজুর রহমান আজাদ। আজ রোববার ভোরে একদল ডাকাত তার বাড়িতে ঢোকে এবং তাদের গুলিতে বিদ্ধ হন অভিনেতা। এ ঘটনায় তার স্ত্রী ও মা গুরুতর আহত বলে জানা গেছে।

তপু খান জানান, ঘটনাটি ঘটেছে ভোরবেলা। কয়েকজন ডাকাত আজাদের বাসার রান্নাঘরের গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে। যার শব্দে বাসার সবাই টের পেয়ে রান্নাঘরে যায়। এ সময় অভিনেতার স্ত্রীর মাথায় এবং তার মায়ের পায়ে গুরুতরভাবে আঘাত লাগে। এরপর ডাকাতরা চলে যাওয়ার সময়ে আজাদের পায়ে তিনটি গুলি করে।

মা-স্ত্রীসহ অভিনেতা এখন রাজধানীর উত্তরার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আজাদের জ্ঞান ফিরেছে। তবে তার স্ত্রী এবং মায়ের চিকিৎসা চলছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

শিপ ইন্টারন্যাশনাল হসপিটালের চিকিৎসক ডা. কামরুজ্জামান বলেন, অভিনেতার শরীরে তিনটি গুলি বিদ্ধ হয়েছে। বর্তমানে তিনি শংকামুক্ত। 

Header Ad
Header Ad

আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে গিয়ে তাদের চিকিৎসা বন্ধ রাখতে ও ছাড়পত্র না দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনই এক প্রমাণ প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আদালতে পূর্বনির্ধারিত শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন অফিসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, "আমরা রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) পরিদর্শনে গিয়ে জানতে পারি, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগে একবার হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তখন তিনি চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’—অর্থাৎ আহতদের চিকিৎসা না দিতে এবং কাউকে ছাড়পত্র না দিতে নির্দেশ দেন।"

তিনি আরও বলেন, "এই নির্দেশের কথা আহত রোগী, তাদের স্বজন এবং হাসপাতালের চিকিৎসকরাও আমাদের জানিয়েছেন। আমরা এর তথ্য-প্রমাণ পেয়েছি এবং আদালতে তা উপস্থাপন করেছি।"

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর জানান, "জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের মৃতদেহ সুরতহাল করতে দেওয়া হয়নি, ডেথ সার্টিফিকেটেও গুলিবিদ্ধ হওয়ার তথ্য লুকানো হয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট বা জ্বরের কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনকি আন্দোলনে শহীদদের লাশ দাফন করতে গেলে পুলিশের হামলার মুখে পড়তে হয়েছে তাদের পরিবারকে।"

তিনি বলেন, "আদালত জানতে চেয়েছেন, শহীদদের সুরতহাল প্রতিবেদন বা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট কেন নেই। আমরা আদালতকে জানিয়েছি, সে সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, দ্রুত লাশ দাফনে বাধ্য করা হয়েছিল। ফলে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন তৈরি করা সম্ভব হয়নি।"

চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, "শেখ হাসিনার নির্মমতার এসব প্রমাণ যাচাই-বাছাই ও ফরেনসিক বিশ্লেষণের পর মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার প্রমাণ হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।"

এই মামলার তদন্ত ও বিচারকাজ চলমান রয়েছে এবং এর মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রসিকিউটর।

Header Ad
Header Ad

এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৮ হাজার ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক আদালতে শেয়ার অবরুদ্ধের আবেদন করেন, যা শুনানি শেষে মঞ্জুর করা হয়।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তিনি ও তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন এবং দেশ-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন।

এছাড়া, বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা এসব অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান শেষ হওয়ার আগে এসব সম্পদ স্থানান্তর হয়ে গেলে তা উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়বে।

ফলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ এবং সরকারের অনুকূলে রাখার স্বার্থে শেয়ারগুলোর পাশাপাশি সেগুলো থেকে উদ্ভূত মুনাফা, আয় ইত্যাদি জরুরি ভিত্তিতে ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে বলে দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী
আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী  
বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসর ঘরে হামলা  
আজ দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান মহারণ  
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার  
দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  
সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  
এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু