নিহত শিক্ষিকার মৃত্যুর চারদিন পর কারাগারে স্বামী
কুমিল্লায় আগুনে পুড়ে কলেজ শিক্ষক তাহমিনা আক্তার মুনার (৩২) মৃত্যুর ৪ দিন পর স্বামী সুমন সালাউদ্দিন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। পরে তাকে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালাত। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন সুমন সালাউদ্দিন।
গত ৩০ আগস্ট রাতে কুমিল্লা নগরীর রেইসকোর্স এলাকার ভাড়া বাসায় অগ্নিদগ্ধের পর ৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মুনা। পরে গত ৭ আগস্ট 'মুনাকে হত্যা করা হয়েছে' বলে অভিযোগ এনে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা করেন মুনার ভগ্নিপতি তরিকুল ইসলাম। মামলার পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার ১নং আমলি আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেন অভিযুক্ত স্বামী সুমন সালাউদ্দিন।
পরে ওই আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাজহারুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আটক সুমন সালাউদ্দিন কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার হারং গ্রামের মরহুম মহসিন ভূইয়ার ছেলে। বেকার সুমন সালাউদ্দিন নিজেকে 'সংস্কৃতি কর্মী' হিসেবে পরিচয় দিতেন। অগ্নিদগদ্ধ হয়ে নিহত সুমন সালাউদ্দিনের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার মুনা কুমিল্লা মডেল কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। তিনি নগরীর পাথুরিয়াপাড়া এলাকার মো. ইউনুসের মেয়ে।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক হানিফ সরকার বলেন, সুমন সালাউদ্দিন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। মামলাটির তদন্তের জন্য আসামির সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। পরের শুনানিতে আদালত রায় দেবেন। কোর্ট পরিদর্শক মুজিবুর রহমান বলেন, মুনার স্বামী সুমন সালাউদ্দিন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে যোগাযোগ করা হলে সুমন সালাউদ্দিনের আইনজীবী মো. ইয়াছির আরাফাত রাজিব জানান, আসামী সুমন সালাউদ্দিন আইনের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল। ৭ সেপ্টেম্বর নিহত মুনার ভগ্নিপতি থানায় মামলা দায়ের করার পর মামলার একমাত্র আসামী সুমন সালাউদ্দিন আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে আত্মগোপনে না থেকে পরদিন ৮ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির হন। বিজ্ঞ আদালত অবশ্যই ন্যায় বিচার করবেন, সুমন সালাউদ্দিন শীঘ্রই জামিন পাবেন।
এএজেড