রাঙামাটিতে ভূমি কমিশনের বৈঠক স্থগিত, হরতাল প্রত্যাহার
পার্বত্য ভূমি কমিশনের পূর্বনির্ধারিত বৈঠক স্থগিত করায় রাঙামাটি শহরে ঘোষিত ৩২ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছে বাঙালিভিত্তিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে নাগরিক পরিষদের সভা শেষে সংবাদিকদের দেওয়া এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান কাজী মুজিবুর রহমান৷
ব্রিফিংয়ে নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বৈঠক স্থগিত করায় আমাদের ঘোষিত হরতাল কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে এ সময়ের মধ্যে গোপনে কোনও বৈঠক করা হয় তবে আমরা আবারও কঠোর কর্মসূচি দিব।
প্রসঙ্গত, ৭ সেপ্টেম্বর রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের অনুষ্ঠেয় বৈঠক প্রতিরোধে ৭ দফা দাবিতে আজ (মঙ্গলবার) সকাল ৬টা থেকে রাঙামাটি শহরে টানা ৩২ ঘণ্টার হরতাল শুরু করে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। হরতালের প্রথম দিন দুপুরেই এক আদেশে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক স্থগিত করে ভূমি কমিশন সচিব।
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন সংশোধনে ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মুজিবুর। সেইসঙ্গে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার দুপুর ২টা পর্যন্ত রাঙামাটি শহরে হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
দাবিসমূহ হলো- ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে জনসংখ্যা অনুপাতে সকল জাতিগোষ্ঠী থেকে সমান সংখ্যক সদস্য নিশ্চিত করা; ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি এর কার্যক্রম শুরুর পূর্বে ও ভূমির বর্তমান অবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভূমি জরিপ সম্পন্ন করা; জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের ভূমির ওপর ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের সংবিধানের সঙ্গে 'সাংঘর্ষিক' ভূমি কমিশন সংশোধনী আইন ২০১৬ এর ধারা সমূহ বাতিল করা; পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি ব্যবস্থাপনা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী প্রবর্তন করতে হবে এবং সমতলের ন্যায় জেলা প্রশাসকগণকে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির অধিকার দেয়া; কমিশন কর্তৃক ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির কারণে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাকে পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারি খাসজমিতে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা; পার্বত্য চট্টগ্রামে 'তথাকথিত' রীতি, প্রথা ও পদ্ধতির পরিবর্তে দেশে বিদ্যমান ভূমি আইন অনুসারে ভূমি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং বাংলাদেশ সরকারের আদেশ অনুযায়ী জেলা প্রশাসক কর্তৃক বন্দোবস্তিকৃত অথবা কবুলিয়তপ্রাপ্ত মালিকানা থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না।
এসআইএইচ