রাঙামাটিতে চলছে নাগরিক পরিষদের ৩২ ঘণ্টার হরতাল
পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বৈঠক 'প্রতিহত' করতে রাঙামাটি শহরে পালিত হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের ডাকা ৩২ ঘণ্টার হরতাল। মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে চলবে বুধবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ।
আজ সকাল থেকে রাঙামাটির শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পিকেটিং করছে নাগরিক পরিষদের নেতা-কর্মীরা। শহরের বিভিন্ন সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছে কর্মীরা। এর ফলে শহরে সকল ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। রাঙামাটি থেকে ছেড়ে যায়নি কোনও বাস ও লঞ্চ ।
তবে হরতালকে কেন্দ্র করে শহরে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। শহরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়ন আছে।
নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মুজিবুর রহমান বলেন, আগামী ৭ তারিখ ভূমি কমিশনের বৈঠক আহ্বান করেছে চেয়ারম্যান । চেয়ারম্যান যাতে সে সভায় আসতে না পারে এবং সভা প্রতিহত করতে ও ৭ দফা দাবিতে বাস্তবায়নের দাবিতে হরতাল পালন করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এ ভুমি কমিশন বাস্তবায়ন হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের ৫৪ শতাংশ বাঙালি ভুমিহীন হয়ে পড়বে।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের দাবি হলো-পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে জনসংখ্যা অনুপাতে সকল জাতি গোষ্ঠী থেকে সমান সংখ্যক সদস্য নিশ্চিত করতে হবে, পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির কার্যক্রম শুরুর পূর্বে ও ভূমির বর্তমান অবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভূমি জরিপ সম্পন্ন করতে হবে, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের ভূমির উপর ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক ভূমি কমিশন সংশোধনী আইন ২০১৬ এর ধারাসমূহ বাতিল করতে হবে, পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি ব্যবস্থাপনা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী প্রবর্তন করতে হবে এবং সমতলের ন্যায় জেলা প্রশাসকগণকে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির অধিকার দিতে হবে, কমিশন কর্তৃক ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির কারণে কোনও ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাকে পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারী খাস জমিতে পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে, পার্বত্য চট্টগ্রামে তথাকথিত রীতি-প্রথা ও পদ্ধতির ৬ পরিবর্তে দেশে বিদ্যমান ভূমি আইন অনুসারে ভূমি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে এবং বাংলাদেশ সরকারের আদেশ অনুযায়ী জেলা প্রশাসক কর্তৃক বন্দোবস্তিকৃত অথবা কবুলিয়ত প্রাপ্ত মালিকানা থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না।
এসআইএইচ