ভাসানচর থেকে পালানো ৩ রোহিঙ্গা আটক
নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর রোহিঙ্গা আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে পালানোর সময় তিন রোহিঙ্গাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা দালালের মাধ্যমে ভাসানচর থেকে কক্সবাজারের টেকনাফে যাওয়ার জন্য বের হয় বলে পুলিশকে জানায়।
আটক রোহিঙ্গারা হলেন- ভাসানচর আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ৬৩ নম্বর ক্লাস্টারের জয়নাল হোসেন (২৪) ও মো.জুবায়ের (২৩)) জোহরা খাতুন (১৫)।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চৌরাস্তা এলাকা থেকে তাদের আটক করে স্থানীয় লোকজন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আটক রোহিঙ্গারা কোম্পানীগঞ্জের মমতাজ খালি এলাকা দিয়ে আসে এবং ভাসানচরের পাশে মহব্বতের খোপ নামক একটা জায়গা রয়েছে। ফরিদ মাঝি নামের এক ব্যাক্তি এটি পরিচালনা করে। রোহিঙ্গারা পালিয়ে এখানে এসে থাকে এবং এখান থেকে বিভিন্ন দিকে চলে যায়। এই ফরিদ মাঝির সঙ্গে জেলেদের সম্পর্ক রয়েছে। ফরিদ মাঝি এবং স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় রোহিঙ্গারা ভাসানচর থেকে পালানোর সুযোগ পায়। মহব্বতের খোপ দিয়ে রোহিঙ্গাদের পালানো সব থেকে সহজ। একই ভাবে এই তিনজন রোহিঙ্গা ভাসানচর থেকে পালায়। তবে তারা ধরা পড়ে।
আরও জানা যায়, একদল বাঙালি মাছ ধরার পাশাপাশি অর্থের বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের ভাসানচর নদীর ঘাটে এনে আরেকটি বাঙালি দালাল চক্রের কাছে হস্তান্তর করে। এভাবে কিছু দালাল চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ রোহিঙ্গাদের পালানোর কাজে সাহায্য করছে।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চরজব্বর থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারজানা আক্তার বলেন, শুক্রবার রাতে সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চৌরাস্তা এলাকায় এক কিশারী ও দুইজন তরুণ সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করায় স্থানীয়রা তাদের আটক করে। পরে তাদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া যায় তারা সবাই রোহিঙ্গা এবং কক্সবাজারের টেকনাফে যাওয়ার উদ্দেশে দালালের মাধ্যমে ট্রলারযোগে হাতিয়ার ভাসানচর থেকে পালিয়ে এসেছে। পরে চরজব্বর থানায় খবর দিলে একই দিন রাত পৌনে ১২টার দিকে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
তিনি আরো বলেন,ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসআইএইচ