শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫ | ১ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

দাফনের ১৪ দিন পর কবর থেকে তোলা হলো কুয়েট শিক্ষকের দেহ

ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রয়াত শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের দেহ দাফনের ১৪ দিন পর কবর থেকে তোলা হয়েছে। ১ ডিসেম্বর কুমারখালী উপজেলার বাঁশগ্রামে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ দাফন করা হয়েছিল।

বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁশগ্রাম এলাকার কবরস্থান থেকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ সাদাতের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসক ও পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এ মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

সেখানে খুলনা মহানগর পুলিশের খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবির কুমার বিশ্বাস, ওসি (তদন্ত) ও তদন্ত কর্মকর্তা শাহরিয়ার হাসান, কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার, স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধি, ড. সেলিম হোসেনের বাবা শুকুর আলিসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

এই ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ করে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবি জানিয়েছে সেলিমের স্বজন ও এলাকাবাসী। এ সময় সেলিমের লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন সেলিমের মা-বাবাসহ স্বজন ও এলাকাবাসী। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী সেলিমের রহস্যজনক মৃত্যু মানতে পারছেন না কেউ। সবাই এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

পুলিশ জানায়, তদন্তের স্বার্থে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ সাদাতের উপস্থিতিতে কবর থেকে সেলিম হোসেনের লাশ তোলা হয়। সেখানে চিকিৎসক, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের খানজাহান আলী ও কুমারখালী থানার পুলিশ কর্মকর্তা এবং সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। মর‌দেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠা‌নো হয়। কুষ্টিয়া হাসপাতালে ৩ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড পোষ্টমর্টেমে অপারগতা প্রকাশ করায় মর‌দেহ ঢাকা মেডিক্যাল ক‌লেজ হাসপাতা‌লে পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে।

এর আগে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুকে অস্বাভাবিক হিসেবে চিহ্নিত করায় বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। বিষয়টি নিয়ে কুয়েটের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ায় মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করার জন্য থানায় বিষয়টি জিডিভুক্ত করা হয়েছে।

এই জিডির প্রেক্ষিতে খানজাহান আলী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহরিয়ার হাসানের ওপর তদন্তের ভার ন্যস্ত করা হয়। লাশ দাফন হয়ে গেছে তাই মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের একটি মাত্র উপায় সেটি উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করা। এজন্য বিজ্ঞ আদালতের শরণাপন্ন হতে হবে। সে কারণে ওসি (তদন্ত) মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ময়নাতদন্তের আবেদন করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ড. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। যে কারণে আদালত মরদেহ কবর থেকে তোলার অনুমতি দেননি। আদালত থেকে জানানো হয়, বিষয়টি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের এখতিয়ারভুক্ত। এজন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদনের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এরপর খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন জানানো হয়। মরদেহ যেহেতু কুষ্টিয়াতে দাফন করা হয়। লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেলার ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করা হয়। ৬ ডিসেম্বর খুলনা জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদারের পাঠানো একটি চিঠি হাতে পান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।

সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনগত দিকগুলো খতিয়ে দেখেন এবং লাশ উত্তলনের ব্যবস্থা করেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক। মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকালে খুলনা খানজাহান আলী থানা থেকে একটি দল কুষ্টিয়া পৌঁছায়। সূর্য অস্ত যাওয়ার কারণে তারা কবরস্থান পর্যন্ত যাননি।

কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ সাদাত জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুমারখালী উপজেলার বাঁশগ্রামে কবর থেকে ড. সেলিম হোসেনর লাশ উত্তোলন করা হয়।

প্রসঙ্গত, ৩০ নভেম্বর বিকেল ৩টায় ক্যাম্পাসের পাশে ভাড়া বাসায় মারা যান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. সেলিম হোসেন (৩৮)। সম্প্রতি কুয়েটের লালনশাহ হলের ডিসেম্বর মাসের খাদ্য-ব্যবস্থাপক (ডাইনিং ম্যানেজার) নির্বাচন নিয়ে ফজলুল হক হলের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান তার অনুগতদের ডাইনিং ম্যানেজার নির্বাচিত করার জন্য ড. সেলিমকে চাপ দেন।

ঘটনার দিন ড. সেলিম দাপ্তরিক কক্ষে অশালীন আচরণ ও মানসিক নির্যাতনেরও শিকার হন বলে অভিযোগ উঠেছে। ৩০ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বাধীন ছাত্ররা ক্যাম্পাসের রাস্তা থেকে ড. সেলিম হোসেনকে জেরা শুরু করেন। পরে তারা শিক্ষককে অনুসরণ করে তার ব্যক্তিগত কক্ষে (তড়িৎ প্রকৌশল ভবন) প্রবেশ করে।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তারা আনুমানিক আধাঘণ্টা ওই শিক্ষকের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। পরে শিক্ষক ড. সেলিম হোসেন দুপুরে খাবারের জন্য ক্যাম্পাসের কাছে বাসায় যাওয়ার পর ২টায় তার স্ত্রী লক্ষ্য করেন, তিনি বাথরুম থেকে বের হচ্ছেন না। পরে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শিক্ষক সেলিমের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে দোষীদের চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবিতে ২ ডিসেম্বর দুপুরে একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করে শিক্ষক সমিতি। প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানান শিক্ষকরা।

সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ৪ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানসহ ৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া পাঁচ সদস্যের নতুন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

/এএন

Header Ad
Header Ad

শিশু ধর্ষণ মামলায় জামিন নিতে এসে অভিযুক্ত কারাগারে

অভিযুক্ত রুহুল আমিন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

রংপুরের মিঠাপুকুরে বহুল আলোচিত চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলার আসামী রুহুল আমিনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এ হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিঠাপুকুরের বৈরাতী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. রফিকুজ্জামান।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১- এ হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন রুহুল আমিন। খবর পেয়ে বৈরাতী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের একদল পুলিশ সকাল থেকে আদালতপাড়ায় অবস্থান নেয়।

কিন্তু গ্রেফতারের আগেই রুহুল আমিন রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১-এ হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু বিজ্ঞ বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে রুহুল আমিনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ১০ এপ্রিল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য হাজিরার দিন ধার্য করা হয়।

মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘পুলিশের পক্ষ থেকে রুহুল আমিনকে গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়েছে। গ্রেফতার এড়াতে সে টাঙ্গাইলে আত্মগোপনে ছিল। পরে আজ (বৃহস্পতিবার) ভোরে বাস যোগে রংপরে এসে আদালতে জামিনের আবেদন করেন। জামিন নামঞ্জুর করে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে।’

উল্লেখ্য, ২১ ফেব্রুয়ারী শহীদ দিবসে মিঠাপুকুর উপজেলার রতিয়া গ্রামে শ্রদ্ধা জানাতে ফুল তুলতে পাশের বাড়িতে গিয়েছিল ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী শিশুটি। ওই সময় বাড়িতে একাই ছিলেন সার্ভেয়ার রুহুল আমিন। শিশুটিকে ঘরে ডেকে ধষর্ণ করে। পরে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীকে চিকিৎসা ও মামলা না করতে বাধা দেয় ধর্ষকের পরিবার। পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুকে উদ্ধার ও মামলা হয়েছে। এরপর থেকে পলাতক ছিলেন ধর্ষক রুহুল আমিন।

Header Ad
Header Ad

চায়ের দোকানে শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিতর্ক, বিএনপি কর্মী গুলিবিদ্ধ  

ছবিঃ সংগৃহীত

যশোরের চৌগাছা উপজেলায় একটি চায়ের দোকানে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা নিয়ে বিতর্কের জেরে গুলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে আজগার নামে এক বিএনপি কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাতে উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়নের সৈয়দপুরে এই ঘটনা ঘটে।

আজগার উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়নে সৈয়দপুর গ্রামের বিএনপি নেতা আব্বাস আলীর ছেলে। আর অভিযুক্ত ইমরান একই গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালামের ছেলে।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে শেখ হাসিনা আবার ফিরবে এমন বিকর্তে জড়ান আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা কর্মীরা। একপর্যায়ে তারাবির নামাজের আগে যুবলীগ নেতা ইমরান এসে হঠাৎ গুলি চালালে আজগর নামে এক বিএনপি কর্মী পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

চৌগাছা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, অভিযুক্তকে আটকে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে।

Header Ad
Header Ad

এশিয়ার ১০টি সহ ৪৩ দেশের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে ট্রাম্প

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে ৪৩টি দেশের নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার কথা বিবেচনা করছে। এই নিষেধাজ্ঞা ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার চেয়ে ব্যাপক হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত কর্মকর্তারা।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন কূটনীতিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা একটি লাল তালিকা প্রস্তাব করেছেন। এই তালিকায় থাকা ১১টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হবে। এই দেশগুলো হলো—আফগানিস্তান, ভুটান, কিউবা, ইরান, লিবিয়া, উত্তর কোরিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া, ভেনেজুয়েলা এবং ইয়েমেন।

মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, এই তালিকাটি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর কয়েক সপ্তাহ আগে তৈরি করেছিল এবং এটি হোয়াইট হাউসে পৌঁছানোর আগেই এতে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, বিভিন্ন দূতাবাস, আঞ্চলিক দপ্তর ও গোয়েন্দা সংস্থার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা খসড়া তালিকাটি পর্যালোচনা করছেন। এ ছাড়া, একটি ‘কমলা’ তালিকাও আছে। এই তালিকায় থাকা ১০টি দেশের নাগরিকদের আংশিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হবে। এ ক্ষেত্রে দেশগুলোর ধনী ব্যবসায়ীরা প্রবেশ করতে পারলেও অভিবাসী বা পর্যটন ভিসায় আসা ব্যক্তিরা পারবেন না। এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো হলো—বেলারুশ, ইরিত্রিয়া, হাইতি, লাওস, মিয়ানমার, পাকিস্তান, রাশিয়া, সিয়েরা লিওন, দক্ষিণ সুদান এবং তুর্কমিনিস্তান।

এর আগে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করেই একটি নির্বাহী আদেশ জারি করে। সেই আদেশে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকে কোন কোন দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রের নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন বা সীমিত করা প্রয়োজন তা চিহ্নিত করতে বলা হয়। তিনি ৬০ দিনের মধ্যে হোয়াইট হাউসে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলেছিলেন। অর্থাৎ, আগামী সপ্তাহেই জমা দিতে হবে এই প্রতিবেদন।

এদিকে, এসব দেশের যেসব নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেয়েছেন কিন্তু এখনো দেশটিতে যাননি, তাদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে কি না, তা এখনো জানা যায়নি। একইভাবে, প্রশাসন বর্তমান গ্রিন কার্ডধারীদের এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাখবে কি না—তাও স্পষ্ট নয়।

প্রস্তাবিত লাল এবং কমলা তালিকার মধ্যে কিছু দেশ ট্রাম্প প্রথম মেয়াদের সময়ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছিল, তবে অনেক দেশ নতুন। কিন্তু অন্যান্য কয়েকটি দেশের অন্তর্ভুক্তির কারণ স্পষ্ট নয়। উদাহরণস্বরূপ, ভুটানকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। রাশিয়া থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব একটি ভিন্ন বিষয় সৃষ্টি করে।

প্রস্তাবে একটি খসড়া ‘হলুদ’ তালিকাও অন্তর্ভুক্ত আছে। যেখানে ২২টি দেশকে ৬০ দিনের মধ্যে প্রাপ্ত তথ্যগত ঘাটতি দূর করার জন্য বলা হয়েছে, যদি তারা তা না করতে পারে তবে তারা অন্য কোনো তালিকায় স্থানান্তরিত হতে পারে। এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো হলো—অ্যাঙ্গোলা, অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা, বেনিন, বুরকিনা ফাসো, কম্বোডিয়া, ক্যামেরুন, কেপ ভার্দে, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, ডোমিনিকা, ইকুয়াটোরিয়াল গিনি, গাম্বিয়া, লাইবেরিয়া, মালি, মৌরিতানিয়া, সেন্ট কিটস ও নেভিস, সেন্ট লুসিয়া, সাও টোমে ও প্রিন্সিপে, ভানুয়াতু এবং জিম্বাবুয়ে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শিশু ধর্ষণ মামলায় জামিন নিতে এসে অভিযুক্ত কারাগারে
চায়ের দোকানে শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিতর্ক, বিএনপি কর্মী গুলিবিদ্ধ  
এশিয়ার ১০টি সহ ৪৩ দেশের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে ট্রাম্প
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলা: হাইকোর্টের রায় রবিবার
সুযোগ পেলেই ড. ইউনূসকে শূলে চড়াই : সারজিস আলম  
শিশুকে যৌন হয়রানি, ডিম বিক্রেতাকে পুলিশে সোপর্দ
আছিয়ার ধর্ষকদের দ্রুত বিচার ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে মশাল মিছিল  
রাষ্ট্র এখনো পরিপূর্ণ স্বাধীন হয়নি, অনেক পথ বাকি আছে : মাহফুজ আলম  
শপথ নিলেন কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি  
দুপুরে জাতিসংঘের মহাসচিব সঙ্গে বৈঠক করবেন বিএনপির  
দুই বিভাগে ঝড়ের পূর্বাভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা  
শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই সেখ জুয়েল এখন বিধান মল্লিক  
লাখো রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব
দোল উৎসবে বন্ধ থাকছে বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম
কেউ দেশবিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত হলে দেশের মানুষ কঠোর হস্তে দমন করবে: মামুনুল হক
সেনাবাহিনীর অভিযানে ৩৮৩ ছিনতাইকারী-চাঁদাবাজ গ্রেফতার
‘যমুনা রেল সেতু’ উদ্বোধন  ১৮ মার্চ, প্রধান অতিথি রেলপথ সচিব
বিশ্বে প্রথমবার স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ডলার
আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের সমুদ্র আছে : প্রধান উপদেষ্টা
রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়: জাতিসংঘ মহাসচিব