শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ | ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

রংপুরে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট

মাটি পরীক্ষা করে জমি চাষাবাদের সুবিধা কাজে লাগাতে পারছেন না কৃষক

রংপুরে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের বিভাগীয় গবেষণাগারে আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে মাটি পরীক্ষা করে ফসলের উৎপাদন খরচ শতকরা ১৫-২৫ ভাগ কমিয়ে আনা সম্ভব। পাশাপাশি মাটির প্রয়োজনীয় উপাদান নিশ্চিত করে ফলন বৃদ্ধির মাধ্যমে অধিক লাভবান হওয়া যায়। রংপুর অঞ্চলে কৃষদের উৎসাহিত না করায় ও তাদের মাঝে এ বিষয়ে বিস্তারিত সচেতনতা জানা না থাকায় সুবিধা কাজে লাগাতে পারছেন না এ অঞ্চলের চাষীরা। সরকারিভাবে রংপুরে মৃত্তিকাসম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের বিভাগীয় গবেষণাগারে আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে সুযোগ রয়েছে মাটি পরীক্ষার। রংপুর অঞ্চলের যে মাটিতে বছরের পর বছর চাষাবাদ হয়ে আসছে সে মাটির স্বাস্থ্যে সুরক্ষার খবর জানেন না অধিকাংশ কৃষক। বছরের পর বছর মাত্রানুযায়ী নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম জমিতে দেয়া হচ্ছে, কিন্তু মাটি পরীক্ষার পর দেখা যায়, ফসফেট ও পটাশের মাত্রা অনেক বেশি, আবার উপাদানের মাত্রা বেশ কম। অধিকাংশ কৃষক ফসল অনুযায়ী জমিতে প্রয়োজনীয় মাত্রায় সার ব্যবহার করছেন কিন্তু মাটি পরীক্ষার বেশকিছু সারের অপব্যবহার ধরা পড়ে। ফলে রংপুরে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের বিভাগীয় গবেষণাগারে আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে মাটি পরীক্ষা করে ফসলের উৎপাদন এ অঞ্চলের কৃষকরা এর সুফল পাচ্ছে না।

রংপুরের কৃষি অধিদপ্তরের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, রংপুরে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের বিভাগীয় গবেষণাগারে আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে মাটি পরীক্ষা করে ফসলের উৎপাদন এ অঞ্চলের কৃষকরা এর সুফল পাচ্ছে না। তাদের কৃষকদের উৎসাহ ও পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে এ অবস্থার সৃষ্টি। তিনি আরো বলেন, গত দু’বছর আগে কৃষি দপ্তর থেকে প্রায় ২ হাজার কৃষকের জমির মাটি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল আজ অবদি রিপোর্ট অফিসে আসেনি।

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার চর গনাই গ্রামের কৃষক মো. মানিকমিয়া ২৫ বছরের বেশি সময় কৃষিকাজ করছেন। কখনো তিনি জমির মাটি পরীক্ষা করাননি। আগে জমিতে তিনটি ফসল আবাদ করলেও এখন তার ১৫ বিঘা জমিতে শুধু বোরো ও আমন ধান, মরিচ, মিস্টি কুমড়া, মরিচ আবাদ করেন। তিনি জানান, দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে জমিতে সার প্রয়োগ করেন। প্রতি মৌসুমে জমির ফসল নানা রোগে আক্রান্ত হয়। লক্ষণ দেখে এবং কৃষি বিভাগের পরামর্শে ব্যবস্থা নেন। মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে জমিতে প্রয়োজনীয় উপাদান রক্ষাসহ উৎপাদন খরচ কমানো সম্ভব বিষয়টি উল্লেখ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি জানা নেই। কোথায় মাটি পরীক্ষা হয়, শুধু তিনি নন তার এলাকায় অনেক কৃষকই জানেন না। তিনি দাবি করেন, স্থানীয় কৃষি অফিসের মাধ্যমে যদি জমির মাটি পরীক্ষা করানো যেত, তাহলে কৃষক উপকৃত হতেন। কারণ কৃষি কর্মকর্তা কমবেশি তাদের জমিতে এসে চাষাবাদ সম্পর্কে বিভিন্ন পরামর্শ দেন।

লালমনিরহাট জেলার সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়েনের পাঙ্গা টারী গ্রামের কৃষক মো. পিন্টু মিয়া জানান, বাপ-দাদার পর এখন তারা আট ভাই পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ১২৮ বিঘা জমিতে কৃষিকাজ করছি। কখনো মাটি পরীক্ষা করার কথা শুনিনি। জমিতে প্রতি বছর তিন ফসল পাট, আমন ধান ও ভুট্টা চাষ করে থাকি। ভৌগোলিক কারণে তাদের ইউনিয়ন নদী দ্বারা উপজেলার সঙ্গে বিভক্ত। এলাকা বাসীর জীবনযাপন বেশ কষ্টকর। তাই মাটি পরীক্ষার বিষয়টি যদি কৃষি বিভাগের মাধ্যমে করা হয় তাহলে প্রত্যন্ত এলাকার কৃষকরা কৃষির উপর সচেতন হবেন।

রংপুর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মাহবুব রহমান বলেছেন, রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলা লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নীলফামারী ও রংপুরে মোট ফসলি জমির পরিমাণ ১৬ লাখ ৯৮ হাজার ৬৯ হেক্টর। এ জমিতে রংপুর আঞ্চলের বিভিন্ন শ্রেনীর চাষীদের জমি চাষাবাদের উপর কৃষি নির্ভরশীল অর্থনীতি।

জানাগেছে, রংপুর নগরীর লালবাগে অবস্থিত মৃত্তিকাসম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট বিভাগীয় গবেষণাগারটি সাজানো হয়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে। মাটির বিভিন্ন উপাদান যেমন ফসফরাস, সালফার, বোরন পরীক্ষার জন্য রয়েছে স্পেকট্রোমিটার। মাটির অম্লমান নির্ণয়ে আছে পিএইচ মিটার, পটাশিয়াম নির্ণয়ের আছে ফ্রেম ফটোমিটার। জিঙ্ক, কপার আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম নির্ণয়ে আছে পটাশিয়াম অ্যাটোমিক অ্যাবজর্পশন স্পেকট্রোমিটার। মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করা হচ্ছে মাটির অন্যতম প্রয়োজনীয় উপাদান জৈব পদার্থ ও নাইট্রোজেন।

মাটি গবেষণাগার মৃত্তিকাসম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের রংপুরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আইয়ুব-উর-রহমান বলেছেন, কৃষকের মাঝে এখনো মাটি পরীক্ষার তেমন উৎসাহ দেখা যায় না। মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাপ্ত নির্দেশনা মোতাবেক জমিতে সার, কীটনাশক, পানি ও অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করলে উৎপাদন খরচ শতকরা ১৫-২৫ ভাগ কমিয়ে আনা সম্ভব। এছাড়া মাটি পরীক্ষা করে জমিতে সুষম সার প্রয়োগ করলে জমির স্বাস্থ্য ভালো থাকে। রংপুর বিভাগের শুধু দিনাজপুরে মাটি পরীক্ষা হতো। এখন গত ডিসেম্বর-২১ থেকে রংপুরে সারের পাশাপাশি মাটি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। কৃষকের মাঝে মাটি পরীক্ষার আগ্রহ সৃষ্টির জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। কোনো জমির মাটি একবার পরীক্ষা করলে মোটামুটি তিন বছর আর পরীক্ষা করা লাগবে না। রংপুর অঞ্চলের মাটি অম্লীয়। অতিরিক্ত অম্লতা দূর করতে না পারলে জমিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফসল উৎপাদন কমে যাবে। এজন্য মাটি পরীক্ষা করে চাষাবাদ করলে কৃষক উপকৃত হবেন।

 

Header Ad

সরকার পতনের পর থেকে অনুপস্থিত কুবি কর্মকর্তা, তদন্ত কমিটি গঠন

মো. রেজাউল ইসলাম মাজেদ। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. রেজাউল ইসলাম মাজেদ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন না। কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃ মজিবুর রহমান মজুমদার।

রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত ০৬ আগস্ট থেকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রায় ১০০ দিনের মত নিজ কর্মস্থলে বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত রেজিস্ট্রার দপ্তরের সেকশন অফিসার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল ইসলাম মাজেদ। অনুপস্থিত থাকার জবাব চেয়ে গত ২৩ অক্টোবর কর্মক্ষেত্রে যোগদানের জন্য নোটিশ দেওয়া হয় তাকে। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও মাজেদ জবাব দেননি। পরবর্তীতে গত ০৩ নভেম্বর কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কোনো জবাব না পেয়ে গত ২৭ নভেম্বর তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে আছেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান, সদস্য হিসেবে আছেন ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসান উল্যাহ এবং সদস্য সচিব হিসেবে আছেন অর্থ ও হিসাব দপ্তরের উপ-পরিচালক এস. এম. মাহমুদুল হক।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৮ মে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হন মো. রেজাউল ইসলাম মাজেদ। কমিটির পাওয়ার আগেও পরে অসংখ্য ছাত্রছাত্রীদের মারধরের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংগঠনের কাজে হস্তক্ষেপ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষকদের কটূক্তি, টেন্ডারবাজি, উপাচার্যের গাড়ি রোধসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। সেই সাথে ২০১৬ সালে কাজী নজরুল ইসলাম হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহর হত্যার মামলায় এজাহারেও রয়েছে তার নাম। গত ৫ আগস্টের পর সর্বশেষ গত ১৩ আগস্ট শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেখা যায় তাকে। তবে এয়ারপোর্ট পুলিশের তৎপরতায় তিনি দেশ ছেড়ে পালাতে পারেননি বলে জানা গেছে। কিন্তু এখন কোথায় আছেন এসব বিষয়ে কোন তথ্য জানা যায়নি।

এই ব্যাপারে মো. রেজাউল ইসলাম মাজেদের নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান বলেন, 'গতকাল তদন্ত কমিটি সম্পর্কে জানতে পেয়েছি। ইতিমধ্যে সদস্য সচিবকে দায়িত্ব দিয়েছি অভিযুক্তের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য। সম্ভাব্য আগামী রবিবার কমিটির সবাই মিলে মিটিং করা হবে।'

এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার মো: মজিবুর রহমান মুজদার বলেন, 'এর আগে তাকে কর্মস্থলে যোগদানের জন্য চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু এরপরও কর্মস্থলে যোগদান না দেওয়ায় তাকে কারণ দরশানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার পরও কোন জবাব না আসায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'

Header Ad

জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমে হেফাজতের বিক্ষোভ

জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমে হেফাজতের বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসাসনেস বা ইসকন নিষিদ্ধের দাবি এবং চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যার প্রতিবাদে আজ শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ ডেকেছে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) জামিয়া রাহমিয়া আরাবিয়া মোহাম্মদপুরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব।

এ সময় মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, মাওলানা জালালুদ্দীন, মুফতি বশিরুল্লাহ, মুফতি মুনির হুসাইন কাসেমী, মুফতি কেফায়াতুল্লাহ আজহারী, মাওলানা লোকমান মাজহারী, মাওলানা মহিউদ্দিন মাসুম, মাওলানা জুবায়ের আহমাদ, মুফতি আজহারুল ইসলাম, মাওলানা ফয়সাল আহমদ, মাওলানা এনামুল হক মুসা, মুফতী কামাল উদ্দীন, মাওলানা আফসার মাহমুদ, মাওলানা আব্দুল মালেক, মাওলানা শরিফ উল্লাহ, মুফতী আমিনুল ইসলাম কাসেমী, মাওলানা সানাউল্লাহ খান, মাওলানা শরিফ হোসাইন, মাওলানা বশিরুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ২৫ নভেম্বর রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে ২৬ নভেম্বর তাকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হয়। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালতে পাঠানোর পথে তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আটকে দেয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীরা। তাদের সরিয়ে দিয়ে চিন্ময় কৃষ্ণকে কারাগারে নেয়ার পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন।

আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি চলমান। এসব কর্মসূচি থেকে ইসকনকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে।

Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৪২ ফিলিস্তিনি

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় হামলার পরিমাণ বাড়িয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। মেডিকেল সূত্রের বরাত দিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত একদিনে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) উপত্যকার বিভিন্ন এলাকাজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনী এ হামলা চালায়। খবর আলজাজিরার।

গাজার মেডিকেল সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) মধ্যরাতেও উপত্যকাটিতে মুহুর্মুহু বিমান হামলা চালায় দখলদাররা। এতে অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া উপত্যকার উত্তর ও দক্ষিণের গভীরে ইসরায়েলি বাহিনীর ট্যাঙ্কগুলো অগ্রসর হচ্ছে।

এ নিয়ে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ৩৩০ জনে ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৪ হাজার ৯৩৩ জন।

এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েল প্রস্তুত বলে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে যুদ্ধ শেষ হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দেশটির সংবাদমাধ্যমে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু আরও বলেন, হামাস যতদিন ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেবে না ততদিন পর্যন্ত গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে তারা।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সরকার পতনের পর থেকে অনুপস্থিত কুবি কর্মকর্তা, তদন্ত কমিটি গঠন
জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমে হেফাজতের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৪২ ফিলিস্তিনি
যুগ্মসচিব নিশাত রাসুলকে ওএসডি
সমন্বয়কদের ওপর হামলা হালকাভাবে দেখছে না সরকার: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
এক সপ্তাহ পর বেনাপোল থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু
আমাকে রংপুরের একজন উপদেষ্টা ভাববেন: ড. ইউনূস
দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে, এখন গড়ার পালা: তারেক রহমান
রেলের নতুন মহাপরিচালক হলেন আফজাল হোসেন
২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ছাপিয়ে ৬ ব্যাংককে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
বিচারককে ডিম ছুড়ে মারা আইনজীবীদের সনদ বাতিল হবে: খোকন
নাম থেকে ‘বচ্চন’ উপাধি ফেলে দিলেন ঐশ্বরিয়া, তবে কি বিচ্ছেদ চূড়ান্ত
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের পক্ষে নেই বিএনপি: মাহমুদুর রহমান মান্না
সংসদ সদস্য হিসেবে প্রথমবার সংসদে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, নিলেন শপথ
ইউক্রেনকে লক্ষ্য করে ১৮৮ মিসাইল-ড্রোন ছুড়ল রাশিয়া
৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, ক্যাডার পদ ৩ হাজার ৪৮৭
রাষ্ট্র সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ইসকন নিষিদ্ধের বিষয়টি দেখছে
৯ দফা দাবিতে সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের দায় নিতে অস্বীকার ইসকনের
ঝাঁটাপেটা খেয়ে পালিয়ে দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে: সোহেল তাজ