সচিবালয়ের স্টিকারযুক্ত জিপে হাত-পা বাধা মরদেহ!
নাটোরের বড়াইগ্রামে সচিবালয়ের স্টিকারযুক্ত একটি জিপ থেকে হাত-পা বাধা এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বনপাড়া বাইপাস মোড় এলাকায় ওই সরকারি গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় গাড়ির চালককে আটক ও জিপটি জব্দ করা হয়। এদিকে নিহতের গলায় রশির দাগ রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
জব্দ করা জিপের চালকের নাম মিজান সেখ (৪২)। তিনি মাগুরার শেরপুরের মৃত গোলাম হায়দারের ছেলে এবং ওই জিপের মালিক। ওই ব্যক্তিকে তিনি নিজেই হত্যা করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন মিজান।
নিহত ব্যক্তির নাম হযরত আলী (৩৫)। তার বাড়ি রংপুর জেলায়। তিনি ঢাকার আশুলিয়া এলাকার তাজ এন্টারপ্রাইজ নামে আটক মিজানের পাটের গোডাউনের কর্মচারী ছিলেন।
আজ দুপুরে এ বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বনপাড়া বাইপাস মোড়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ঢাকা মেট্রো ঘ ১৪-০৫৮৭ নম্বরের বাংলাদেশ সচিবালয়ের স্টিকারযুক্ত জিপটিতে তল্লাশি চালিয়ে জিপের পেছনে ডিকির মধ্য থেকে হাত-পা বাধা লাশটি পাওয়া যায়। পরে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
মিজানের বরাত দিয়ে ইন্সপেক্টর রাশেদুল ইসলাম আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে যে গাড়ির ওই চালক মিজানই ওই গাড়ির মালিক। তার গাজিপুরের কাশিমপুর এলাকায় বাড়ি এবং আশুলিয়ায় একটি জুট গোডাউন ও জুট থেকে বিভিন্ন জিনিস তৈরির কারখানা রয়েছে। নিহত হযরত ওই কারখানায় ক্যাশে চাকরি করত। অর্থনৈতিক লেনদেন নিয়ে গত ২০ মার্চ মিজান তার কারখানায় হযরতকে চর-থাপ্পর মারে। এরপর ২১ মার্চ মিজান হযরতকে তার বাড়িতে নিয়ে মারধর করার এক পর্যায়ে তার মৃত্যু হয়৷ এরপর হযরতের মরদেহ নিজের জিপে নিয়ে বিকাল ৫টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদী হয়ে নাটোরের লালপুরে অবস্থান করেন মিজান। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সকালে মরদেহটি নিয়ে হাইওয়ে উঠলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাড়িটি তল্লাশির সময় হযরতের মরদেহটি পাওয়া যায়।
গাড়িতে সচিবালয়ের স্টিকারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই স্টিকারটি সচিবালয়ে প্রবেশের স্টিকার। রাস্তায় নিষ্কন্টক চলাচলের জন্য ওই স্টিকার ব্যাবহার করা হতে পারে।
এ ব্যাপারে মামলা বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, কাশিমপুর থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা পৌঁছালে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এসআইএইচ