বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ | ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র: গুরুত্বপূর্ণ যে পাঁচ তথ্য জেনে রাখা প্রয়োজন

দেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সোমবার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই কেন্দ্রের থেকে প্রতিদিন এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় উপজেলার ধানখালীতে কয়লাভিত্তিক এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিক থেকে এটি বাংলাদেশে সর্ববৃহৎ কেন্দ্র।

বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হয়েছে এখন তেল বা ফার্নেস অয়েলভিত্তিক কুইক রেন্টালের আরেকটি বিকল্প তৈরি হয়েছে।

পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি তথ্য জেনে রাখতে পারেন:

১. চীন-বাংলাদেশের যৌথ প্রকল্প পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হয়েছে বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ উদ্যোগে। ২০১৪ সালে এই সংক্রান্ত চুক্তি হয়েছিল। নির্মাণের কাজ করেছে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। আড়াইশো কোটি ডলার ব্যয়ে এই কেন্দ্র নির্মাণের সিংহভাগ অর্থায়ন করেছে চীন।

এরপর ২০১৬ সালের অক্টোবরে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালীতে কয়লাভিত্তিক এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ধানখালী গ্রামের এক হাজার একর জমির ওপর নির্মিত হয়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।

এর কাছেই রয়েছে পায়রা বন্দর। যেখান থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি কয়লা আমদানি সহজ হবে বলে সরকার আশা করছে। কর্মকর্তারা আশা করছেন, এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত হবে।

২. এক বছরের বেশি সময় পরে বিদ্যুতের ব্যবহার পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সোয়া এক বছর আগে পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে গেলেও, সঞ্চালন অবকাঠামোর কারণে গত এক বছরে কাজে লাগানো যায়নি। পরীক্ষামূলক চালানোর পর ২০২০ সালের ১৫ মে প্রথম কেন্দ্রটি পুরোপুরি উৎপাদনে আসে। আর দ্বিতীয় ইউনিট বাণিজ্যিকভাবে কাজ শুরু করে সেই বছরের ডিসেম্বর মাসে। তবে সঞ্চালন লাইন পুরোপুরি নির্মাণ শেষ না হওয়ার কারণে সেই বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যায়নি।

এখন পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত, আমিনবাজার-মাওয়া-গোপালগঞ্জ-মোংলা পর্যন্ত সঞ্চালন লাইন তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন এই প্ল্যান্টে ৭০০ থেকে এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে।

৩. দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্যুৎ সঙ্কট দূর করবে সরকার বলছে, বাংলাদেশের বিদ্যুতের বিপুল চাহিদার এক দশমাংশ পূরণ হবে পায়রার এই একটি কেন্দ্র থেকে। এখানকার বিদ্যুৎ দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের বিদ্যুতের সমস্যা অনেকাংশে মিটে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে পদ্মা সেতু হওয়ার পর দক্ষিণাঞ্চলে শিল্প-কারখানা ও উন্নয়নের যে আশা করা হচ্ছে, সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই কেন্দ্রটি। পাওয়ার সেলের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখন মোট বিদ্যুৎ গ্রাহকের সংখ্যা ৪ কোটি ২১ লাখ।

বাংলাদেশের পাওয়ার সেলের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার ৫১৪ মেগাওয়াট। তবে সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৭৯২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে গত বছরের ২৭ এপ্রিল। সক্ষমতা থাকলেও গড় উৎপাদন হচ্ছে নয় থেকে ১০ হাজার মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ আমদানি করা হয় ১১৬০ মেগাওয়াট। বাংলাদেশে এখন ৫৬ শতাংশ বিদ্যুৎই আসছে বেসরকারি কেন্দ্রগুলো থেকে এবং বাংলাদেশে বিদ্যুতের উচ্চমূল্য নিয়ে বেসরকারি খাতের কেন্দ্রগুলোকেই দায়ি করা হয়।

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ আবার বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতা থাকলেও সঞ্চালন ও সরবরাহ লাইনের অভাব থাকায় বিদ্যুতে গ্রাহকদের কাছে সেটি ঠিকমতো সরবরাহ করা যায় না। বাংলাদেশে প্রতিদিনের বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও অনেক গ্রাহকই ঠিকমতো বিদ্যুৎ পান না। বিশেষ করে এ জন্য সবচেয়ে বেশি ভুগছেন গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দারা।

যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্সটিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিকস ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিস (আইইইএফএ) ২০২০ সালে একটি প্রতিবেদনে বলেছিল, বাংলাদেশে মোট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪৩ শতাংশ ব্যবহৃত হয়, বাকি ৫৭ শতাংশ অলস বসিয়ে রেখে কেন্দ্র ভাড়া দেয়া হয়।

তবে আশা করা হচ্ছে, এই বিদ্যুতের ব্যবহার শুরু হলে সরকার কুইক রেন্টাল প্রকল্পগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে। তখন বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচও কমে যাবে।

৪. কয়লা ব্যবহার নিয়ে সমালোচনা পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এই বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতিদিন ১২ হাজার টনের বেশি কয়লা পোড়ানো হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়া থেকে বঙ্গোপসাগরের রামনাবাদ চ্যানেল হয়ে কয়লা আসে। পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়া ও অন্যান্য দেশ থেকেও আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ যখন শুরু হয়, তখন থেকে সেখানকার পরিবেশের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে আলোচনা ওঠে।

সরকারের বিদ্যুৎ খাতে ২০১৬ সালের মহা-পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। যেখানে আমদানি ও নিজস্ব গ্যাসে ৩৫ শতাংশ, আমদানি নির্ভর কয়লায় ৩৫ শতাংশ, তেল, বিদ্যুৎ আমদানি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বাকি ৩০ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশও সর্বশেষ জলবায়ু সম্মেলনে কয়লার ব্যবহার থেকে বেরিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পরিকল্পনায় থাকা ১০টি কয়লানির্ভর কেন্দ্র বাতিল করেছে সরকার কিছুদিন আগে।

যদিও সরকার শুরু থেকেই বলে এসেছে, পরিবেশের ক্ষতি না করে করা হবে এ কাজ। কিন্তু কার্যত গত কয়েক বছরে সেখানকার পরিবেশের ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করছেন স্থানীয় মানুষেরা।

ধানখালী গ্রামের একজন স্কুল শিক্ষক মুস্তাফা তুহিন বলছিলেন, গাছপালায় কালো ছোপছোপ পড়ে গেছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলেছে ওটা ছত্রাক বা ফাঙ্গাস। কিন্তু নারকেল ও অন্যান্য গাছপালায় আগে তো ছত্রাক ছিল না, হঠাৎ ২/৩ বছরে ছত্রাক আসলো কোথা থেকে? আর গাছপালার ফলনও কমে গেছে।

সরকার বলছে, পরিবেশের ক্ষতির ঝুঁকি কমাতে এই কেন্দ্রে আলট্রা সুপার ক্রিটিকাল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.এম খোরশেদুল আলম বলছেন, বিশ্বব্যাংকের নির্ধারিত মানদণ্ড মেনেই বিদ্যুৎ তৈরি হচ্ছে এখানে এবং কার্বন ও সালফার নিঃসরণের মাত্রা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ।

তবে পরিবেশবাদীরা বলছেন, এরপরেও পরিবেশের ক্ষতি হবেই। তারা বলছেন, সরকারের উদ্যোগের ফলে ক্ষতির পরিমাণ কমতে পারে, কিন্তু নির্মূল হবে না।

পরিবেশবাদীদের নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের বৈদেশিক দেনা বিষয়ক কর্মজোটের সদস্য-সচিব হাসান মেহেদী বলছেন, ফ্লাই-অ্যাশের পরিমাণ কমলেও যে পরিমাণ নিঃসরণ হচ্ছে আর হবে সেটির ব্যবস্থাপনা কঠিন।

তিনি বলছেন, ‘ধরুন আগে হয়ত ১০০ গ্রাম ছাই হত এখন ৭০ গ্রাম হবে। এখনো বছরে ২০ লাখ টন ছাই হবে, সেই ছাইয়ের ব্যবস্থাপনা কঠিন কাজ। এর বাইরে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা ঠাণ্ডা করার জন্য যে পানি ব্যবহার হবে সেটি ডিসচার্জ হবে রামনাবাদ চ্যানেল এবং পাশের নদীতে। সমস্যা হচ্ছে ইলিশের একটি অভয়ারণ্য, এবং গত এক বছর ধরে ওখানে ইলিশের সংখ্যা কমে গেছে বলে স্থানীয় মানুষেরা বলছে।’

বাংলাদেশে রামপাল, মাতারবাড়ি প্রকল্পসহ আরও কয়েকটি বড় আকারের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।

৫. আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি পরিবেশ রক্ষায় যে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কয়লাভিত্তিক প্রকল্প বা প্ল্যান্টের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা হয়, তাকে বলা হয় আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি। এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহারকারীর দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ১৩ তম দেশে পরিণত হয়েছে।

এশিয়ায় ভারত, চীন, তাইওয়ান, জাপান ও মালয়েশিয়ায় আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। এ.এম খোরশেদুল আলম বলেছেন, ঢাকনিযুক্ত কোল ইয়ার্ড ব্যবহার করার ফলে বাতাসের মাধ্যমে খোলা কয়লার গুঁড়ো ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ কমে যাবে। ফলে পরিবেশ দুষণের সম্ভাবনাও থাকবে না।

এমএসপি

 

Header Ad

নাটকীয় হারে গ্লোবাল সুপার লিগ শুরু রংপুরের

ছবি: সংগৃহীত

জেতা ম্যাচ প্রতিপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া বাংলাদেশের জন্য যেমন নতুন কিছু নয়। ঠিক তেমনি রংপুরের ক্ষেত্রেও ঘটল আজ একই ঘটনা। সুপার ওভারে যখন খুশদিল শাহর এক ছক্কায় মোট ১২ রান তুলেছিল রংপুর রাইডার্স। এই রান ডিফেন্ড করতে তখন বিদেশি জ্যাক চ্যাপেলের ওপর আস্থা রেখেছিলেন নুরুল হাসান সোহান। কিন্তু অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি এই পেসার। প্রথম বলেই ছক্কা হজম করেন চ্যাপেল। শেষ ২ বলে যখন ৫ রান দরকার, তখন পঞ্চম বলে এই পেসারকে আরো একটা ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচের ইতি টানেন লিয়াম ডসন।

গায়ানায় টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান সংগ্রহ করে হ্যাম্পশায়ার। জবাবে খেলতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রানের বেশি করতে পারেনি রংপুর রাইডার্স। টাই হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।

১৩৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু পেয়েছিল রংপুর। দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও স্টেফেন টেইলর উদ্‌বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৪৬ রান। ১২ বলে ২০ রান করেছেন টেইলর। আরেক ওপেনার সৌম্যের ব্যাট থেকে এসেছে ২০ বলে ২৭ রান।

তবে দুই ওপেনার ফেরার পরই রানের গতি কমে যায়। তিনে নামা উইয়েন মেডসেন ২৬ বলে করেছেন ১৫ রান। তবে নুরুল হাসান সোহান ও খুশদিল শাহ উইকেটে এসে রানের গতি বাড়ান। তাতে সহজ জয়ের পথেই ছিল রংপুর। তবে এই দুজন ফেরার পর সেই সহজ সমীকরণই কঠিন করেছে বাংলাদেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য তাদের ৭ রান প্রয়োজন ছিল। ৬ রানের বেশি নিতে পারেনি তারা।

এর আগে শান মাসুদের ধীর গতির ফিফটিতে ১৩২ রানের পুঁজি পায় হ্যাম্পশায়ার। মাসুদের ফিফটি ছাড়াও ৩১ বলে ২৮ রান করেছেন আলি ওর। রংপুরের হয়ে ২৩ রানে ৫ উইকেট পেয়েছেন জ্যাক চ্যাপেল।

Header Ad

বাংলাদেশের নেতৃত্বকে বিভক্তি এড়িয়ে ঐকমত্যে কাজ করার আহ্বান মাহাথিরের

ছবি: সংগৃহীত

আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার ও কিংবদন্তি নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বিভক্তি এড়িয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। মালয়েশিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজনীতিবিদ সৈয়দ হামিদ আলবারের আত্মজীবনীমূলক বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

আজ (বুধবার) কুয়ালালামপুরের রয়াল লেক ক্লাবে মালয়েশিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজনীতিবিদ তানশ্রী সৈয়দ হামিদ আলবারের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে তিনি এ আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠান শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক ও বেসরকারি থিংক ট্যাংক আইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আলাউদ্দীনের বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে মাহাথির বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সাহসিকতার সাথে একজন অজনপ্রিয় ও স্বৈরাচার শাসককে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। এখন তাদের সামনে সুযোগ এসেছে বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করার। বিভক্তি এড়িয়ে ব্যক্তির দিকে না তাকিয়ে দেশের দিকে তাকিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে বাংলাদেশ নতুন করে এগিয়ে যাবে।

একই অনুষ্ঠানে অপর বক্তা মালয়েশিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজনীতিবিদ তানশ্রী হামিদ আলবার বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। দেশটির পরিশ্রমী জনগণের প্রচেষ্টায় সবদিক থেকেই এগিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের সামনে পুনর্গঠনের বিরল সুযোগ করে দিয়েছে। টেকসই গণতন্ত্রের জন্য তিনি আয় ও সম্পদের বৈষম্য কমিয়ে আনার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর জোর দেন।

বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ইমেজ পরিবর্তনের জন্যে কঠোর পরিশ্রম করারও আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক জোট আসিয়ানে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়ার বিষয়েও পূর্ণ সমর্থন আমাদের রয়েছে।

Header Ad

ট্রাম্পের ক্যাবিনেট সদস্যদের বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী কমালা হ্যারিসকে হারিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে তার। দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইট হাউসে যাওয়ার আগে আপাতত তিনি নিজের ক্যাবিনেট সাজাচ্ছেন ট্রাম্প। ইতোমধ্যে প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের ঘোষণা করে ফেলেছেন তিনি।

এবার ট্রাম্পের টিমে নিয়োগ পাওয়া সদস্যদের অনেককে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্রানজিশন দল থেকে এ নিয়ে এক বিবৃতি জারি করা হয়েছে।

এতে অভিযোগ করা হয়, ২৬ নভেম্বর রাত ও ২৭ নভেম্বর সকালে ট্রাম্পের ক্যাবিনেটে মনোনীত সদস্য এবং প্রশাসনিক অ্যাপয়েন্টিদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

টিম ট্রাম্পের পক্ষ থেকে বলা হয়, ২৬ নভেম্বর রাত ও ২৭ নভেম্বর সকালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্যাবিনেট অ্যাপয়েন্টির অনেককেই হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। নিয়োগ প্রাপ্ত ব্যক্তিদের কাছের মানুষদেরও এ হুমকি দেওয়া হয়। বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া থেকে পিষে দেওয়ার মতো হুমকিও দেওয়া হয়েছে। এরপর হুমকি পাওয়া ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে।

এদিকে এফবিআই বলছে, এই হুমকিগুলো তারা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।

এ নিয়ে এক বিবৃতি প্রকাশ করে তারা বলছে, আগামী প্রশাসনের মনোনীত ও নিয়োগপ্রাপ্তদের উদ্দেশ্য করে যেসব বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে আমরা অবগত। আমরা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে তদন্ত চালাচ্ছি। এ নিয়ে কেউ যদি সন্দেহজনক কিছু দেখেন, তাহলে যেন অবিলম্বে সেই বিষয়ে রিপোর্ট করেন।

এর আগে নির্বাচনী প্রচারের সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওপর হামলা হয়েছিল। হামলাকারীর ছোড়া গুলি ট্রাম্পের কান ছুঁয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন একজন। এছাড়া দুজন আহত হয়েছিলেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নাটকীয় হারে গ্লোবাল সুপার লিগ শুরু রংপুরের
বাংলাদেশের নেতৃত্বকে বিভক্তি এড়িয়ে ঐকমত্যে কাজ করার আহ্বান মাহাথিরের
ট্রাম্পের ক্যাবিনেট সদস্যদের বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করবে সরকার
গাজায় একদিনে আরও ৩৩ জন নিহত
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশি জেলেকে গুলি করল মিয়ানমার নৌবাহিনী
সম্পত্তির জন্য বাবাকে তালাবদ্ধ করে রাখলো মেয়েরা
হাসনাত ও সারজিসকে হত্যাচেষ্টাকারী ড্রাইভার ও হেলপার আটক
বিমান বাহিনীকে পঞ্চম জেনারেশনে উন্নীত করাই প্রধান লক্ষ্য: এয়ার চিফ মার্শাল
দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস, দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনজীবী সাইফুলের গায়েবানা জানাজা
দুই দফা কমার পর আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
বিসিএসের প্রশ্নফাঁস: বিজি প্রেসের দুই কর্মচারী গ্রেপ্তার
সাত কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন মির্জা ফখরুল
ফ্যাসিবাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত: রিজভী
জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য, বিচারককে ডিম ছুড়লেন আইনজীবীরা
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সামনে বিজেপির বিক্ষোভ
নিরবের পরকীয়ার অভিযোগ ফিরিয়ে নিলেন স্ত্রী, চাইলেন ক্ষমা
মিয়ানমারের জান্তা প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন