কুমিল্লায় র্যাংগসের এমডিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা
র্যাংগস ইলেকট্রনিক্সের নকল পণ্য কিনে প্রতারিত হয়ে এমডিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক ভুক্তভোগী ক্রেতা।
ওই ভুক্তভোগীর নাম শিল্পী আক্তার। তিনি কুমিল্লার ঝাউতলা এলাকার বাসিন্দা।
সোমবার (২১ মার্চ) দুপুরে কুমিল্লা চীপ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ নম্বর আমলি আদালতে এ মামলা দায়ের করেন শিল্পী আক্তার। মামলায় র্যাংগস ইলেকট্রনিক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জে. এম একরাম হোসেনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন-র্যাংগস ইলেক্ট্রনিকস লিঃ এর জি.এম (বিক্রয় ও বিপনন) জানে আলম, মার্কেটিং ম্যানেজার মোহাইমিনুল ইসহাক প্রতীক, এসিষ্ট্যান্ট ম্যানেজার মার্কেটিং মো. ওমর ফারুক, কুমিল্লা ঝাউতলা শো-রুমের র্যাংগস কর্মকর্তা কামরুল হাসান।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার আইনজীবী আঁখি মাহমুদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই কোম্পানি মানুষের কাছে নকল পণ্য দিয়ে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে সোমবার (২১ মার্চ) একজন ভুক্তভোগী এসে অভিযোগ করলে কুমিল্লা চীপ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নম্বর আমলি আদালতে মামলার আবেদন করি। পরে বিচারক আব্বাস উদ্দিন মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, মালয়েশিয়ান ক্যালভিনেটর ২৭৯’র একটি ফ্রিজ দেখে ১৪ মার্চ কুমিল্লার ঝাউতলা র্যাংগস ইলেকট্রনিক্সের শো-রুমে গিয়ে ফ্রিজটি কিনেন শিল্পী আক্তার। এর আগে শো-রুমে একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয় তার। একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে তিনি নিশ্চিত হন এটি মালয়েশিয়ান ক্যালভিনেটর ২৭৯ ফ্রিজ।
কিন্তু শো-রুমে গিয়ে শিল্পী আক্তার দেখেন সেই ফ্রিজে নেই কোনও লোগো বা স্টিকার। পরে এর কারণ জানতে চাইলে সেখানকার কর্মচারিরা হাতে লোগো লাগিয়ে দেন। এর পাশাপাশি বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে ফ্রিজটি তাকে নিতে বাধ্য করেন। এরপর তিনি বাড়িতে আসার পর শ্বশুর বাড়ির লোকজন ফ্রিজটি মালয়েশিয়ান ক্যালভিনেটর ২৭৯ নয় বলে সন্দেহ করেন। এমতাবস্থায় একাধিক টেকনিশিয়ান বাড়িতে এসে ফ্রিজটি দেখে নকল ও লোকাল পণ্য বলে দাবি করেন। তারপর ভুক্তভোগী শিল্পী আক্তার ফ্রিজটি ফেরত দিতে গেলে শো-রুম কর্তৃপক্ষ সেটি ফেরত নিতে অস্বীকার করে। এর প্রেক্ষিতে সোমবার (২১ মার্চ) মামলাটি দায়ের করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে শিল্পী আক্তার বলেন, আমি চাই আমার মতো কেউ যেন প্রতারিত না হয়। তাই মামলাটি দায়ের করেছি।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে কুমিল্লা ঝাউতলা শো-রুমের র্যাংগস কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, কাস্টমারের অভিযোগ ছিল মেইড ইন মালয়েশিয়া খোদাই করে লেখা নেই কেন। তিনি শংসয় প্রকাশ করেছেন। আমাদের ঢাকা অফিস থেকে বলা হয়েছে এটি মালয়েশিয়ার তৈরি ক্যালভিনেটর ২৭৯ ফ্রিজ। তাই আমরা এটিই বিক্রি করছি। যদি আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়ে থাকে তবে আমরা এই বিষয়ে জবাব দিতে প্রস্তুত।
এসআইএইচ