বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ | ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পটুয়াখালীর পায়রা: প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ঝলমলে এক জনপদ

পটুয়াখালীর পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ঘিরে একটি পশ্চাৎপদ জনপদে গত অর্ধযুগে যে পরিবর্তনগুলো হয়েছে, তা সেখানকার মানুষের স্বপ্নেরও অতীত। যে এলাকা ছিল শহর থেকে শত কিলোমিটার দূরে, সেই এলাকা এখন উন্নত জনপদের রূপ ধারণ করে আছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (২১ মার্চ) বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উদ্বোধন করবেন।

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে পাল্টে গেছে পটুয়াখালীর দৃশ্যপট। জাতীয় অর্থনীতির পাশাপাশি কেন্দ্রটি আঞ্চলিক অর্থনীতিতেও ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। যে কারণে এটিকে কেন্দ্র করে স্থানীয়ভাবে নেওয়া হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা।

পুরোপুরি অজপাড়া-গাঁর এই এলাকাটি এখন আলো ঝলমলে। ছয় বছর আগেও মানুষ এখানে সড়কের কথাই ভাবতে পারেনি, সেখানে এখন উঠছে বিমানবন্দরের দাবি। মাছ ধরাই ছিল যাদের একমাত্র জীবিকা, এখন তারা অনেক কিছু করে।

ঘরে বিদ্যুৎ আসবে-এই স্বপ্ন দেখতে না পারা মানুষ এখন নিজের চোখেই দেখছে, তাদের এলাকায় উৎপাদিত বিদ্যুতের আলোয় ঝলমল করছে গোটা দক্ষিণাঞ্চল।

যাদের জমিতে বিদ্যুৎকেন্দ্র, তারা বসবাস করত কুঁড়ে ঘরে। তারা এখন বাস করে আধুনিক সুযোগ-সুবিধার বাসভবনে। যে এলাকা ছিল শহর থেকে শত কিলোমিটার দূরে, সেই এলাকা এখন উন্নত শহরের রূপ ধারণ করে আছে।

পড়াশোনা করে উন্নত ভবিষ্যৎ গড়া এক সুদূরপরাহত স্বপ্ন ছিল যে শিশু-কিশোরদের, তারা এখন কারিগরি শিক্ষা নিচ্ছে।
এসবকিছু হয়েছে পায়রায় ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে।

২০২০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে এ কেন্দ্রের একটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে জাতীয় গ্রিডে। তবে আজ সোমবার কেন্দ্রটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর শুরু হবে বাণিজ্যিক উৎপাদন।

তবে কেন্দ্রটি আপাতত তার উৎপাদন ক্ষমতার অর্ধেক ব্যবহার করবে। যে দুটি সঞ্চালন লাইন তৈরি হওয়ার কথা ছিল, তার মধ্যে একটি হতে না পারায় অন্য একটি ইউনিটকে বসিয়ে রাখতে হবে চলতি বছরের বাকি সময়। এটুকু বাদ দিলে এই কেন্দ্রটিকে দক্ষিণের জীবন ঘুরিয়ে দেওয়ার প্রকল্প বললে অত্যুক্তি হবে না।

২০১৬ সালে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের সড়কগুলো ছিল কাদামাটিতে ভরপুর। তখন পাকা রাস্তা ছিল না বললেই চলে। বিদ্যুতের কথা ভাবা তো ছিল কল্পনার মতো। বলতে গেলে ভূতুড়ে এলাকা ছিল গোটা ধানখালী।

ছয় বছর পর পুরো ভিন্ন চিত্র। ধানখালী ইউনিয়নটি এখন শহর হয়ে গেছে। সেখানে এখন চার লেনের সড়ক। রাতের আলোয় মনে হয়, দেশের ব্যস্ততম কোনো শহরের দৃশ্য।

পাঁচ বছর আগে যে মাটির রাস্তায় বাইসাইকেল আর ভাড়ায় মোটরসাইকেল ছিল প্রধান বাহন। সেখানে এখন চার চাকার যানবাহনে ব্যস্ত থাকে ২৪ ঘণ্টা।

গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের সামনের রাস্তায় নতুন ইজিবাইক নিয়ে বসেছিলেন চালক সাইফুল ইসলাম। তিনি নৌকা নিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন, যেটা ছিল অনেক কষ্টের। সে সময় তার বাড়িতে বিদ্যুৎ ছিল না। এখন নিজ ঘরে রাতে ইজিবাইক চার্জ দিয়ে সকালে রাস্তায় নামেন যাত্রী আনা-নেওয়ার কাজে।

সাইফুল বলেন, ‘দারুণ লাগছে। জীবনে কল্পনাও করি নাই মোগো এইহানে এত সুন্দর চকচকে এত্ত বড় রাস্তা অইবে। হাজার হাজার বড় গাড়ি এহোন এই রাস্তা দিয়ে আসা-যাওয়া হরে।’

সোমবারের বাজারের দোকানদার ছোবাহান মিয়া বলেন, ‘মোর দোহানে এহন ফ্রিজও আছে। ভালোই বেচাকেনা অয়। আগে মুইও নদীতে জাল হালাইতাম। মাঝে-মধ্যে মাছ পাইতাম, আবার কহোনো পাইতাম না। সংসার চালাইতে মোর অনেক কষ্ট অইত। কিন্তু এই কেন্দ্রের লাইগ্যা এই এলাকার অনেক উন্নতি হইছে।

‘রাইত ১১-১২ডা পর্যন্ত লোকজন থাহে মোর দোহানে আর আগে এই বাজারে মোরা থাকতাম রাইত ৮টা পর্যন্ত। তহন দোহান ছিল হাতে গোনা দু-চাইরডা। আর এহন দেহেন দোহানের পর খালি দোহান আর দোহান।’

পায়রা তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী রেদওয়ান ইকবাল বলেন, ‘১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণেই মূলত এ পরিবর্তন। শুধু সড়কই নয়, এখানে গড়ে উঠছে বড় বড় ইন্ডাস্ট্রি। বেড়ে গেছে এখানকার জমির মূল্যও।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যখন প্রথমে ২০১৬ সালে এখানে এসেছি, অনেক নৌকায় পাড়ি দিয়ে আসতে হয়েছে। ছোট ছোট খাল ছিল আর ছিল মাইলের পর মাইল বিল। পাকা রাস্তা ছিল না। আর আজ সেখানে ফোর লেনের কাজ সমাপ্তির পথে। এর পরই আবার শুরু হবে সিক্স লেনের কাজ।’

কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দা হানিফ চৌকিদারের সঙ্গে। তিনি জানান, এখানকার জমির দাম কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। তবে মূল সড়কের পাশে কোনো খালি জমি নেই। সব বিক্রি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ঢাকার বড় বড় পার্টি এসে কানি কানি জমি কিনছে। এখন সেই সব জমি বালু দিয়ে ভরাটের কাজ চলছে। আর কিছুদিনের মধ্যেই এসব এলাকায় বড় বড় দালানকোঠায় ভরে যাবে।’

তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শাহ আব্দুল মওলা বলেন, ‘ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে এখানকার অধিবাসীদের। কর্মসংস্থানের সুযোগসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলবাসী নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের সুযোগ পাবে এখান থেকে।’

এমএসপি

Header Ad

বাংলাদেশের নেতৃত্বকে বিভক্তি এড়িয়ে ঐকমত্যে কাজ করার আহ্বান মাহাথিরের

ছবি: সংগৃহীত

আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার ও কিংবদন্তি নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বিভক্তি এড়িয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। মালয়েশিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজনীতিবিদ সৈয়দ হামিদ আলবারের আত্মজীবনীমূলক বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

আজ (বুধবার) কুয়ালালামপুরের রয়াল লেক ক্লাবে মালয়েশিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজনীতিবিদ তানশ্রী সৈয়দ হামিদ আলবারের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে তিনি এ আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠান শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক ও বেসরকারি থিংক ট্যাংক আইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আলাউদ্দীনের বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে মাহাথির বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সাহসিকতার সাথে একজন অজনপ্রিয় ও স্বৈরাচার শাসককে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। এখন তাদের সামনে সুযোগ এসেছে বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করার। বিভক্তি এড়িয়ে ব্যক্তির দিকে না তাকিয়ে দেশের দিকে তাকিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে বাংলাদেশ নতুন করে এগিয়ে যাবে।

একই অনুষ্ঠানে অপর বক্তা মালয়েশিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজনীতিবিদ তানশ্রী হামিদ আলবার বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। দেশটির পরিশ্রমী জনগণের প্রচেষ্টায় সবদিক থেকেই এগিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের সামনে পুনর্গঠনের বিরল সুযোগ করে দিয়েছে। টেকসই গণতন্ত্রের জন্য তিনি আয় ও সম্পদের বৈষম্য কমিয়ে আনার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর জোর দেন।

বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ইমেজ পরিবর্তনের জন্যে কঠোর পরিশ্রম করারও আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক জোট আসিয়ানে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়ার বিষয়েও পূর্ণ সমর্থন আমাদের রয়েছে।

Header Ad

ট্রাম্পের ক্যাবিনেট সদস্যদের বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী কমালা হ্যারিসকে হারিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে তার। দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইট হাউসে যাওয়ার আগে আপাতত তিনি নিজের ক্যাবিনেট সাজাচ্ছেন ট্রাম্প। ইতোমধ্যে প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের ঘোষণা করে ফেলেছেন তিনি।

এবার ট্রাম্পের টিমে নিয়োগ পাওয়া সদস্যদের অনেককে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্রানজিশন দল থেকে এ নিয়ে এক বিবৃতি জারি করা হয়েছে।

এতে অভিযোগ করা হয়, ২৬ নভেম্বর রাত ও ২৭ নভেম্বর সকালে ট্রাম্পের ক্যাবিনেটে মনোনীত সদস্য এবং প্রশাসনিক অ্যাপয়েন্টিদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

টিম ট্রাম্পের পক্ষ থেকে বলা হয়, ২৬ নভেম্বর রাত ও ২৭ নভেম্বর সকালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্যাবিনেট অ্যাপয়েন্টির অনেককেই হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। নিয়োগ প্রাপ্ত ব্যক্তিদের কাছের মানুষদেরও এ হুমকি দেওয়া হয়। বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া থেকে পিষে দেওয়ার মতো হুমকিও দেওয়া হয়েছে। এরপর হুমকি পাওয়া ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে।

এদিকে এফবিআই বলছে, এই হুমকিগুলো তারা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।

এ নিয়ে এক বিবৃতি প্রকাশ করে তারা বলছে, আগামী প্রশাসনের মনোনীত ও নিয়োগপ্রাপ্তদের উদ্দেশ্য করে যেসব বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে আমরা অবগত। আমরা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে তদন্ত চালাচ্ছি। এ নিয়ে কেউ যদি সন্দেহজনক কিছু দেখেন, তাহলে যেন অবিলম্বে সেই বিষয়ে রিপোর্ট করেন।

এর আগে নির্বাচনী প্রচারের সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওপর হামলা হয়েছিল। হামলাকারীর ছোড়া গুলি ট্রাম্পের কান ছুঁয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন একজন। এছাড়া দুজন আহত হয়েছিলেন।

Header Ad

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করবে সরকার

ছবি: সংগৃহীত

বিগত ১৬ বছরে হাজার হাজার গুম ও জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য পতিত সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিসি) চিফ প্রসিকিউটর করিম এ খান সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

এ সময় তারা রোহিঙ্গা সংকট, মিয়ানমার পরিস্থিতি, রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা এবং জুলাই-আগস্ট গণ-আন্দোলনের সময় নৃশংসতার বিচার ও জবাবদিহিতা নিয়ে আলোচনা করেন।

করিম এ খান প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, মিয়ানমার সামরিক সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে আইসিসি অফিস রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের সঙ্গে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছে।

করিম খান রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার একটি বিশেষ আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের আহ্বানকে সমর্থন করেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০২৫ সালে এই সম্মেলন আয়োজনের সম্মতি দিয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, সম্মেলন থেকে সংকট সমাধানের একটি নতুন টেকসই দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে। সম্মেলনের স্থান ও তারিখসহ সামগ্রিক বিষয় নিয়ে ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই সম্মেলন আন্তর্জাতিক সব অংশীদারকে একত্রে নিয়ে এসে সংকটের একটি স্থায়ী সমাধানের পথ বের করতে সাহায্য করবে, বিশেষ করে বাংলাদেশে শরণার্থী শিবিরে বসবাসরত রোহিঙ্গা এবং তাদের শিশুদের দুরবস্থার বিষয়ে।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে এই সংকট বিস্ফোরিত না হয়। শিবিরে বেড়ে ওঠা হতাশাগ্রস্ত যুবকদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশে আরও কয়েক হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর ঢল এবং মিয়ানমারের সর্বশেষ পরিস্থিতি বাংলাদেশে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

প্রধান উপদেষ্টা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে একটি সুরক্ষিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য তার সাম্প্রতিক আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এই সুরক্ষিত অঞ্চল বাস্তুচ্যুত মানুষকে সহায়তা এবং চলমান মানবিক সংকট মোকাবিলায় কার্যকর হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘এই অঞ্চলের নিরাপত্তা জাতিসংঘ দ্বারা নিশ্চিত করা উচিত। যখন লড়াই বন্ধ হবে, এই সুরক্ষিত অঞ্চলে থাকা মানুষ সহজেই তাদের নিজ নিজ স্থানে ফিরে যেতে পারবে।

ড. ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আইসিসিতে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনবে, যা তার প্রায় ১৬ বছরের দীর্ঘ শাসনকালে জুলাই-আগস্ট গণ-আন্দোলনের সময়ের হত্যাকাণ্ড এবং হাজার হাজার গুমের ঘটনা অন্তর্ভুক্ত।

আইসিসি চিফ প্রসিকিউটর জানান, তারা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে সহযোগিতা করতে চান। এই আদালত শেখ হাসিনা এবং তার রাজনৈতিক দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।

প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রিয়াজ হামিদুল্লাহ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান প্রসিকিউটর করিম এ খান এবং তার আইসিসি প্রতিনিধিদলের সদস্যদের জন্য মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন।

খলিলুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ আইসিসি প্রতিষ্ঠার জন্য রোম সংবিধি স্বাক্ষরকারী প্রথম এশীয় দেশগুলোর মধ্যে একটি এবং আমরা আগামী দিনগুলোতে আমাদের সহযোগিতা আরও গভীরভাবে করার অপেক্ষায় আছি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশের নেতৃত্বকে বিভক্তি এড়িয়ে ঐকমত্যে কাজ করার আহ্বান মাহাথিরের
ট্রাম্পের ক্যাবিনেট সদস্যদের বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করবে সরকার
গাজায় একদিনে আরও ৩৩ জন নিহত
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশি জেলেকে গুলি করল মিয়ানমার নৌবাহিনী
সম্পত্তির জন্য বাবাকে তালাবদ্ধ করে রাখলো মেয়েরা
হাসনাত ও সারজিসকে হত্যাচেষ্টাকারী ড্রাইভার ও হেলপার আটক
বিমান বাহিনীকে পঞ্চম জেনারেশনে উন্নীত করাই প্রধান লক্ষ্য: এয়ার চিফ মার্শাল
দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস, দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনজীবী সাইফুলের গায়েবানা জানাজা
দুই দফা কমার পর আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
বিসিএসের প্রশ্নফাঁস: বিজি প্রেসের দুই কর্মচারী গ্রেপ্তার
সাত কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন মির্জা ফখরুল
ফ্যাসিবাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত: রিজভী
জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য, বিচারককে ডিম ছুড়লেন আইনজীবীরা
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সামনে বিজেপির বিক্ষোভ
নিরবের পরকীয়ার অভিযোগ ফিরিয়ে নিলেন স্ত্রী, চাইলেন ক্ষমা
মিয়ানমারের জান্তা প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন
স্ত্রী হত্যা মামলায় জামিন পেলেন সাবেক এসপি বাবুল