প্রাইভেটকার চাপায় দুই ছেলেসহ মায়ের মৃত্যু
ঢাকার ধামরাইয়ে প্রাইভেটকার-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে মা ও দুই ছেলেসহ একই পরিবারের ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন সিএনজি চালকসহ আরও ৩ জন।
শুক্রবার (১১ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ঢুলিভিটা এলাকার ঢুলিভিটা-ধামরাই বাজার সড়কের মমতাজ মেডিকেলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের নাসির উদ্দীন খানের স্ত্রী পিয়ারা বেগম (৪৫) ও দুই ছেলে নাসিব খান (২০), ছোটন খান (১৮)।
আহত সিএনজি চালক ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের ভাড়ারিয়া গ্রামের আবুল দেওয়ানের ছেলে শাহ আলম (৩২), একই এলাকার মামুনের ছেলে তুষার (২৪)। তবে আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
নিহত ছোটন খানের চাচাতো ভাই হৃদয় ও ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শামীমুজ্জামান শামীম জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে মামার বাড়ি থেকে নিজেদের বাড়িতে আসার জন্য সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠেছিলেন তারা। সিএনজিতে চালকের দুইপাশে দুইজন যাত্রী ও পেছনে ৬ জন যাত্রী ছিল। সিএনজিটি মমতাজ মেডিকেল এলাকায় আসলে অপরদিক থেকে আসা একটি দ্রুতগতির প্রাইভেটকারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে সকলেই গুরুতর আহত হন। এসময় আহতদের প্রথমে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ছোটন খানকে মৃত ঘোষণা করেন। আর গুরুতর আহত পিয়ার বেগম ও তার অপর ছেলে নাসিব খানকে ঢাকায় পাঠান। পরে পথেই তাদের মৃত্যু হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আহত দুইজনকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শামীমুজ্জামান শামীম বলেন, তারা ৩ জন ঢাকায় মামার বাড়ি বেড়ানো শেষে ঢুলিভিটা থেকে সিএনজিযোগে বাড়ি ফিরছিল। মমতাজ মেডিকেলের কাছে আসলে একটি প্রাইভেটকার তাদের ধাক্কা দেয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডা. সায়লা শায়মীন জেসি।
এ বিষয়ে আরও নিশ্চিত করে ধামরাই থানার পরিদর্শক (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, দুই ছেলেসহ এই ঘটনায় তাদের মায়েরও মৃত্যু হয়েছে। আমরা জানার আগেই তাদের মরদেহগুলো উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে গেছে স্বজনরা।
টিটি/