লালপুরে ডেকে নিয়ে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩
নাটোরের লালপুর উপজেলায় টেলিফোনে ডেকে নিয়ে জুয়েল নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। ৪ মার্চ উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নের দিলালপুর গ্রামের গ্রামের একটি মাঠ থেকে জুয়েলের হাত-পায়ের রগকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জব্দ করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র ও মোবাইল ফোন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন, জুয়েলের আপন চাচি সেলিনা খাতুন, সেলিনার সৎ ছেলে মেহেদী হাসান ও একই গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে মেহেদী হাসান লিটন (২০)।
শুক্রবার দুপুরে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ৪ মার্চ দিলালপুর গ্রামের মাঠ থেকে জুয়েলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এঘটনায় নিহতের বাবা সাকেত আলী বাদী হয়ে লালপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে ঘটনার রহসয় উদঘাটন ও আসামিদের গ্রেপ্তারে মাঠে নামে পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যাবহার করে ওই তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার রহসয় উদঘাটন হয়।
আসামিদের দেওয়া তথ্যের বরাতে তিনি বলেন, সেলিনা সম্পর্কে নিহত জুয়েলের মেজো চাচি। তাদের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক প্রকাশ হওয়ার পর পারিবারিকভাবে উভয়কে শাসন করা হয়। নিষেধ স্বত্বেও জুয়েল চাচারর বাড়িতে যাতায়াত করায় চাচাত ভাই মেহেদী হাসানের সাথে তার কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি থেকে হয়।
এদিকে, মেহেদী হাসান লিটনের বড় ভাই সুমন সেলিনার ঘরের জানালা দিয়ে ঘরে প্রবেশের চেষ্টা করলে তাকে আটক করে সেলিনা। এনিয়ে ৭ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে সুমন উদ্ধার হলেও ওই ঘটনায় সুমনকে মারপিট করে জুয়েল। এনিয়ে জুয়েলের ওপর রাগ হয় লিটনের পরিবারের। এর প্রতিশোধ নিতে লিটন কৌশলে সেলিনার সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে মেহেদী হাসান ও সেলিনাকে নিয়ে জুয়েলকে হত্যার পরিকল্পনা করে লিটন।
তিনি আরও বলেন, ৩ মার্চ রাতে লিটন ও মেহেদী পরিকল্পনামতো সেলিনা মোবাইল ফোনে জুয়েলকে নিজ বাড়িতে ডেকে আনেন। যৌন উত্তেজক টয়াবলেটের কথা বলে ঘুমের ট্যাবলেট খাওয়ান। লিটন ও মেহেদী ঘুমন্ত জুয়েলকে ওই মাঠে নিয়ে গিয়ে কুড়াল ও চাকু দিয়ে কুপিয়ে ও হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যার পর ফেলে রেখে যায়।
আসামিদের গ্রেপ্তারের পর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কুড়াল, চাকু ও মেবসইল ফোন জব্দ করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
কেএফ/