শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | ৩০ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সরকারি চাকরি পেয়ে তালাক দিলেন স্ত্রীকে

আল মাহমুদ ফয়সাল। ছবি: সংগৃহীত

সরকারি চাকরি পেয়ে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বরগুনার আল মাহমুদ ফয়সালের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে সাবেক স্বামী আল মাহমুদ ফয়সালের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন স্ত্রী বিথি (ছদ্মনাম)।

জানা যায়, এক যুগ আগে ভালোবাসার সম্পর্ক হয় গৌরনদী শহরের আল মাহমুদ ফয়সাল ও বরগুনার মেয়ে বিথির (ছদ্মনাম) সঙ্গে। দুজনই পড়াশোনা করতেন বরিশাল রহমতপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে। বন্ধুত্বের সম্পর্ক ৬ মাস না পেরোতেই ভালোবাসার সম্পর্কে রূপ নেয় ফয়সাল বিথির সম্পর্ক। ২০১৩ সালে ডিপ্লোমা শেষ করেন একইসঙ্গে। তারপর বিএসসি গ্র্যাজুয়েশন নিতে ২০১৫ সালে ভর্তি হন ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

ফয়সাল লেখাপড়া করত সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয় নিয়ে। আর বিথির বিষয় ছিল কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং। ২০২০ সালে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ হওয়ার আগেই দুই পরিবারের সম্মতিতে ২০১৯ সালে বিয়ে করেন ফয়সাল এবং বিথি। ভালোবাসার প্রথম দিকে মেয়ে পক্ষের মা বাবা রাজি না থাকার কারণে ভালোবাসার সম্পর্ককে স্থায়ী সম্পর্কে রূপান্তর করার জন্য একটু তড়িঘড়ি করেই বিয়েটা করে নেন বিথি এবং ফয়সাল।

দুই পরিবার থেকেই মেনে নিয়েছিলেন তাদের বিয়ের সম্পর্ক। লেখাপড়া চলাকালীন অনুষ্ঠান করে বিথিকে তার স্বামীর ঠিকানায় উঠিয়ে দিতে চেয়েছিলেন মেয়ের মা-বাবা। কিন্তু বিপত্তি জানায় ফয়সাল এবং ফয়সালের পরিবার। ফয়সালের পরিবার বিথির পরিবারকে জানায়, এখন যখন লেখাপড়া করছে তো লেখাপড়া শেষ করুক তারপর উঠিয়ে আনব আপনাদের মেয়েকে। ২০২০ সালে দুজনের বিএসসি শেষ হওয়ার পর আবারও মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে উঠিয়ে দিতে চান বিথির মা-বাবা। কিন্তু তখনও বিপত্তি প্রকাশ করে ফয়সাল এর পরিবার।

তারা বলেন, ছেলে সবে মাত্র লেখাপড়া শেষ করল, একটা চাকরি হোক তারপর অনুষ্ঠান করে আমাদের পুত্রবধূকে উঠিয়ে আনব। এমনটাই সাংবাদিকদের জানান বিথির বাবা বজলুর রহমান। তারপর চাকরির জন্য চেষ্টা করতে থাকেন দুজনেই।

অনেক চেষ্টার পর ২০২৩ সালে বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে নেছারাবাদ পিরোজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে যোগদান করেন মো. মাহমুদ আল ফয়সাল। চাকরিতে যোগদান করার পর বিয়ের অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারণ করেন ফয়সাল ও বিথির পরিবার।

ফয়সাল চাকরিতে যোগদানের পর প্রায়ই আসতেন শ্বশুর এর বাসায় এমনটাই বলেন বিথি ও বিথির পরিবার। বিপত্তি শুরু হয় ৫ নভেম্বর ২০২৩ সকালে। স্বাভাবিক দিনের মতো ফয়সাল তার শ্বশুর বাড়ি থেকে সকাল বেলা কর্মস্থলে চলে যান।

পরে বিথি বিছানা ঠিক করতে গিয়ে একটা হলুদ খাম দেখতে পায় ফয়সালের বালিশের নিচে। খামটি খুলে বিথি দেখেন তার স্বামী তাকে ডিভোর্স দিয়েছে। পরে বিথি তার মায়ের ফোন থেকে ফয়সালকে কল দিতে থাকে, কিন্তু কোনোভাবে ফয়সালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন না বিথি।

এই ব্যাপারে বিথি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি জানি না কী আমার অপরাধ। ফয়সাল যেই সময় আমার কাছে যা চাইত ও যেভাবে চলতে বলত আমি সব সময় সেই রকম চলতাম। আমরা দুজন যখন ঢাকাতে ভর্তি হই তখন ওর ইউনিভার্সিটির সেমিস্টার ফিসহ ওর যাবতীয় খরচ আমি বহন করেছি। আমার টিউশনির টাকা পুরোটা ফয়সালের হাতে তুলে দিতাম।

বিথির বাবা জানান, আমাদের মেয়ের সঙ্গে হওয়া সকল অন্যায়ের বিচার চাই।

এই ঘটনার পরে বিথির সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছে বিথি। যার মামলা নম্বর ৫৭৩/২০২৩।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ফয়সাল বিভিন্ন সময় তার স্ত্রীর কাছে যৌতুক দাবি করে। স্ত্রীর পরিবার কমবেশি ফয়সালকে টাকা-পয়সা দিতেন। এরই মধ্যে ফয়সাল পরনারীর প্রতি আকৃষ্ট হয়। এসব নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের ফাটল ধরে। ফয়সাল এ বছর ১৫ অক্টোবর তার স্ত্রীকে রেজিস্ট্রি তালাক দিয়ে সেই তালাক গোপন রেখে ১৯ অক্টোবর হতে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময় বরগুনার শ্বশুরের বাসায় তার স্ত্রীর সঙ্গে দৈহিক মেলামেশা করে। ৫ নভেম্বর সকালে ফয়সাল তার শ্বশুরের বাসা থেকে তাদের বাড়ি যাওয়ার সময় শ্বশুরের বাসায় যেখানে ফয়সাল ঘুমাতেন সেখানের বালিশের নিচে একটি খামে তালাকের নোটিশ গোপনে রেখে যায়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ফয়সাল গণমাধ্যমকে বলেন, মামলায় উল্লেখিত বিষয়গুলো মিথ্যা। তাকে ডিভোর্স দেওয়া হয়েছে। ওই মেয়ে আমার সঙ্গে সংসার করতে ইচ্ছুক, কিন্তু আমি ইচ্ছুক না।

Header Ad

দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম কাজ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা: ডোনাল্ড ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, জানুয়ারি মাসে দায়িত্ব গ্রহণের পর তার প্রথম কাজ হবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ‘আমেরিকা ফার্স্ট পলিসি ইন্সটিটিউট’ এর অনুষ্ঠানে এই বক্তব্য দিয়েছেন তিনি। এই অনুষ্ঠানটি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের পর এটিই তার জনসম্মুখে দেওয়া প্রথম দীর্ঘ বক্তব্য।

দায়িত্ব গ্রহণের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প অবিলম্বে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করবেন। যদিও কীভাবে কী করবেন, সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি। এরপর তিনি তার সমর্থকদের জানান, তার অন্যান্য অগ্রাধিকার হবে মধ্যপ্রাচ্য এবং ‘দুর্নীতিগ্রস্ত, ভঙ্গুর, ব্যর্থ প্রশাসনকে সাফ করা’। তবে এই পরিকল্পনাগুলো সম্পর্কেও তিনি বিস্তারিত বিবরণ না দিয়ে মঞ্চ ত্যাগ করেন।

আমেরিকা ফার্স্ট পলিসি ইন্সটিটিউট’ ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিজেরই সংস্থা। কারণ ২০২১ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় ওই সংস্থাটি। এই প্রতিষ্ঠান দ্বিতীয় ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একাধিক রক্ষণশীল নীতির প্রস্তাবনা তৈরি করেছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমরা যে এভাবে জিতে যাবো, তা কেউ জানতো না। এটি একটি বড় বিজয় ছিল। এসময় তিনি জনতার মাঝে থাকা অনেককে ধন্যবাদ দিয়েছেন। তাদের মাঝে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হ্যাভিয়ের মিলেই এবং হাউজ স্পিকার মাইক জনসনও রয়েছেন।

তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প টেসলার মালিক ইলন মাস্কের কথাও বারবার উল্লেখ করেছেন। ইলন মাস্ক গত কিছুদিন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে তার বাসভবনে ছিলেন।

‘তিনি এই জায়গাটি পছন্দ করেন। আমি তাকে বের করে দিতে পারি না। আমিও এখানে তাকে পেয়ে আনন্দিত,’ ইলন মাস্ককে মজা করে বলছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার পর এই সময়টিকে উপভোগ করছেন ট্রাম্প। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে, হোয়াইট হাউজে ফিরে যাওয়ার জন্য তিনি অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করছেন।

উল্লেখ্য, রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন। ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ গ্রহণ করবেন তিনি। সেদিন থেকে ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ও দায়িত্ব, দুই-ই গ্রহণ করবেন। নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগ পর্যন্ত সময়কে বলা হয় ‘রূপান্তরকালীন সময়’।

Header Ad

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঢাকা সিটি কলেজ, কী হবে ১০ হাজার শিক্ষার্থীর?

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঢাকা সিটি কলেজ। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা সিটি কলেজে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন বিঘ্নিত হচ্ছে। অভিভাবকরাও সন্তানদের লেখাপড়া নিয়ে হতাশায় পড়েছেন। শুধু তাই নয়, তারা কারও কাছে অভিযোগ করারও সাহস পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে ‘অবৈধভাবে’ নিজেই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ নেওয়ার অভিযোগে অধ্যাপক মো. নেয়ামুল হক ও ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ মোখলেছুর রহমানের পদত্যাগের দাবিসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিল শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে ১৮ দিন (শুক্রবার ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত)। শিগগিরই কলেজ খুলবে এমন কোনও নিশ্চয়তাও নেই।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, আগের অধ্যক্ষ অধ্যাপক বেদার উদ্দিনকে জোর করে পদত্যাগ করিয়ে অধবৈধভাবে পদ দখল করেন অধ্যাপক মো. নেয়ামুল হক। তিনিই উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেন মোখলেছুর রহমানকে। আন্দোলনের কারণে ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ মোখলেছুর রহমান পদত্যাগ করেছেন। তবে নেয়ামুল এখনও পদত্যাগ করেনি।

গত ২৮ অক্টোবর পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জন করে অবৈধ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের অপসারণ, বৈধ অধ্যক্ষকে ফিরিয়ে আনাসহ কয়েক দফা দাবিতে প্রতিষ্ঠানের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন ছাত্রছাত্রীরা। পরদিনও ক্লাস পরীক্ষায় অংশ না দিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে নেন তারা। গভর্নিং বডি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা। তবে তারা ক্লাসে ফেরেননি এবং পরীক্ষায়ও অংশ নেননি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাসে ফিরবেন না এবং পরীক্ষাতেও অংশ নেবে না বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

এভাবে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত গড়ালে ঢাকা সিটি কলেজ কর্তৃপক্ষ ওইদিনই নোটিশ দিয়ে কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। নোটিশে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান বন্ধের কথা জানানো হয়। এরই মধ্যে জোর করে পদে বসা ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ মোখলেছুর রহমান পদ ছেড়ে দেন।

অভিযোগ উঠেছে, অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের পদ দখল করতে কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মো. নেয়ামুল হক বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের নিয়ে এসে একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন গত ৭ আগস্ট। অধ্যক্ষ মো. বেদার উদ্দিনকে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই নেওয়া হয়। ঘটনার পর ওই দিনই সন্ধ্যায় (৭ আগস্ট) নেয়ামুল হক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব বুঝে নেন। সেদিনই কলেজের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক মোখলেছুর রহমানকে নিয়োগ দেন কলেজের উপাধ্যক্ষ পদে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের চেয়ারে বসেই নেয়ামুল হক নোটিশ জারি করেন পরদিন ৮ আগস্ট জরুরি সভা করার জন্য।

অন্যদিকে ৮ আগস্ট ‘শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ’ হওয়ার কারণ দেখিয়ে গভর্নিং বডির চেয়ারম্যানের কাছে এক মাসের ছুটির আবেদন করেন অধ্যক্ষ বেদার উদ্দিন। এদিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হয়ে অধ্যাপক কাজী নেয়ামুল হক গত ১১ আগস্ট অধ্যক্ষ এবং ‘কোনও কারণ ছাড়াই’ ছয় শিক্ষককে অফিস আদেশ দিয়ে কলেজে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।

জোর করে পদত্যাগ করানোর বিষয়ে মো. বেদার উদ্দিন হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের কারেন। গত ২৭ অক্টোবর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর একটি আদেশ দেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের নিয়োগ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না– তা চার সপ্তাহের মধ্যে জানাতে রুল জারি করা হয়। আদেশে আবেদনকারীর আবেদন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিতদফতরের মহাপরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত সাপেক্ষে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়।

গভর্নিং বডির সভাপতি ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘উচ্চ আদালনের আদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্টরা আইনগতভাবে বাস্তবায়ন করবেন। আরেকটি বিষয় হচ্ছে—শিক্ষার্থীদের দাবি, কলেজে রেগুলার অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগ দিতে হবে। কিন্তু এই নিয়োগ দিতে তো সময় লাগবে। আমরা চেষ্টা করেছিলাম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আগে কোনোভাবে একজন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ করার। কিন্তু তারা (শিক্ষার্থী) কোনোভাবেই মানছে না। নিয়োগ দেওয়া সময়সপেক্ষ ব্যাপর। এখন অ্যাক্টিং প্রিন্সিপ্যাল ও ভাইস-প্রিন্সিপ্যালকে সরিয়ে দিতে হবে, পদত্যাগ করাতে হবে। আমরা ভাইস-প্রিন্সিপ্যালকে পদত্যাগ করালাম এবং অ্যক্টিং ভাইস-প্রিন্সিপ্যাল দিলাম, আর প্রিন্সিপ্যাল যিনি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে আছেন তিনি। যেহেতু নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়ে গেছে, সেহেতু নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এখন গভর্নিং বডি নিয়ে আমরা বসবো। দুই- একদিনের মধ্যে বসে সিদ্ধান্ত নেবো।

ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘মামলা করায় এখন আরও ঝামেলা হবে। আমরা অধ্যক্ষ নিয়োগ দিতে পারবো না। এখন আইনগতভাবে এগোবার চেষ্টা করবো।’ আপাতত অনলাইনে ক্লাস নেওয়া যায় কিনা সে আলোচনা করবো।

কয়েকজন অভিভাবক বলেন, সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছিল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম। অধ্যক্ষকে সরিয়ে কলেজে সমস্যা তৈরি করা হয়েছে। এর বিরূপ ফলাফল ভোগ করছি আমরা। আমাদের সন্তানদের কথা না ভেবে পদ দখলের লড়াইয়ে কলেজটি বন্ধ করে দেওয়া হলো। আমাদের সন্তানদের শিক্ষার কী হবে ভেবে আমরা চিন্তিত।

Header Ad

জুমার নামাজ শেষে কাকরাইল ছাড়লেন সাদপন্থিরা

জুমার নামাজ শেষে কাকরাইল ছাড়লেন সাদপন্থিরা। ছবি: সংগৃহীত

নিজেদের অবস্থান জানান দিতে কাকরাইল মসজিদসহ আশেপাশের সড়কে পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে মোনাজাতের পর অবস্থান ছেড়ে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যাচ্ছেন উপস্থিত মুসল্লিরা। ফলে ফাঁকা হতে শুরু করেছে কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের এলাকা।

এর আগে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে কাকরাইল মারকাজ মসজিদে শুরু হয় জুমার নামাজ এবং শেষ হয় সাড়ে ১২টায়। এরপর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে শুরু হওয়া মোনাজাত শেষে দুপুর ১টার দিকে দাওয়াতি কার্যক্রমে না থাকা সাদ অনুসারীরা কাকরাইল এলাকা ছাড়তে থাকেন।

মাওলানা সাদকে আগামী ইজতেমায় আসতে দেওয়া হবে না, জুবায়েরপন্থিদের এমন ঘোষণা ও দুই পক্ষের উত্তেজনার মধ্য দিয়ে শুক্রবার সকাল থেকেই কাকরাইল মসজিদ ও তার আশেপাশের এলাকায় অবস্থান নিতে শুরু করেন সাদপন্থিরা।

কাকরাইল মসজিদ থেকে জমায়েত ছড়ায় নয়াপল্টন ও মৎস্যভবন পর্যন্ত। দুপুর ১২টার আগে হাজার হাজার লোকে পরিপূর্ণ হয়ে যায় কাকরাইল এলাকা। নিরাপত্তার স্বার্থে কাকরাইল মসজিদের পাশে, রমনা ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যাওয়ার পথটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। কাকরাইল এলাকায় অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

পরে তারা রাস্তার ফুটপাতে নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে সাদপন্থিদের কাকরাইল এলাকায় আসা-যাওয়ার পথে বেশকিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অনুসারীদের চলতি পথে সেসব নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে। সেই নির্দেশনা মেনেই অনুসারী কাকরাইল ছেড়েছেন।

নির্দেশনাগুলো হচ্ছে, মৎস্যভবন থেকে শাহবাগের রাস্তা যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করা যাবে, কিন্তু কোনো অবস্থান করা যাবে না। অবস্থান করা যাবে কাকরাইল মসজিদের পূর্ব এবং উত্তর ও দক্ষিণে। রমনা পার্কে কোনো সাথী প্রবেশ করবে না, কাকরাইল মসজিদের উত্তর অংশ থেকে হোটেল শেরাটন পর্যন্ত কেউ চলাচল করবে না, মসজিদ থেকে মগবাজার পর্যন্ত যাতায়াত করা যাবে, কিন্তু অবস্থান করা যাবে না। শাহবাগ থেকে টিএসসসি এবং পরে দোয়েল চত্বর হয়ে হাইকোর্ট মাজার পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কেউ ঘোরাঘুরি করবে না ও কোনো প্রয়োজনেই সেখানে যাবে না, মেট্রোরেল দেখার জন্য মেট্রো স্টেশনে কেউ প্রবেশ করবে না; রাস্তার আশপাশে কেউ মানবিক জরুরিরত (ইস্তিঞ্জা) পুরা করবে না; রাস্তায় কোনো ময়লা-আবর্জনা ফেলা যাবে না। বরং কোনো আবর্জনা দেখলে নিজ দায়িত্বে পরিস্কার করে দেবো; কোনো ভাই অসুস্থ হলে মেডিকেল টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করবে; কোনো স্থানে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে শুধু জিম্মাদাররাই তাৎক্ষণিক সমাধানের চেষ্টা করবে। অপরাধীকে প্রয়োজনে প্রশাসনের হাতে সোপর্দ করবে। নিজের হাতে অবশ্যই কেউ আইন তুলে নেবো না।

এই জমায়েত ও তাবলিগে বিরোধ নিয়ে কথা হয় একাধিক সাদপন্থি অনুসারীর সঙ্গে।সহিদুল নামের একজন বলেন, তাবলিগে কোনো বিভক্তি নেই। হেফাজতে ইসলাম তাবলিগে প্রবেশ করে ঝামেলা তৈরি করেছে। আমরা আগেও এক প্লেটে খাবার খেয়েছি। আগামীতে তাবলিগে কোনো বিভক্তি থাকবে না।

মাওলানা সাদকে ইজতেমায় আসার সুযোগ দিতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানান কামরুল ইসলাম নামের একজন। তিনি বলেন, প্রতিবার জুবায়েরপন্থিরা ইজতেমা করে। তারা পুরো ইজতেমা ময়দান নোংরা করে ফেলে। এবার আমরা আগে করবো। সাদ সাহেব তার বয়ানের মাধ্যমে সব বিভক্তি দূর করবেন। আগামীতে আরও বড় জমায়েত করা হবে বলেও জানান এই অনুসারীরা।

এদিকে, কাকরাইল মসজিদে অবস্থানের ক্ষেত্রে তাবলিগের দুই গ্রুপের মধ্যে মাওলানা জুবায়েরপন্থিরা চার সপ্তাহ ও মাওলানা সাদপন্থিরা দুই সপ্তাহ করে পর্যায়ক্রমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। সেই নিয়ম অনুযায়ী, আজ সাদপন্থিরা কাকরাইল মসজিদে অবস্থান নেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম কাজ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা: ডোনাল্ড ট্রাম্প
অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঢাকা সিটি কলেজ, কী হবে ১০ হাজার শিক্ষার্থীর?
জুমার নামাজ শেষে কাকরাইল ছাড়লেন সাদপন্থিরা
তিন মাস পর ‘গাজীপুর সাফারি পার্ক’ নামে চালু হলো সাফারি পার্ক
দেশে বিনিয়োগ করলে আমরা পাশে থাকব : লন্ডনে জামায়াত আমীর
দিল্লিতে ভয়াবহ বায়ুদূষণ: বন্ধ প্রাইমারি স্কুল, অনলাইনে পাঠদান
ঢাবি ছাত্রদলের নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানাল ছাত্রশিবির
গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় আরো ৪৫ জন নিহত
জুলাই বিপ্লবের ১০০তম দিন আজ, দিনব্যাপী নানা আয়োজন
মুজিববাদের বিরুদ্ধে লড়াইটা শতগুণ কঠিন : আসিফ মাহমুদ
কৃতকর্মে নেই অনুশোচনা, ক্ষমতা হারানোকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে আওয়ামী লীগ
হালাল অর্থনীতির বিকাশে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ইন্দোনেশিয়ার
আজীবন ফ্রি চিকিৎসাসেবা পাবেন গণঅভ্যুত্থানে আহতরা
টাঙ্গাইলে যুবলীগ নেতাসহ ৩ জন গ্রেফতার
এক কর্মস্থলে ৩ বছর হলেই বদলি, পরিপত্র জারি
৩১ দফা নিয়ে নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের মতবিনিময়
বাংলাদেশের চারদিকে কোনো বন্ধু রাষ্ট্র নেই: আসিফ নজরুল
দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের নামে ৩ স্টেডিয়ামের নামকরণ
শিল্পপতিকে হত্যার পর ৭ টুকরো করে লেকে ফেলে দেন পরকীয়া প্রেমিকা