বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ | ১১ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

পুরোপুরি বন্ধ পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র

কয়লা না থাকায় শেষ পর্যন্ত বন্ধই হয়ে গেল দেশের বৃহত্তম ও সর্বাধুনিক পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। সোমবার (৫ জুন) বেলা ১২টা ১০মিনিটের দিকে দ্বিতীয় ইউনিটটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে দেশের বৃহত্তম এ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।

গত ২৫ মে কয়লা সংকটে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট বন্ধ হয়েছিল। কয়লার মজুত ফুরিয়ে যাওয়ায় বাকি আরেকটি ইউনিট বন্ধ হয়ে গেছে।

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্র বলছে, পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লার দাম ৩০০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সময় মতো ডলার ছাড় করতে রাজি না হওয়ায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। গত মাসে চীনা বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপর নড়েচড়ে বসে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। তারা ৩০০ মিলিয়ন ডলার মধ্যে ১০০ মিলিয়ন ডলার দিতে সম্মত হয়।

পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের খামখেয়ালিকে দায়ী করেছেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, কয়লা আমদানির জন্য ডলারের জন্য বাংলাদেশের ব্যাংকে বারবার আবেদন করে প্রত্যাখ্যান হয়েছেন তারা।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকৌশলী জোবায়ের আহমেদ বলেন, আমাদের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্য অনুযায়ী ৪০০ টনের মতো কয়লা মজুত রয়েছে। যা দিয়ে কেন্দ্রটি বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চালানো যাবে। এরপর তা বন্ধ হয়ে যাবে।

দেশে তীব্র তাপদাহের মাঝে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনগণ। এর মাঝে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বন্ধের খবর জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। দেশে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রায় ১০ ভাগই আসে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। কেন্দ্রটি সংকটের মধ্যে প্রতিদিন ১ হাজার ২৪৪ মেগাওয়াট ক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে। এমন পরিস্থিতিতে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লোডশেডিং আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদনের সক্ষমতা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। উৎপাদনে যাওয়ার এবারই প্রথম কয়লা সংকটের কারণে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেলে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।

Header Ad
Header Ad

কুয়েট উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে অপসারণ প্রক্রিয়া শুরু

ছবি: সংগৃহীত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) গভীর রাতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুয়েটের সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনতিবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে।

অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

গোল্ডেন ভিসায় দুবাইয়ে সম্পদের পাহাড়, ৭০ জনকে চিহ্নিত করেছে দুদক

ছবি: সংগৃহীত

দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশীর অর্থপাচার করে গোল্ডেন ভিসায় সম্পদের পাহাড় গড়ার অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমে ইতোমধ্যে ৭০ জনকে চিহ্নিত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এই ৭০ জনের কর শনাক্তকরণ নম্বরসহ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র চেয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে। চিঠির মাধ্যমে এই তথ্য চাওয়া হলেও সেখানে তাদের পদ বা বিস্তারিত পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি।

দুদকের উপপরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের লিডার রাম প্রসাদ ম-লের সই করা চিঠির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। চিঠিতে এনবিআর চেয়ারম্যানকে তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের ই-টিআইএন, আয়কর রিটার্নসহ সব প্রাসঙ্গিক তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। চিঠিতে সুইস ব্যাংকসহ বিভিন্ন বিদেশী ব্যাংকের মাধ্যমে পাচার করা অর্থের মাধ্যমে দুবাইয়ে সম্পত্তিগুলো কেনা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, ‘চিঠির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধান কর্মকর্তা বলতে পারবেন। দুদকের অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় অনুসন্ধান কর্মকর্তা তার প্রয়োজনে যে কোনো নথিপত্র তলব করতে পারেন। সেটা সম্পূর্ণ তার এখতিয়ার।’

চিঠিতে সুইস ব্যাংকসহ বিভিন্ন বিদেশী ব্যাংকের মাধ্যমে পাচার করা অর্থের মাধ্যমে দুবাইয়ে সম্পত্তিগুলো কেনা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

চিঠিতে চিহ্নিত এই ৭০ জনকে ‘ভিআইপি’ বাংলাদেশী হিসেবে উল্লেখ করেছে দুদক। এই তালিকায় রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীসহ বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরাও আছেন।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে (দুবাই) তাদের ৯৭২টি স্থাবর সম্পত্তি কেনার অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের কর শনাক্তকরণ নম্বর (ই-টিআইএন), আয়কর রিটার্নসহ যাবতীয় তথ্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে তথ্য তলব করেছে সংস্থাটি।
দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে জারি করা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, অর্থপাচারের অভিযোগের অনুসন্ধানে দুদক উপপরিচালক রাম প্রসাদ মন্ডলের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, সংশ্লিষ্ট অভিযোগের নিরপেক্ষ অনুসন্ধান নিশ্চিত করতে ৪৫৯ ব্যক্তির নাম-পরিচয়সহ কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) সার্টিফিকেট এবং সংশ্লিষ্ট কর সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য (ভিউ ডিটেইলস) সংগ্রহ জরুরি। এজন্য এনবিআরকে তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের কর সংক্রান্ত রেকর্ড আগামী ২৯ এপ্রিলের মধ্যে দুদকে পাঠাতে অনুরোধ করা হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী অর্থপাচারবিরোধী লড়াইয়ের অংশ হিসেবে এ ধরনের অনুসন্ধানকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে দুদক। সংস্থাটি মনে করছে, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ এবং সম্পদ শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব হবে।
দুদকের এই অনুসন্ধান এমন সময়ে সামনে এলো, যখন আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজ’ ও ইউরোপীয় সংস্থা ‘ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি’ জানিয়েছে, ২০২০ সাল পর্যন্ত ৪৫৯ বাংলাদেশী নাগরিক দুবাইয়ে মোট ৯৭২টি আবাসিক ও বাণিজ্যিক সম্পত্তি কিনেছেন। যার কাগজে-কলমে মূল্য প্রায় ৩১৫ মিলিয়ন ডলার। তবে প্রকৃত বিনিয়োগ আরও বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।
তালিকাভুক্ত ৭০ জনের মধ্যে রয়েছেন, রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী, আমলা, বিদেশে বসবাসরত প্রবাসী বিনিয়োগকারীসহ নানা পেশার লোকজন। যদিও দুদক এখনো কারও পূর্ণ পরিচয় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি।

সূত্র জানায়, দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সহযোগিতায় তালিকাটি প্রস্তুত করা হয়। ইতোমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। এরই অংশ হিসেবে এনবিআরের কাছে তাদের আয়কর রিটার্ন ও টিআইএনসহ যাবতীয় কর সংক্রান্ত তথ্য তলব করা হয়েছে।

এর আগে, ২০২৩ সালে দুদক এ বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) তথ্য পাঠায়। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্ট এক আদেশে এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের পাচার অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ায় এবং বৈদেশিক মুদ্রার ওপর চাপ তৈরি করে। বিশেষ করে দেশের অভ্যন্তরে বিনিয়োগ না করে বাইরে সম্পদ গড়ার প্রবণতা নীতিনির্ধারকদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।

সরকার ইতোমধ্যে পাচারকৃত অর্থ ফেরাতে ‘বিশেষ আইন’ প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে বলে প্রেস সচিব জানিয়েছেন। এনবিআরও ‘আন্তর্জাতিক কর বিশেষজ্ঞ’ নিয়োগের চিন্তা করছে।

দুদকের অনুসন্ধান ও এনবিআরের তথ্য যাচাইয়ের পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।

দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘বিদেশে সম্পদ রাখার বৈধ উপায় থাকলেও অনেকে তা গোপন করে পাচার করেছেন বলে প্রাথমিক তথ্য রয়েছে। এনবিআরের কর রেকর্ডের সঙ্গে এসব তথ্য মিলিয়ে দেখা হবে। অপরাধের প্রমাণ মিললে মামলা করা হবে।’
তিনি জানান, দুবাইয়ে ‘গোল্ডেন ভিসা’ নেওয়ার শর্ত অনুযায়ী, নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সেখানে বিনিয়োগ বা জমা রাখতে হয়। সেই অর্থ বাংলাদেশ থেকে কীভাবে পাঠানো হয়েছে, বৈধ রেমিটেন্স নাকি হুন্ডিÑ তা বিশ্লেষণ করছে দুদক।

চিঠিতে চিহ্নিত সন্দেহভাজন ৭০ ভিআইপির নামও উল্লেখ করা হয়েছে, যাদের বিষয়ে কর নথি তলব করা হয়েছে। তারা হলেন, আহসানুল করীম, আনজুমান আরা শহীদ, হেফজুল বারী মোহাম্মদ ইকবাল, হুমায়রা সেলিম, জুরান চন্দ্র ভৌমিক, মো. রাব্বী খান, মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, মোহাম্মদ অলিউর রহমান, এস এ খান ইখতেখারুজ্জামান, সাইফুজ্জামান চৌধুরী, সৈয়দ ফাহিম আহমেদ, সৈয়দ হাসনাইন, সৈয়দ মাহমুদুল হক, সৈয়দ রুহুল হক, গোলাম মোহাম্মদ ভুঁইয়া, হাজী মোস্তফা ভুঁইয়া, মনজ কান্তি পাল, মো. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, মো. মাহবুবুল হক সরকার, মো. সেলিম রেজা, মোহাম্মদ ইলিয়াস বজলুর রহমান, এস ইউ আহমেদ, শেহতাজ মুন্সী খান, এ কে এম ফজলুর রহমান, আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহ, চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, গুলজার আলম চৌধুরী, হাসান আশিক তাইমুর ইসলাম, হাসান রেজা মহিদুল ইসলাম, খালেদ মাহমুদ, এম সাজ্জাদ আলম, মোহাম্মদ ইয়াসিন আলী, মোস্তফা আমির ফয়সাল, রিফাত আলী ভুঁইয়া, সালিমুল হক ঈসা /হাকিম মোহাম্মদ ঈসা, সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান /সৈয়দ কামরুজ্জামান, সৈয়দ সালমান মাসুদ, সৈয়দ সাইমুল হক, আবদুল হাই সরকার, আহমেদ সামীর পাশা, ফাহমিদা শবনম চৈতি, মো. আবুল কালাম, ফাতেমা বেগম কামাল, মোহাম্মদ আল রুমান খান এবং মায়নুল হক সিদ্দিকী।

এ ছাড়াও তালিকায় আরও যেসব নাম রয়েছে- মুনিয়া আওয়ান, সাদিক হোসেন মো. শাকিল, আবদুল্লাহ মামুন মারুফ, মোহাম্মদ আরমান হোসেন, মোহাম্মদ শওকত হোসেন সিদ্দিকী, মোস্তফা জামাল নাসের, আহমেদ ইমরান চৌধুরী, বিল্লাল হোসেন, এম এ হাশেম, মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন চৌধুরী, নাতাশা নূর মুমু, সৈয়দ মিজান মোহাম্মদ আবু হানিফ সিদ্দিকী, সায়েদা দুররাক সিনদা জারা, আহমেদ ইফজাল চৌধুরী, ফারহানা মোনেম, ফারজানা আনজুম খান, কে এইচ মশিউর রহমান, এম এ সালাম, মো. আলী হোসেন, মোহাম্মদ ইমদাদুল হক ভরসা, মোহাম্মদ ইমরান, মোহাম্মদ রোহেন কবীর, মনজিলা মোর্শেদ, মোহাম্মদ সানাউল্যাহ চৌধুরী এবং মোহাম্মদ সরফুল ইসলাম।

এই তালিকা অনুসারে এনবিআর-এর কাছে তাদের ই-টিআইএন, আয়কর রিটার্নসহ যাবতীয় কর সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে দুদক।

Header Ad
Header Ad

রাজধানীতে বাড়তে পারে তাপমাত্রা, বৃষ্টির সম্ভাবনা কম

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকা এবং আশপাশের অঞ্চলের দিনের তাপমাত্রা আজ দুপুর পর্যন্ত আগের তুলনায় কিছুটা বাড়তে পারে। সেইসঙ্গে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। আবহাওয়া শুষ্ক থাকার সম্ভাবনাই বেশি।

বুধবার আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। দিনের তাপমাত্রাও সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। আর এসময় দক্ষিণ-পশ্চিম অথবা দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৬ শতাংশ। আর গতকাল (মঙ্গলবার) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়নি বলেও জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে, মঙ্গলবার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সারা দেশের আজকের সম্ভাব্য পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সেইসঙ্গে রাজশাহী, পাবনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলাগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুয়েট উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে অপসারণ প্রক্রিয়া শুরু
গোল্ডেন ভিসায় দুবাইয়ে সম্পদের পাহাড়, ৭০ জনকে চিহ্নিত করেছে দুদক
রাজধানীতে বাড়তে পারে তাপমাত্রা, বৃষ্টির সম্ভাবনা কম
গাজায় একদিনে আরও নিহত ৪৫, আহত শতাধিক
কাতারের বিনিয়োগকারীদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার
টাঙ্গাইলে ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বসতঘরে, কেড়ে নিল ঘুমন্ত নারীর প্রাণ
পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে বাংলাদেশে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক
আ.লীগ নিজেকে ভারতের কাছে নগ্নভাবে সঁপে দিচ্ছে: রাশেক রহমান
বাবার ‘ঠিকাদারি লাইসেন্স’ নিয়ে যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ
পাকিস্তানিদের বিশেষ ভিসা সুবিধা বাতিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ
বিএনপি সরকার গঠন করলে শিক্ষিত বেকারদের জন্য চালু হবে ভাতা: তারেক রহমান
এস আলমের ৪০৭ কোটি টাকার ১৫৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ
সীমান্তের সব ভিডিও সত্য নয়, আবার সবটা যে মিথ্যা তাও নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আন্দোলনের নামে রাস্তা অবরোধ না করার অনুরোধ ডিএমপির
টাঙ্গাইলে বেড়েছে গরমের তীব্রতা, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
সরকার সরিয়ে না দিলে পদত্যাগ করব না: কুয়েট ভিসি
বিরামপুরে ছিনতাইকালে পুলিশের হাতে 'ভুয়া সেনাসদস্য' আটক
হাসিনাকে যারা খুনি হতে সাহায্য করেছে, তাদেরও বিচার করতে হবে: সারজিস আলম
কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, খুললো আবাসিক হল
কাশ্মীরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’, মসজিদে ঘোষণার পর বিক্ষোভ শুরু