লাখ লাখ আলেমকে হত্যা করা হয়: শায়খে চরমোনাই
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই) বলেছেন, ভারত বর্ষে ইসলামের দাওয়াত পৌছেছে সাবাহায়ে কেরামের যুগেই। তখন থেকে ইসলাম এ দেশের মানুষের মনিকোঠায় স্থান করে নেয়। ইংরেজরা যখন নবাব সিরাজদ্দৌলাকে পরাজিত করে এদেশে তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে নেয় তখন থেকেই এদেশের মানুষ পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ। কিন্তু চির স্বাধীন ওলামায়ে কেরাম এ পরাধীনতাকে মেনে নিতে পারে না। তারা স্বাধীনতার পক্ষে বিদ্রোহ ও সংগ্রামের উপর্যপরি কর্মসূচি দিয়ে অতিষ্ট করে তোলেন ক্ষমতাশীন ইংরেজ বেনিয়াদেরকে। তাদের ছড়ানো স্বাধীনতার সেই চেতনা ক্রমান্বয়ে আন্দোলিত হয় সারা দেশে।
১৭৫৭ সালে স্বাধীনতা আন্দোলনের পর পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় লোমহর্ষক নির্যাতনের স্বীকার হতে হয় ওলামায়ে কেরামকে। লাখ লাখ আলেমকে প্রকাশ্যে জবাই করা হয়। কোন আলেমকে দেখলেই তাদের নির্বিচারে হত্যা করা হতো। বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) বিকালে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগর এর উদ্যোগে 'নবীন আলেম সংবর্ধনা' অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এক কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ১৭৫৭ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে ২ লাখ মুসলমান শাহাদাৎ বরণ করেছিল। তাদের মধ্যে ওলামায়ে কেরামের সংখ্যাই ছিল ৫১ হাজার ৫শ জন। ১৭৫৭ সালের ১৮ ই নভেম্বর দিল্লি জামে মসজিদের আঙ্গিনায় এক দিনেই তারা ২৭ হাজার মুসলমানকে শহীদ করে। আলেমদের রক্তের বিনিময় এ দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, ওলামায়ে কেরামগণ এদেশের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগরের সভাপতি মুহাম্মাদ জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গাজী মুহাম্মাদ রেদোয়ান এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক জেনারেল মুহাম্মাদ ইবরাহীম হুসাইন মৃধা, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ বরিশাল মহানগর সভাপতি আল্লামা ওবায়দুর রহমান মাহবুব, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগর সহ-সভাপতি মাওলানা সৈয়দ নাসির আহমেদ কাওছার প্রমুখ।
এএজেড