বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা ভাঙচুরের অভিযোগ
ভোলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপির শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা ও বিএনপি নেতা কর্মিদের বসতবাড়িতে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। জেলার সদর উপজেলা ও বোরহানউদ্দিন উপজেলায় এ হামলা ও বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি।
আজ শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার পরে থেকে বিএনপির ৩ নেতাকর্মীকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলেছেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপির কোনো গণপদযাত্রা হয়নি।
এদিকে সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহজাহান বেপারির বাড়িতে দুপুর তিনটায় হামলা ও বসত ঘরে ভাঙচুরসহ একটি মটর সাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সভাপতি শাহজাহান বেপারি।
অপরদিকে ভেলুমিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি মো. ফারুক গাজী জানান, সকালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী তাকে ভেলুমিয়া বাজারে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এতে সে গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসীমউদ্দিন ফরিদ জানিয়েছেন, পক্ষিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন সর্দার ও সাবেক চেয়ারম্যান নাগর হাওলাদারের লোকজন তার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে হামলাসহ তাকে ও তাঁর ছেলেকে বেধড়ক মারধর করে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাকে কুপিয়ে জখম করে। তাঁর মাথায় ৪৮টি সেলাই করা হয়েছে।
পক্ষিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি কাজী মাওলানা মোসলেউদ্দিন,তিনি জানান, ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপির শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা বিনষ্ট করতে সরকার দলীয় নেতা-কর্মীরা তাকেসহ ৭-৮ জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। ভেলুমিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মাষ্টার জানান, বিএনপির উপর কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। আজ ভেলুমিয়া ইউনিয়নে বিএনপির কোনো পদযাত্রা ছিলোনা বলেও জানিয়েছেন আব্দুস সালাম মাষ্টার।
এদিকে আজ শনিবার দুপুরে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির নেতাকর্মীদের দেখতে যান ভোলা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলহাজ্ব রাইসুল আলম। তিনি ঢাকা প্রকাশকে বলেন, সরকার দলীয় নেতা-কর্মীরা বিএনপির ইউনিয়ন পর্যায়ের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা বিনষ্ট করার লক্ষ্যে পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। সরকার দলীয় লোকজনের কারণে বিএনপি ইউনিয়ন পর্যায়ে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা করতে পারছে না। এ পর্যন্ত জেলায় অন্তত ৮০ জন বিএনপি নেতাকর্মী সরকার দলীয় নেতা-কর্মীদের হামলায় আহত হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকির জানান, বিএনপির পদযাত্রায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে সদর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের বিশেষ বিশেষ স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। তবে দুপুর দুইটা পর্যন্ত ভোলা সদর উপজেলার কোথাও কোনো ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এএজেড