তালিকাভুক্তির যাচাই-বাছাই নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষোভ
বরগুনার বামনায় সঠিক মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্তির জন্য যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে কমিটির বহির্ভূত ব্যক্তিদের উপস্থিতি ও অযাচিত হস্তক্ষেপ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা।
গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে বামনা উপজেলায় যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস কক্ষে তিন দিনব্যাপী উপজেলার ৪ ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধাদের এ যাচাই-বাছাইয়ের এ কার্যক্রম শেষ হয় বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি)।
উপজেলায় এই যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শফিকুল ইসলামকে সভাপতি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অন্তরা হালদারকে সদস্য সচিব ও বীরমুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহম্মেদকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়।
জানা গেছে, বামনায় ২২৮ জন তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। ৪৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। এর বাইরে আরও ২০ জন আবেদনকারী ডিজিআই নম্বর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সুপারিশসহ আবেদন করেছেন।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও বামনা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. নেছার উদ্দিন বলেন, যাচাই-বাছাইয়ের তিন সদস্যের কমিটির সদস্যদের উপস্থিত থেকে যাচাই-বাছাই করার নিয়ম থাকলেও কমিটির বাইরের কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত থেকে হস্তক্ষেপ করে যাচাই প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করেছেন। যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
বামনার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. জয়নাল আবেদীন খান বলেন, যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় বরগুনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার আব্দুর রশিদ, বামনা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের আব্দুস সোবাহান, নুরুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফাসহ একাধিক অননুমোদিত ব্যক্তি উপস্থিত থেকে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় প্রভাবিত করেছেন। এতে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু কীসের বিনিময় এবং কাদের পক্ষে তারা জোট বেঁধে হস্তক্ষেপ করলেন?
তিনি আরও বলেন, সাবেক জেলা কমান্ডার আব্দুর রশিদ নিজেই বিতর্কিত লোক। তিনি যুদ্ধকালীন ভারতে ছিলেন। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে তার জানার কথা নয়। তার উপস্থিতি যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করেছে।
এ ব্যাপারে সাবেক জেলা কমান্ডার আব্দুর রশিদ বলেন, আমাদের যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা, কেউই বাইরের না। আর আমরা কেউই প্রভাব বিস্তার করিনি। এগুলো প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছুই না।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব অন্তরা হালদার বলেন, এ ক্ষোভ সঠিক নয়। এখানে উন্মুক্ত যাচাই-বাছাই হচ্ছে, যে কেউ থাকতে পারবে। এতে কোনো বিধি-নিষেধ নেই এবং সরকারি কোনো বিধি-নিষেধ আরোপিত হয়নি। তারা কোনো প্রভাব বিস্তার করছেন না।
এসএন