মানিক মিয়া মহিলা কলেজের গাছ কাটার অভিযোগ
বরিশাল নগরীরর বেগম তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মহিলা কলেজের মধ্যের গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে কিছু গাছ কাটা হয়েছে। বাকি গাছগুলো মার্কিং করা হয়েছে কাটার জন্য। এতে কলেজের প্রকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে বলে মনে করেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
একাধিক শিক্ষকের অভিযোগ, গাছগুলো কেটে ফেলে কলেজের সুন্দর পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে। ম্যানেজিং কমিটির নামে এবং সাবেক অধ্যক্ষ মো. আবুল কাশেম এই কাজ করছেন।
কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আসমা চৌধুরীর বলেন, কে বা কারা কেন গাছ কাটছে আমরাও জানি না। কলেজের মধ্যে থাকা গাছগুলো ছায়া দেয়। এর নিচে শিক্ষার্থীরা বসে। সেই গাছগুলো কেটে ফেললে সুন্দর পরিবেশটা আর থাকবে না।
তবে এব্যাপারে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষর কাছে জানতে চাইলে তিনিও কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। তার দাবি, কলেজ প্রাঙ্গনে থাকা গাছ আর যেন কাটা না হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মহিলা কলেজের প্রবেশ পথে থাকা বেশ কয়েকটি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। কাটা গাছের মূল উৎপাটন করছে শ্রমিকরা পরে সেই গর্ত মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। যাতে বোঝা না যায় গাছ কাটা হয়েছে।
অন্যদিকে কেটে ফেলা গাছগুলো ট্রাকে বোঝাই করে ক্যাম্পাস থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে ক্যাম্পাসের বেশকিছু গাছে লাল রং দিয়ে মাকিং করা আছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানিয়েছেন, ম্যানেজিং কমিটিকে ম্যানেজ করে এই গাছ কেটে সাবার করা হচ্ছে। অবসর নেওয়া কলেজ অধ্যক্ষকে কলেজে রেখে তার মাধ্যমেই গাছ কাটার কাজ করা হচ্ছে।
এব্যাপারে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মোকলেচুর রহমান বলেন, গাছ কাটার জন্য বন বিভাগে আবেদন করা হয়েছে। অনুমতি নিয়েই গাছ কটা হয়েছে। কিছু গাছ নিলামে দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর মার্কিং করা হয়েছে। আর রাস্তা নির্মাণের জন্য ছোট ছোট কিছু গাছ কাটা হয়েছে।
বন বিভাগের বরিশাল সদরের রেঞ্জার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মহিলা কলেজ কর্তৃপক্ষ গাছ কাটার জন্য কোন প্রকার আবেদন করেনি। কিন্তু এরকম কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে এব্যাপারে ডিএফওর কাছে আবেদন করলে তিনি আমাদের জানাবেন।
এএজেড