'মধ্যবিত্ত-নিন্মবিত্তদের দাবি আদায়ে সংগ্রাম চলবে'

বাংলাদেশর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এমপি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, আমলাদের তৈরি করা সর্বজননী পেনশন স্কেল রিপোর্ট সংসদে আসছে কিন্তু সেখানে কোন খেতমুজরদের কথা উল্লেখ নেই। এই বিলে আমরা রাজি নই। এই সর্বজননী পেনশন স্কেলে আবশ্যিক ভাবে স্কিমে খেতমজুরদের জমাবিহীন পেনশনের ব্যবস্থা করতে হবে। খেতমজুরসহ গ্রামীন গরীবদের জন্য পূর্ণ রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
যখন করোনার আঘাতে দেশ অনিশ্চয়তার মধ্যে পরেছে তখন আমার দেশের চাষিরা, খেতমজুররা উৎপাদন টিকিয়ে রেখেছে বলে সে সময় করোনা পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির খানপুরা অফিস চত্বরে খেতমজুর ইউনিয়ন বাবুগঞ্জ উপজেলা কমিটির সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
এমপি রাশেদ খান মেনন বলেন, সংবাদ পত্রের মাধ্যমে জানতে পেরেছি আমাদের ওয়াসার এমডি ১৪ টি বাড়ি কিনে ফেলছেন যুক্তরাজ্যে। বড় বড় পাচার কারিদেরে নাম প্রকাশ করা হয়। কিন্তু সরকার কিছু বলছে না।
আমি ৪ বছর আগে বরিশালের জনসভায় বলেছিলাম আমাদের দেশ থেকে ১০ বছরে ৯ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। সেই টাকা দিয়ে কানাডায় বেগম পারা তৈরি করা হয়েছে। আপনারা আশ্বস্ত থাকেন আমার আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে নিশ্চিত ভাবে জমাবিহীন পেনশনের দাবি আদায় করবো।
বাবুগঞ্জ উপজেলা খেতমজুর ইউনিয়নের আহবায়ক মো. আনোয়ার হোসেন মাস্টার এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিন হোসেন এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, খেতমজুর ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক নজরুল হক নিলু, কেন্দ্রীয় খেতমজুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন রাজু, বরিশাল জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ এ্যাড. শেখ মোঃ টিপু সুলতান, কৃষক নেতা মোজাম্মেল হক ফিরোজ, কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা অধ্যাপক আব্দুল মোতালেব হোসেন, বাবুগঞ্জ উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অধ্যাপক গোলাম হোসেন প্রমুখ।
এএজেড
