ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে ভোলায় ৫ জনের মৃত্যু

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে গাছচাপায়, পানিয়ে ডুবে ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ভোলায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, পানের বরজ, মাছ ধরার নৌকা। পুকুর তলিয়ে ভেসে গেছে মাছ।
জানা গেছে, ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়ায় গাছচাপায় মফিজুল ইসলাম (৭০), দৌলতখানে ঘরের উপর গাছ পড়ে খাদিজা বেগম (৮০) নামে এক বৃদ্ধা, চরফ্যাশনে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে গাছচাপায় মনির খন্দকার নামে একজন মৃত্যু হয়েছে। সোমবার মধ্যরাতে লালমোহন উপজেলায় পানিতে ডুবে এক গৃহবধূ এবং জমিতে পরে থাকা বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে সদর উপজেলার আলিনগরে এক বৃদ্ধা মারা গেছেন।
লাল মোহনের লর্ড হার্ডিঞ্চ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জানান, গতকাল দিবাগত রাত ৩টার দিকে ফাতেমাবাদ গ্রামে জোয়ারের পানির উচ্চতা বাড়তে থাকে। এসময় ওই গ্রামের বাড়িগুলোতে পানি উঠতে শুরু করলে স্থানীয় লোকজন আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করেন। গভীর রাতে অন্ধকারের মধ্যে দৌড়াতে গিয়ে ফাতেমা বেগম বাড়ির পাশের একটি পুকুরে ডুবে যান। পুকুরে ডুবে মারা যান তিনি।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার ভোর রাতের দিকে স্থানীয়রা পুকুর থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেন।
এর আগে সোমবার রাত ৯টার দিকে ঘরচাপায় সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের চেউয়াখালী গ্রামের বাসিন্দা মফিজুল ইসলামের মৃত্যু হয়। একই ঘটনায় মফিজুলের পরিবারের এক সদস্য আহত হন। স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মনিরুল ইসলাম বলেন, সোমবার রাত ৯টার দিকে প্রবল বেগে বাতাস শুরু হলে মফিজুলের বাড়ির চালের উপর গাছের ডাল ভেঙে পড়ে। এসময় মফিজুল ঘরের মধ্যে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান ও পরিবারের এক সদস্য আহত হন। পরে স্থানীয়রা ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে মফিজুলের মরদেহ উদ্ধার করেন।
এদিকে সোমবার রাতে ভোলার দৌলতখান ও চরফ্যাশন উপজেলায় গাছচাপা পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়। সোমবার রাত ৯টার দিকে দৌলতখান পৌরসভা এলাকায় গাছচাপায় বিবি খাদিজা (৮০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া জেলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানা এলাকায় মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে গাছচাপায় মনির খন্দকার নামে একজন মারা যান। এ ঘটনায় আহত একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এসজি
