ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: বাগেরহাটে কৃষি-মৎস্য খাতে ব্যাপক ক্ষতি

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব কেটে গিয়ে বাগেরহাটে রোদ্য উজ্জল আকাশের দেখা মিলেছে। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকালে সূর্যের আলোতে উজ্জীবিত উপকূলবাসী। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করা ৭৩ হাজার ২০০ জন মানুষ নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন। স্বাভাবিক হয়েছে মোংলা বন্দরের কার্যক্রম। তবে ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাব কেটে গেলেও বাগেরহাটে কৃষি ও মৎস্য খাতে তার ক্ষত চিহ্ন রেখে গেছে। কৃষিতে ক্ষতি হয়েছে ১ হাজার ৩৮৫ হেক্টর জমির। আর মৎস্য খাতে প্রায় কোটি টাকার। এ ছাড়াও জেলার বেশিরভাগ এলাকায় রয়েছে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাগেরহাট সদর উপজেলার সুগন্ধি গ্রামের সবজি চাষী নিমাই কুন্ডু জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে তার ক্ষেতের চাল কুমড়া, মরিচ, বেগুনের অনেক ক্ষতি হয়েছে।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: আজিজুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জেলায় আমন ৮৫০ হেক্টর, সবজি ৩৭৫ হেক্টর, কলা ১১০ হেক্টর, পান ১৭ হেক্টর, পেপে ৭ হেক্টর, মরিচ ২০ হেক্টর জমি ও সব্জি বীজতলা ৬ আক্রান্ত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গেছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জেলায় মৎস্য খাতে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের কাজ চলছে।
এদিকে মোংলা বন্দরের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মাদ শাহীন মজিদ, পিএসসি বিএন জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব কেটে যাওয়ায় সকাল থেকে মোংলা বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে।
অন্যদিকে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করা ৭৩ হাজার ২০০ জন মানুষ নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন। জেলায় হতাহতের কোনও খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
এসআইএইচ
