বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | ৯ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

মদ্যপান ও মাদক বহুমাত্রিক অপরাধের উৎস

ইসলামী শরিয়তের উদ্দেশ্য

ইসলামী বিধানের দর্শনকে ‘মাকাসিদে শরিয়া’ বা শরিয়তের উদ্দেশ্যাবলি নামে অভিহিত করা। শরিয়তের উদ্দেশ্য হলো পাঁচটি। যথা: জীবন রক্ষা, সম্পদ রক্ষা, জ্ঞান রক্ষা, বংশ রক্ষা, বিশ্বাস বা ধর্ম রক্ষা। হত্যার পরিবর্তে হত্যা জীবন সুরক্ষার জন্য। সেখানেও রয়েছে দিয়াত বা রক্তপণ দিয়ে নিহতের অলি ওয়ারিস বা অভিভাবকদের কাছ থেকে ক্ষমা নেওয়ার সুযোগ। চুরির দায়ে হাত কাটা সম্পদ সুরক্ষার জন্য। এখানেও রয়েছে অপেশাদার অভাবীদের জন্য রয়েছে বিকল্প ব্যবস্থা ও ক্ষমার সুযোগ। সব ধরনের মাদক বা নেশা দ্রব্য হারাম বা নিষিদ্ধ, এর জন্য কঠোর শাস্তির বিধান জ্ঞান বা বুদ্ধি বিবেক সুরক্ষার জন্য। কারণ মানুষের ‘আকল’ বা সুষ্ঠু স্বাভাবিক জ্ঞান সুরক্ষিত না হলে, সে নিজের, পরিবারের, দেশ জাতি ও রাষ্ট্রের সবার ক্ষতি করবে। নারী-পুরুষের বৈবাহিক সূত্রে পবিত্র বন্ধন বংশগতি সুরক্ষার জন্য। তা না হলে, মানুষ আর ইতর প্রাণীর প্রভেদ থাকবে না। মানুষের মূল্যবোধ সংরক্ষিত থাকবে না। বিশ্বাস ও ধর্ম এটি ব্যক্তির নিজ জ্ঞানের বিষয়; তাই এর রক্ষা ব্যক্তির ব্যক্তিত্বেও সুরক্ষা। সুতরাং ইসলাম সকল ধর্ম বিশ্বাসীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে এবং কারো বিশ্বাসে আঘাত দেওয়াকে এখতিয়ার বহির্ভুত গণ্য করে।

মাদক পাপের আকর

ইসলামের মৌলিক পাঁচটি নিষিদ্ধ কাজের অন্যতম হলো নেশা বা মাদক দ্রব্য। এর মধ্যে মাদক ছাড়া অন্য চারটি অপরাধ নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে; অর্থাৎ ইচ্ছা করলে তা ছাড়া যায়। কিন্তু মাদক গ্রহণ এমন এক অপরাধ যা নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে না; বরং সে নিজেই মাদক বা নেশার নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। ফলে চাইলেই যখন তখন সেখান থেকে বের হয়ে আসা যায় না; অর্থাৎ সময়ে সে নেশাকে ছাড়তে চাইলেও নেশা তাকে সহজে ছাড়ে না বা ছাড়তে চায় না। মূল পঞ্চ নিষেধের চারটি অপরাধ পরিত্যাগ করে তওবা করে পবিত্র জীবন যাপন করা সম্ভব; কিন্তু নেশা বা মাদকাসক্ত ব্যক্তি তাওবা করারও সুযোগ পায় না এবং মাদক না ছেড়ে তাওবা করলেও তা কবুল হয় না। মৌল পাঁচটি নিষিদ্ধ কাজের চারটি হলো স্বতন্ত্র বা একক অপরাধ; কিন্তু মাদক হলো অপরাধের আকর। কুরআন কারীমে বর্ণিত হারূত ও মারূত এই মাদকের নেশায় মাতাল হয়েই যুহরার ইশারায় খুনখারাবিসহ নানান অপরাধে লিপ্ত হয়েছিলো। (সূরা-২ বাকারা, আয়াত: ১০২; তাফসীরে আযীযী ও তাফসীরে মাআরিফুল কুরআন)।

সকল মাদক অপবিত্র ও হারাম

যে সকল বস্তু ব্যবহারে নেশার উদ্রেক হয়, মানুষের মস্তিষ্ক বিকল হয়, স্বাভাবিক জ্ঞান ঠিকভাবে কাজ করে না; সেসকল বস্তুই মাদক। মানবতার সুরক্ষার জন্য ইসলামে মাদক সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ অপবিত্র ও হারাম। হজরত আয়িশা (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ‘যে সকল পানীয় নেশা সৃষ্টি করে, তা হারাম।’ (বুখারি শরিফ, প্রথম খণ্ড, পবিত্রতা অধ্যায়, পরিচ্ছেদ: ১৬৯, হাদীস: ২৪১, পৃষ্ঠা: ১৪০)। নেশাকর ও উত্তেজক ড্রাগ, যথা: মদ, গাঁজা বা গাঞ্জা, ভাং, আফিম, হেরোইন, ইয়াবা, ফেন্সিডিল, স্পিরিট, ঘুমের ঔষধ, সলুশন ইত্যাদি সেবনে বুদ্ধি নাশ ঘটায়, জ্ঞান লোপ পায়, মাতাল হয়ে পাগল প্রায় হয়ে যায়। মাদকাসক্ত ব্যক্তির আত্মমর্যাদা বোধ থাকে না এবং লজ্জাও থাকে না। হাদিস শরিফে আছে: ‘লজ্জা ঈমানের অঙ্গ। যার লজ্জা নেই তার ঈমান নেই।’ (বুখারি শরিফ, প্রথম খণ্ড, ঈমান অধ্যায়, পরিচ্ছেদ: ৩, হাদীস: ৮, পৃষ্ঠা: ১৭)।

আল কুরআনে মাদক নিষিদ্ধ প্রসঙ্গ

মাদক নিষিদ্ধের বিষয়ে কুরআন কারীমে তিনটি পর্বে এসেছে। প্রথমে বলা হয়েছে: ‘লোকেরা আপনাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বলুন, উভয়ের মধ্যে আছে মহাপাপ এবং মানুষের জন্য উপকারও; কিন্তু এগুলোর পাপ উপকার অপেক্ষা অধিক।’ (সূরা-২ বাকারা, আয়াত: ২১৯)।

দ্বিতীয় ধাপে বলা হলো: ‘হে মুমিনগণ! মদ, জুয়া, মূর্তিপূজার বেদী ও ভাগ্যনির্ণায়ক শর ঘৃণ্যবস্তু, শয়তানের কার্য। সুতরাং তোমরা তা বর্জন করো, যাতে তোমরা সফল হতে পারো।’ (সূরা-৫ মায়েদা, আয়াত: ৯০)।

চূড়ান্ত পর্যায়ে বললেন: ‘শয়তান তো মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ ঘটাতে চায় এবং তোমাদিগকে আল্লাহর স্মরণে ও সলাতে বাধা দিতে চায়। তবে কি তোমরা নিবৃত্ত হবে না?’ (সূরা-৫ মায়েদা, আয়াত: ৯১)।

মাদকের প্রসার কিয়ামত বা ধ্বংসের পূর্বলক্ষণ

হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ‘কিয়ামতের কিছু নিদর্শন হলো- ইলম লোপ পাবে, অজ্ঞানতার বিস্তার ঘটবে, মদ্যপান ও মাদকের প্রসার ব্যাপক হবে, ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়বে।’ (বুখারি শরিফ, প্রথম খণ্ড, ইলম অধ্যায়, পরিচ্ছেদ: ৬২, হাদীস: ৮০, পৃষ্ঠা: ৬৪)।

ইসলামী শরিয়তে মাদকের ফিকহী বিধান

ইসলামী ফিকাহ বা ব্যবহারিক বিধান মতে, মাদক হারাম বা নিষিদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি তা অপবিত্র। কোনো মুসলমান মাদক ব্যবহার করা যেমন হারাম, অনুরূপভাবে তা সংগ্রহ করা, সংরক্ষণ করা ও বিতরণ করা এবং ক্রয় ও বিক্রয় করা সর্বোতভাবে সম্পূর্ণরূপে হারাম অবৈধ নিষিদ্ধ তথা কবিরা গুনাহ বা মহাপাপ। প্রাণীর মল-মূত্র হারাম এবং অপবিত্র হলেও তা সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও ব্যবহার এবং ক্রয়-বিক্রয় জায়েজ বা বৈধ। এগুলো সম্পদ হিসেবেও বিবেচিত এবং এসবের ক্ষয়-ক্ষতিতেও ক্ষতিপূরণ প্রযোজ্য। তবে শূকর ও মাদক অমুসলিমদের জন্য সম্পদ হলেও মুসলমানের জন্য সম্পদই নয়; মুসলমানের কাছে সংরক্ষিত এ উভয় বস্তুর ক্ষতি সাধন করলে, এর জন্য বিচার বা প্রতিকার ও ক্ষতিপূরণ প্রযোজ্য নয়। সুতরাং সকল প্রকার মাদক সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিতরণ এবং ক্রয় বিক্রয় ও এর সাথে যে কোনো প্রকার সংশ্লিষ্টতা নাজায়েজ ও হারাম। (আল ফিকহুল ইসলামী)।

মদ ও মাদক হারামের সাথে সাথে মদের পাত্র পর্যন্ত অন্য কাজে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ ও হারাম। হাদীস শরিফে রয়েছে। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, নবী কারীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রবীআহ গোত্রের প্রতিনিধিদের চারটি কাজের নির্দেশ দিলেন এবং চারটি কাজ বারণ করলেন। আল্লাহর উপর ঈমান আনা (এক আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং হজরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর প্রেরিত রসূল), সলাত কায়েম করা, যাকাত প্রদান করা এবং রমাদান মাসে সিয়াম পালন করা; গনীমাতের একপঞ্চমাংশ দান করা। নিষেধ করলেন: (মদপাত্র হিসেবে ব্যবহৃত) শুকনো লাউয়ের খোল, সবুজ কলস এবং আলকাতরার পলিশকৃত পাত্র ব্যবহার। (বুখারি শরিফ, প্রথম খণ্ড, ইলম অধ্যায়, পরিচ্ছেদ: ৬৭, হাদীস: ৮৭, পৃষ্ঠা: ৬৭-৬৮)।

মাদক সেবনে পরকালে ভয়াবহ পরিণতি

মিরাজের রজনীতে মহানবী হজরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বিভিন্ন অপরাধে শাস্তি দেখানো হলো। ‘তিনি মদ মাদক ও নেশাগ্রহণকারীদের শাস্তি দেখলেন। তারা জাহান্নামীদের শরীর থেকে নির্গত বিষাক্ত নোংরা পুঁজ পান করছে। নবী কারীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মালিক নামে জাহান্নামের রক্ষী ফেরেশতাকে দেখলেন। সে মলিন মুখ, হাঁসি নেই, বলা হলো জাহান্নাম সৃষ্টির পর থেকে সে কখনো হাঁসেনি। (বুখারী ও মুসলিম, মিরাজ অধ্যায়)।

মাদকসেবী শবে বরাতে এবং শবে কদরেও ক্ষমা পায় না ও দোয়া কবুল হয় না: হযরত আবূ সালাবা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ‘যখন অর্ধ শাবানের রাত (শবে বরাত) আসে তখন আল্লাহ তাআলা মাখলূকাতের প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে তাকান; মুমিনদিগকে ক্ষমা করে দেন, কাফিরদের ফিরে আসার সুযোগ দেন এবং মদ্যপায়ীদের মদ্যপান পরিত্যাগ ছাড়া ক্ষমা করেন না। (কিতাবুস সুন্নাহ, শুআবুল ঈমান, তৃতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৩৮২)।

রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোর মধ্যে রয়েছে শবে কদর বা লাইলাতুল কদর। যে রাতে কুরআন নাজিল হয়েছে। যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। (সূরা-৯৭ কদর, আয়াত: ১-৫)। এ রাতে সন্ধ্যা লগ্নে মহান আল্লাহ দুনিয়ার আসমানে নেমে আসেন এবং বলতে থাকেন: কে আছো ক্ষমা প্রার্থী? আমি ক্ষমা করে দেবো। এভাবে সকাল পর্যন্ত ডেকে ডেকে ক্ষমা করতে থাকেন। কিন্তু এ পবিত্র ও মহিমান্বিত কদরের রাতেও আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত থেকে যে পাঁচ প্রকার লোক বঞ্চিত থাকবে তাদের মধ্যে প্রথম হলো মদ্যপায়ী ও মাদকসেবীরা। (নাঊযু বিল্লাহ)। ঐ পাঁচ প্রকার লোক হলো: মদ্যপায়ী বা মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ী, মাতা পিতার অবাধ্য সন্তান, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী, ইচ্ছাকৃত নামাজ তরককারী, বিনা কারণে অপর মুসলমান ভাইয়ের সাথে সম্পর্ক ছিন্নকারী। (হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা; তাফসীরে কাশফুল আসরার, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৫৬৪)।

লেখক: প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, শেখ ছাদী (র.) ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ

এসএ/

Header Ad
Header Ad

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুক হামলা, নিহত ২৬

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা পেহেলগামে সেনাবাহিনীর ছদ্মবেশে চালানো সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৬ জন পর্যটক। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন দুই বিদেশিও। হামলায় আহত হয়েছেন আরও ১২ জন।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার দিকে বাইসারান উপত্যকার উপরের চারণভূমিতে এই নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটে। প্রত্যন্ত এই এলাকায় ঘোড়া কিংবা পায়ে হেঁটে যেতে হয়। পুলিশ ধারণা করছে, এটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে সংবাদমাধ্যম পিটিআই জানায়, খুব কাছ থেকে গুলি চালানো হয় পর্যটকদের ওপর। মুহূর্তেই সৃষ্টি হয় আতঙ্ক। হতাহতদের চিৎকারে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। হৃদয়বিদারক দৃশ্যগুলোতে দেখা যায়—স্থানীয়রা ছুটে এসে আহতদের সেবা করছেন, অনেক নারী যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন।

নিহতদের মধ্যে একজন ছিলেন কর্নাটকের শিভামোগ্গার এক রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী। ভয়াবহ সেই হামলার সময় স্ত্রী ও সন্তানের সামনেই তাঁকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।

এই হামলা এমন এক সময় ঘটল যখন কাশ্মীরজুড়ে পর্যটন মৌসুম তুঙ্গে। পাশাপাশি ‘আমারনাথ যাত্রা’ উপলক্ষে চলছে পূর্ণ প্রস্তুতি। উল্লেখ্য, এই তীর্থযাত্রার একটি রুটই পেহেলগাম হয়ে ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ।

হামলার পরপরই এক্স-এ (সাবেক টুইটার) ক্ষোভ প্রকাশ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই আরও কঠোর ও নির্ভীক হবে।”

তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ঘটনাস্থলে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং দ্রুত নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য একটি জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানান।

অন্যদিকে দিল্লিতে নিজের বাসভবনে অমিত শাহ উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন গোয়েন্দা ব্যুরোর প্রধান তপন ডেকা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহান।

Header Ad
Header Ad

পালিয়ে গিয়েও থেমে নেই আড্ডা, কলকাতায় দেখা মিলল সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের

পালিয়ে গিয়েও থেমে নেই আড্ডা, কলকাতায় দেখা মিলল সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ঢেউয়ে ভেঙে পড়ে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকার। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর তিনি ভারতের আশ্রয় নেন। তার দেখাদেখি অনেক আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীও আত্মগোপনে চলে যান, কেউ কেউ আশ্রয় নেন পাশের দেশ ভারতে।

এই পালিয়ে যাওয়া নেতাদের অনেকেই বর্তমানে কলকাতায় অবস্থান করছেন। শুধু অবস্থানই নয়—রাজনৈতিক শূন্যতার ভেতরেও তারা উপভোগ করছেন বিলাসী জীবনযাপন। সম্প্রতি কলকাতার এক ঘরোয়া আড্ডায় দেখা গেছে গাজীপুরের বহুল আলোচিত সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে।

সূত্র জানায়, কলকাতার রাজারহাট নিউটাউন, সল্টলেক কিংবা গড়িয়াহাটের মতো অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকছেন পলাতক আওয়ামী নেতারা। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যিনি নিউটাউনের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে আছেন বলে জানা গেছে।

একই এলাকায় থাকছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও। শুধু কেন্দ্রীয় নেতারাই নন, ছাত্রলীগের সাবেক শীর্ষ নেতারাও কলকাতায় বসবাস করছেন। ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান নিউটাউনের অভিজাত এলাকায় ভাড়া করা ফ্ল্যাটে অবস্থান করছেন বলে খবর রয়েছে।

বাংলাদেশে তাদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ ও মামলার তদন্ত চলমান। কিন্তু কলকাতায় যেন সেই সব অভিযোগের ছোঁয়া নেই—চায়ের কাপে রাজনীতি নয়, বরং আড্ডা, বিলাসিতা আর আত্মগোপনের ‘নতুন জীবন’ নিয়েই ব্যস্ত তারা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক শুদ্ধি অভিযান শুরু হওয়ার পর অনেক সাবেক ক্ষমতাধর নেতাই আইনের হাত থেকে বাঁচতে বিদেশে পাড়ি জমান, এবং ভারতের কলকাতা হয়ে উঠেছে তাদের অঘোষিত ‘নিরাপদ আবাসস্থল’।

Header Ad
Header Ad

বাবা হতে যাচ্ছেন নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি

ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি প্রথমবারের মতো বাবা হতে যাচ্ছেন। তবে এ সুখবরটি সামনে এসেছে তার বিবাহবার্ষিকীতে বিশেষ একটি পোস্টের মাধ্যমে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) অমি তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে একটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে স্পষ্ট দেখা যায় তার স্ত্রীর বেবিবাম্প।

ছবির ক্যাপশনে অমি লেখেন, “৯ বছর একসাথে”—এই ছোট্ট বাক্যেই যেন লুকিয়ে আছে তাদের দীর্ঘ পথচলার গল্প এবং নতুন জীবনের সূচনা। ছবিটি ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে। ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ এতে রিঅ্যাক্ট করেছেন এবং মন্তব্যে জানাচ্ছেন শুভ কামনা, অভিনন্দন ও দোয়া।

অমি বলেন, "আলহামদুলিল্লাহ, আমরা একসঙ্গে ৯ বছর কাটিয়ে ফেলেছি। আমাদের প্রথম সন্তান আসছে। এখনো জানি না ছেলে হবে না মেয়ে—ইচ্ছেও করিনি জানতে। শুধু চাই, আমার সন্তান সুস্থভাবে জন্মাক, আর আমার ওয়াইফ সুস্থ থাকুক। দোয়া করবেন সবাই।”

প্রথমবার বাবা হতে যাওয়ার অনুভূতি নিয়ে তিনি বলেন, "এই ফিলিংসটা একেবারেই নতুন। এখনো পুরোপুরি বুঝতে পারছি না। ওয়াইফকে এমন অবস্থায় আগে কখনো দেখিনি। তার প্রতি আমার মায়া যেন আরও বেড়ে গেছে।”

এদিকে পেশাগত দিক থেকেও ভক্তদের জন্য সুখবর দিয়েছেন অমি। জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ফিরছে নতুন সিজন নিয়ে। দুই বছর বিরতির পর নাটকটির পঞ্চম সিজনের কাজ শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন নির্মাতা নিজেই।

সম্প্রতি অমি পরিচালিত ওয়েব ফিল্ম ‘হাউ সুইট’ ঈদুল ফিতরে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গতে মুক্তি পেয়েছে। এতে জিয়াউল হক অপূর্ব, তাসনিয়া ফারিণ ও সাইদুর রহমান পাভেলসহ আরও অনেকেই অভিনয় করেছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুক হামলা, নিহত ২৬
পালিয়ে গিয়েও থেমে নেই আড্ডা, কলকাতায় দেখা মিলল সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের
বাবা হতে যাচ্ছেন নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি
পারভেজ হত্যা মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা গ্রেফতার
সংস্কারের নামে নাটক না করে দ্রুত নির্বাচন দিন: রুমিন ফারহানা
সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করলেন উত্তর সিটির প্রশাসকের উপদেষ্টা ড. আমিনুল
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে কিনা জানালেন আইন উপদেষ্টা
গোবিন্দগঞ্জে ১১ বছর পর আ.লীগের সাবেক এমপিসহ ২২১ জনের বিরুদ্ধে জামায়াতের মামলা
শেখ হাসিনাকে দেয়া ডিগ্রি বাতিলের কথা ভাবছে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়
বিএনপি সবসময় মানবতার পক্ষে কাজ করে: আমিনুল হক
জামিনে মুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের পর্যবেক্ষণে রাখার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
ঢাকায় এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে সেনাবাহিনী
শেখ হাসিনা ও টিউলিপকে দেশে ফেরাতে দুদকের কার্যক্রম শুরু
সাবেক আইজিপি বেনজীরের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের 'রেড নোটিশ' জারি
সংঘর্ষের জেরে সিটি কলেজ দুইদিন বন্ধ ঘোষণা
রাষ্ট্রের বিষয়ে তাড়াহুড়ো নয়, ধীরে সুস্থে আলোচনা করতে চায় বিএনপি
বাংলাদেশ থেকে ৭২৫ সেনা নেবে কাতার
উড্ডয়নের আগে বিমানে আগুন, রক্ষা পেলেন ৩০০ যাত্রী
সায়েন্সল্যাব মোড়ে আগুন জ্বালিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, বন্ধ যান চলাচল
রাজধানী থেকে ওবায়দুল কাদেরের ‘ভাগনে’ গ্রেপ্তার