ইসলামের দৃষ্টিতে হতাশা, প্রতিকারে করণীয়
হতাশা ও নিরাশাকে কোনোভাবেই সমর্থন করে না ইসলাম। হতাশা ও নিরাশা শয়তানের বৈশিষ্ট্য। হতাশার বিপরীতে আশা হলো নবী রাসূল ও আল্লাহতায়ালার নিয়ামত প্রাপ্ত বান্দার বৈশিষ্ট্য।
হতাশা সফলতার প্রধান শত্রু। হতাশাগ্রস্ত ব্যক্তিরা কখনো সফলতার মুখ দেখতে পায় না। হতাশা ক্ষতি ছাড়া কোনো কল্যাণ বয়ে আনে না। মানুষের উচিত হতাশা ঝেড়ে ফেলে জীবন পরিচালনা করা।
হতাশা প্রসঙ্গে সুরা ইউসুফের ৮৭ নম্বর আয়াতে স্পষ্টভাবেই আল্লাহপাক ঘোষণা করেছেন, ‘এবং আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহর রহমত থেকে কাফের সম্প্রদায়, ব্যতীত অন্য কেউ নিরাশ হয় না’।
কুরআনে কারিমের সূরা জুমার ৫৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। অবশ্যই আল্লাহতায়ালা সব পাপ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল এবং পরম দয়ালু’।
আশা ঈমানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। আশার কারণে মানুষ বেঁচে থাকে। আশা মানুষের শারীরিক ও মানিসক শক্তির চাকাকে সচল রাখে। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও পেশাগত জীবেন আশা না থাকেল মানুষ অসামাজিক জীবে পরিণত হয়। আশা সফলতার মূল চাবিকাঠি।
মানুষের জীবন থেকে হতাশা দূর করার পদক্ষেপ হিসেবে ইসলামের স্কলাররা বলেন, ধৈর্য ধারণের পাশাপাশি আল্লাহর সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। বিশেষ করে কুরআন হাদিস অধ্যায়ন করতে হবে। কারণ কুরআনে কারিমে আশার কথা বেশি বেশি করে বলা হয়েছে।
যারা মুমিন তারা একমাত্র আল্লাহর উপরই ভরসা করবে। যে আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখে আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট। আল্লাহপাক বলেন, ‘এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন। আল্লাহ সবকিছুর জন্যে একটি পরিমাণ স্থির করে রেখেছেন।’ (সুরা আত তালাক্ব, আয়াত ৩)।
আল্লাহ আমাদের আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
আরএ/