শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মাতৃভাষা আল্লাহর সেরা দান

ভাষা ও বর্ণবৈচিত্র আল্লাহর কুদরতের নিদর্শন:

ভাষা আল্লাহর দান, আল্লাহ তাআলার সেরা নেয়ামত। মাতৃভাষা মানুষের মৌলিক অধিকারের অন্যতম। ভাষা মনুষ্য পরিচয়ের প্রধান বৈশিষ্ট। প্রাণীকুল ও পশুসমাজ থেকে স্বাতন্ত্রের মোক্ষ উপাদান হলো ভাষা। মাতৃভাষা মানুষের মৌলিক অধিকার। ইসলাম সকল ভাষাকে সম্মান করতে শেখায়; কারণ সকল ভাষাই আল্লাহর দান ও তার কুদরতের নিদর্শন।

কুরআন কারিমে আল্লাহ তায়ালা বলেন: 'আর তার নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে- আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র। এতে জ্ঞানীদের জন্য অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে। (সূরা-৩০ রূম, আয়াত: ২২)।

ভাষা মানুষ ও প্রাণীর প্রভেদ:

আল্লাহ তায়ালার সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি ‘আশরাফুল মাখলুকাত’ হলো মানুষ। মানুষ ও অন্য সকল প্রাণী এবং জীবজন্তুর মাঝে দৃশ্যমান পার্থক্য হলো, মানুষ সবাক; অন্য জীবজন্তু ও প্রাণী নির্বাক। মানুষ ভাষা দ্বারা মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে এবং একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে। অন্য প্রাণী তা করতে পারে না। মানুষের পরিচয় বা সংজ্ঞায় আরবিতে বলা হয়, ‘হায়ওয়ানুন নাতিক’ অর্থাৎ ‘বাকশক্তিসম্পন্ন প্রাণী’। আপাত দৃষ্টিতে মানুষ ও প্রাণী তথা পশুর মাঝে বাহ্যিক পার্থক্য হলো বাক বা ভাষা।

ভাষা বা বর্ণে নয় কর্মেই পরিচয়:

সকল মানুষ একই পিতা-মাতার সন্তান। সকলেরই পিতা বাবা আদম আলাইহিস সালাম, সকলেরই মাতা হাওয়া আলাইহাস সালাম। সাদা কালো, লম্বা খাটো সে তো আল্লাহর সৃষ্টি প্রকৃতির অবদান। বর্ণ বৈষম্য, ভাষা বৈষম্য এবং ভৌগলিক ও নৃতাত্ত্বিক পার্থক্য মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ সৃষ্টি করে না।

কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেন: “হে মানুষ! আমি তোমাদিগকে সৃষ্টি করেছি এক পুরুষ ও এক নারী হতে, পরে
তোমাদিগকে বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে, যাতে তোমরা একে অন্যের সহিত পরিচিত হতে পার। তোমাদের মধ্যে আল্লাহর নিকট সেই ব্যক্তিই অধিক মর্যাদাসম্পন্ন যে তোমাদের মধ্যে অধিক মুত্তাকী। নিশ্চয়ই আল্লাহ সকল কিছু জানেন, সমস্ত খবর রাখেন। (সূরা-৪৯ হুজুরাত, আয়াত: ১৩)।

সকল নবী-রসূলগণ স্বজাতির ভাষাভাষী ছিলেন:

মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: তিন কারণে তোমরা আরবিকে ভালোবাস; যেহেতু আমি আরবি, কুরআন আরবি এবং জান্নাতের ভাষাও হবে আরবি। (বুখারী)।

কিন্তু আরবি পরকালের ভাষা হওয়া সত্ত্বেও সকল নবী রসূলগণ আরবি ভাষাভাষী ছিলেন না; এমন কি সকল আসমানী
কিতাবও আরবি ভাষায় ছিল না। আমরা জানি- তাওরাত কিতাব ইবরানী ভাষায় হযরত মূসা (আ.) এর উপর নাযিল করা হয়; যাবূর কিতাব ইউনানী ভাষায় হযরত দাঊদ (আ.) এর উপর নাযিল করা হয়; ইনজিল কিতাব সুরিয়ানী ভাষায় হযরত ঈসা (আ.) এর উপর নাযিল করা হয়; এবং সর্বশেষ আসমানী কিতাব ফুরকান বা কুরআন আরবি ভাষায় সর্বশেষ নবী ও রসূল হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি নাযিল করা।

বিদায় হজ্জের ভাষণে নবী কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বরেছেন: ‘কালোর উপর সাদার প্রাধান্য
নেই, অনারবের উপর আরবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই।’ (বুখারী শরীফ)।

সুতরাং কোনো ভাষাকে হেয় জ্ঞান করার অবকাশ নেই, তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করার সুযোগ নেই ও অবহেলা করার অধিকার নেই; কেননা ভাষার স্রষ্টা মহান আল্লাহ। তার সৃষ্টির অবমূল্যায়ন করা তার প্রতি অসম্মান প্রদর্শনেরই নামান্তর। আল্লাহ তায়ালা বলেন: 'আমি প্রত্যেক রসূলকেই তার স্বজাতির ভাষাভাষী করে পাঠিয়েছি তাদের নিকট পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য'। (সূরা-১৪ ইবরাহীম,
আয়াত: ৪)।

মহাগ্রন্থ আল কুরআন আরবি ভাষায় নাযিল করার কারণ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং ব্যাখ্যা প্রদান করেন এভাবে: 'ইহা আমি অবতীর্ণ করেছি আরবি ভাষায় কুরআন, যাতে তোমরা বুঝতে পারো।' (সূরা-১২ ইউসুফ, আয়াত: ২)।

আরবদের কাছে আরবি কিতাব আল কুরআন নাযিল করা হয়েছে কারণ তাদের মাতৃভাষা আরবি; অনারবি ভাষায় নাযিল করলে তাদের বুঝতে এবং অনুসরণ করতে অসুবিধা হতো। ধর্মীয় দিক থেকে বিবেচনা করলে ঐতিহ্যগত কারণে কুরআনও প্রাচীন হিব্রু বা সুরইয়ানী ভাষায় অবতীর্ণ হওয়ারই কথা।

কিন্তু ইসলাম শুধু ঐতিহ্য রক্ষার সার্থে ব্যাপক জাতীয় কল্যাণ বাধাগ্রস্ত হতে দেয়নি। বরং যাযাবর আরবদের স্থানীয় ভাষাতে কুরআন নাযিল করে বিশ্বকল্যাণ নিশ্চিত করেছেন।

ভাষার বিশুদ্ধতা সুন্নাত: শুদ্ধ ভাষা ও সুন্দর বর্ণনার প্রভাব অনস্বীকার্য। আমাদের প্রিয় রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন
‘আফছাহুল আরব’ তথা আরবের শ্রেষ্ঠ বিশুদ্ধ ভাষী। সুতরাং বিশুদ্ধ মাতৃভাষায় কথা বলা নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাত। নবী কারীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- ‘ওয়া ইন্না মিনাল বায়ানি লা ছিহরুন’ অর্থাৎ কিছু বর্ণনায় রয়েছে যাদুর ছোঁয়া। (আন নাহজুল বালাগাহ)।

কুরআনুল কারিমের বর্ণনা: 'দয়াময় রহমান আল্লাহ! কুরআন পাঠ শেখালেন; মনুষ্য সৃজন করলেন; তাকে ভাষা বয়ান শিক্ষা দিলেন।' (সূরা-৫৫ রহমান, আয়াত: ১-৪)।

ভাষা চর্চা ইবাদাত। আরবি ভাষার ব্যাকরণ মুসলমানদের হাতেই রচিত হয়। অনারবরা কুরআন পড়তে সমস্যা হতো বিধায় হযরত আলী (রা.) তার প্রিয় শাগরেদ হযরত আবুল আসওয়াদ দুওয়াইলী (র.) কে নির্দেশনা দিয়ে আরবি ভাষাশাস্ত্র প্রণয়ন করান। যা ইলমে নাহু ও ইলমে ছরফ নামে পরিচিত। পরবর্তিতে উচ্চতর ভাষাতত্ত্ব ইলমে বায়ান, ইলমে মাআনী ও ইলমে বাদী‘র উন্নয়ন ঘটে; যার পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন ইমাম আবদুল কাহির যুরজানী (র.) ও ইমাম যামাখশারী (র.)। এ ছাড়াও বসরায় ইমাম ফার্রা (র.) ও ইমাম কেছায়ী (র.) এবং ক‚ফায় ইমাম খলীল (র.), ইমাম আখফাশ (র.) ও ইমাম ছিবাওয়াইহ (র.) বিখ্যাত ছিলেন। শেখ আবদুর রহমান জামী (র.) পারস্যবাসী হয়েও বিশ্বের সেরা আরবি ব্যাকরণের তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ গ্রন্থ ‘শারহে জামী’ (ফাওয়ায়িদে যিয়াইয়া) রচনা করেন। যা ‘শাফিয়া’ গ্রন্থের প্রণেতা ইমাম ইবনে হাজিব (র.) প্রণীত ‘কাফিয়া’ গ্রন্থের ব্যাখ্যা। এ গন্থের আরও জগৎ বিখ্যাত বিশ্লষণ পুস্তক রয়েছে; ‘সুওয়ালে কাবুলী, সুওয়ালে বাসুলী, তাহরীরে চম্বট ইত্যাদি এর অন্যতম।

সাহিত্য চর্চাও ইবাদাত:

সুসাহিত্যও ইবাদাত। আল্লাহ তাআলা বলেন: '(হে নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমি আপনার
প্রতি সর্বসুন্দর কাহিনী বর্ণনা করেছি।' (সূরা-১২ ইউসুফ, আয়াত: ২)।

প্রিয়নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে স্বয়ং কাব্য করতেন। বিখ্যাত সাহাবী হযরত হাসসান বিন সাবিত (রা.) কাব্য রচনা করতেন। হযরত আয়িশা (রা.) কাব্য চর্চা করতেন। এভাবে ইসলামের সকল যুগেই বিভিন্ন ভাষায় সাহিত্য চর্চা চলে আসছে। সত্য প্রচার ও দাওয়াতী কাজে ভাষার গুরুত্ব: আল্লাহ তাআলা মানুষের হিদায়াতের জন্য নবী রসূল (আ.) গণকে পাঠিয়েছেন। সকল নবী রসূল (আ.) গণের ধর্ম প্রচারের প্রধান মাধ্যম ছিল দাওয়াত তথা মহা সত্যের প্রতি আহ্বান। আর এর জন্য ভাষার কোনো বিকল্প নাই। আল্লাহ তাআলা হযরত মূসা (আ.) এর প্রতি ওহী নাযিল করলেন; তাকে নবী ও রসূল হিসেবে ঘোষণা করলেন; তার প্রতি তাওরাত কিতাব অবতীর্ণ করেন, তখন তিনি তার ভাই হযরত হারূন (আ.) কে নবী ও রসূল হিসেবে ঘোষণা করার জন্য আল্লাহর সমীপে আরজ করলেন; তিনি ছিলেন বাগ্মী, শুদ্ধ ও স্পষ্টভাষী সুবক্তা, আর মূসা (আ.) এর মুখে ছিল জড়তা। মুসা (আ.) কারণ হিসেবেও বলেছেন- ‘হওয়া আফছাহু মিন্নী’ অর্থাৎ সে আমার অপেক্ষা বাকপটু।

কুরআন কারিমে এই বর্ণনাটি এভাবে উপস্থাপিত হয়েছে: 'মূসা (আ.) বললেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার সীনা প্রশস্ত করে দিন। এবং আমার কাজ সহজ করে দিন। আমার ভাষার জড়তা দূর করে দিন, যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে। আমার জন্য একজন সহায্যকারী বানিয়ে দিন আমার স্বজনদের মধ্য হতে; আমার ভাই হারূনকে; তার দ্বারা আমার শক্তি সুদৃঢ় করুন এবং তাকে আমার (দাওয়াতী) কাজের শরীকদার করুন, যাতে আমরা আপনার পবিত্রতা ও মহিমা বেশি বেশি বর্ণনা করতে পারি এবং আপনাকে অধিক
স্মরণ করতে পারি; আপনি তো আমাদের সর্বোত প্রত্যক্ষকারী।' (সূরা-২০ তহা, আয়াত: ২৫-৩৬)।

লেখক: প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি: শেখ ছাদী (র.) ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ

টিটি/

Header Ad

নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন। ছবি: সংগৃহীত

আউয়াল কমিশনের পদত্যাগের আড়াই মাস যেতেই অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান করে বেছে নেওয়া হয়েছে নতুন নির্বাচন কমিশন। আগামী রোববার শপথ নিতে যাচ্ছে এ কমিশন।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নতুন নির্বাচন কমিশন বেছে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এ তথ্য জানান সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম।

সিদ্ধান্ত মোতাবেক রোববার (২৪ নভেম্বর) বেলা দেড়টায় নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার কমিশনারকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের এক মাস পর গত ৫ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করে হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এর আড়াই মাস যেতেই এবার অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ভার ন্যস্ত থাকবে এ কমিশনের ওপর।

নতুন নির্বাচন কমিশনে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দীন ছাড়াও কমিশনার হিসেবে থাকছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তহমিদা আহমদ এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা বিধান অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠন করার পর ওই কমিটির প্রস্তাবিত ১০ নামের তালিকা থেকে এই নির্বাচন কমিশন বেছে নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

দেশের চতুর্দশ সিইসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া নাসির উদ্দীনক স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার।

নিয়োগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দীন বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার, তা তা করব, ইনশাআল্লাহ। যে দায়িত্ব এসেছে, তা আমাদের সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে সবার সহযোগিতা নিয়ে।

Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার

ছবি: সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭১ জন নিহত হয়েছেন। এতে চলমান যুদ্ধে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ছাড়িয়ে গেল।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে আনাদোলু এজেন্সি জানায়, দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৪৪ হাজার ৫৬ জন নিহত এবং ১ লাখ ৪ হাজার ২৬৮ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বোমা ও গুলিতে ৭১ জন নিহত এবং ১৭৬ জন আহত হয়েছেন।

তবে প্রকৃত নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ অনেক মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে এবং সেগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়।

এদিকে, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি এক্স পোস্টে বলেছেন, গাজা উপত্যকার ৮০ শতাংশই এখন উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। ওইসব এলাকার মানুষেরা নিরাপত্তা ও অস্তিত্বহীনতার মধ্যে বসবাস করছেন।

অনিরাপদ রুটের কারণে গাজাজুড়ে সামান্য ত্রাণ সরবরাহ করা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে জানিয়ে ফিলিপ লাজারিনি বলেন, গাজার উত্তরাঞ্চলে মানুষ কঠোর অবরোধের মধ্যে রয়েছে। যুদ্ধের দুষ্টচক্রে পড়ে তারা জীবন বাঁচাতে ছুটাছুটির মধ্যে রয়েছেন। ৪০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ওই অঞ্চলটি মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। উপত্যকায় নাগরিক শৃঙ্খলা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের নেতা মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

আইসিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আদালত দুই ব্যক্তি বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং ৮ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ২০ মে, ২০২৪ পর্যন্ত সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করছে।

বিবৃতি অনুযায়ী, নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ত ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ও জ্ঞাতসারে গাজার বেসামরিক জনগণকে খাদ্য, পানি, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহের পাশাপাশি জ্বালানি ও বিদ্যুৎসহ তাদের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য বস্তু থেকে বঞ্চিত করেছেন বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে’।

পৃথক এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত জানায়, দেইফ, পুরো নাম মোহাম্মদ দিয়াব ইব্রাহিম আল-মাসরিও গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামি। বিবৃতি মতে, আদালত ‘সর্বসম্মতভাবে’ তার বিরুদ্ধে ৭ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ইসরাইল ও ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দেইফের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে আরও রয়েছে- ইসরাইলি ভূখণ্ডে রকেট নিক্ষেপ এবং ৭ অক্টোবর হামলা চালানো হামলায় সহস্রাধিক ইসরাইলি নিহত হয়। তবে৭ অক্টোবর হামলার কয়েক মাস পর চলতি বছরের জুলাইয়ে হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের নেতা দেইফকে এক বিমান হামলায় হত্যার দাবি করেছে ইসরাইল। বিমান হামলাটি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাঁবুতে এবং একটা পানি শোধনাগারে আঘাত হানে। এতে কমপক্ষে ৯০ জন নিহত ও ৩০০ জন আহত হয়।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী