বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | ৯ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

মাতৃভাষা আল্লাহর সেরা দান

ভাষা ও বর্ণবৈচিত্র আল্লাহর কুদরতের নিদর্শন:

ভাষা আল্লাহর দান, আল্লাহ তাআলার সেরা নেয়ামত। মাতৃভাষা মানুষের মৌলিক অধিকারের অন্যতম। ভাষা মনুষ্য পরিচয়ের প্রধান বৈশিষ্ট। প্রাণীকুল ও পশুসমাজ থেকে স্বাতন্ত্রের মোক্ষ উপাদান হলো ভাষা। মাতৃভাষা মানুষের মৌলিক অধিকার। ইসলাম সকল ভাষাকে সম্মান করতে শেখায়; কারণ সকল ভাষাই আল্লাহর দান ও তার কুদরতের নিদর্শন।

কুরআন কারিমে আল্লাহ তায়ালা বলেন: 'আর তার নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে- আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র। এতে জ্ঞানীদের জন্য অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে। (সূরা-৩০ রূম, আয়াত: ২২)।

ভাষা মানুষ ও প্রাণীর প্রভেদ:

আল্লাহ তায়ালার সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি ‘আশরাফুল মাখলুকাত’ হলো মানুষ। মানুষ ও অন্য সকল প্রাণী এবং জীবজন্তুর মাঝে দৃশ্যমান পার্থক্য হলো, মানুষ সবাক; অন্য জীবজন্তু ও প্রাণী নির্বাক। মানুষ ভাষা দ্বারা মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে এবং একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে। অন্য প্রাণী তা করতে পারে না। মানুষের পরিচয় বা সংজ্ঞায় আরবিতে বলা হয়, ‘হায়ওয়ানুন নাতিক’ অর্থাৎ ‘বাকশক্তিসম্পন্ন প্রাণী’। আপাত দৃষ্টিতে মানুষ ও প্রাণী তথা পশুর মাঝে বাহ্যিক পার্থক্য হলো বাক বা ভাষা।

ভাষা বা বর্ণে নয় কর্মেই পরিচয়:

সকল মানুষ একই পিতা-মাতার সন্তান। সকলেরই পিতা বাবা আদম আলাইহিস সালাম, সকলেরই মাতা হাওয়া আলাইহাস সালাম। সাদা কালো, লম্বা খাটো সে তো আল্লাহর সৃষ্টি প্রকৃতির অবদান। বর্ণ বৈষম্য, ভাষা বৈষম্য এবং ভৌগলিক ও নৃতাত্ত্বিক পার্থক্য মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ সৃষ্টি করে না।

কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেন: “হে মানুষ! আমি তোমাদিগকে সৃষ্টি করেছি এক পুরুষ ও এক নারী হতে, পরে
তোমাদিগকে বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে, যাতে তোমরা একে অন্যের সহিত পরিচিত হতে পার। তোমাদের মধ্যে আল্লাহর নিকট সেই ব্যক্তিই অধিক মর্যাদাসম্পন্ন যে তোমাদের মধ্যে অধিক মুত্তাকী। নিশ্চয়ই আল্লাহ সকল কিছু জানেন, সমস্ত খবর রাখেন। (সূরা-৪৯ হুজুরাত, আয়াত: ১৩)।

সকল নবী-রসূলগণ স্বজাতির ভাষাভাষী ছিলেন:

মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: তিন কারণে তোমরা আরবিকে ভালোবাস; যেহেতু আমি আরবি, কুরআন আরবি এবং জান্নাতের ভাষাও হবে আরবি। (বুখারী)।

কিন্তু আরবি পরকালের ভাষা হওয়া সত্ত্বেও সকল নবী রসূলগণ আরবি ভাষাভাষী ছিলেন না; এমন কি সকল আসমানী
কিতাবও আরবি ভাষায় ছিল না। আমরা জানি- তাওরাত কিতাব ইবরানী ভাষায় হযরত মূসা (আ.) এর উপর নাযিল করা হয়; যাবূর কিতাব ইউনানী ভাষায় হযরত দাঊদ (আ.) এর উপর নাযিল করা হয়; ইনজিল কিতাব সুরিয়ানী ভাষায় হযরত ঈসা (আ.) এর উপর নাযিল করা হয়; এবং সর্বশেষ আসমানী কিতাব ফুরকান বা কুরআন আরবি ভাষায় সর্বশেষ নবী ও রসূল হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি নাযিল করা।

বিদায় হজ্জের ভাষণে নবী কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বরেছেন: ‘কালোর উপর সাদার প্রাধান্য
নেই, অনারবের উপর আরবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই।’ (বুখারী শরীফ)।

সুতরাং কোনো ভাষাকে হেয় জ্ঞান করার অবকাশ নেই, তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করার সুযোগ নেই ও অবহেলা করার অধিকার নেই; কেননা ভাষার স্রষ্টা মহান আল্লাহ। তার সৃষ্টির অবমূল্যায়ন করা তার প্রতি অসম্মান প্রদর্শনেরই নামান্তর। আল্লাহ তায়ালা বলেন: 'আমি প্রত্যেক রসূলকেই তার স্বজাতির ভাষাভাষী করে পাঠিয়েছি তাদের নিকট পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য'। (সূরা-১৪ ইবরাহীম,
আয়াত: ৪)।

মহাগ্রন্থ আল কুরআন আরবি ভাষায় নাযিল করার কারণ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং ব্যাখ্যা প্রদান করেন এভাবে: 'ইহা আমি অবতীর্ণ করেছি আরবি ভাষায় কুরআন, যাতে তোমরা বুঝতে পারো।' (সূরা-১২ ইউসুফ, আয়াত: ২)।

আরবদের কাছে আরবি কিতাব আল কুরআন নাযিল করা হয়েছে কারণ তাদের মাতৃভাষা আরবি; অনারবি ভাষায় নাযিল করলে তাদের বুঝতে এবং অনুসরণ করতে অসুবিধা হতো। ধর্মীয় দিক থেকে বিবেচনা করলে ঐতিহ্যগত কারণে কুরআনও প্রাচীন হিব্রু বা সুরইয়ানী ভাষায় অবতীর্ণ হওয়ারই কথা।

কিন্তু ইসলাম শুধু ঐতিহ্য রক্ষার সার্থে ব্যাপক জাতীয় কল্যাণ বাধাগ্রস্ত হতে দেয়নি। বরং যাযাবর আরবদের স্থানীয় ভাষাতে কুরআন নাযিল করে বিশ্বকল্যাণ নিশ্চিত করেছেন।

ভাষার বিশুদ্ধতা সুন্নাত: শুদ্ধ ভাষা ও সুন্দর বর্ণনার প্রভাব অনস্বীকার্য। আমাদের প্রিয় রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন
‘আফছাহুল আরব’ তথা আরবের শ্রেষ্ঠ বিশুদ্ধ ভাষী। সুতরাং বিশুদ্ধ মাতৃভাষায় কথা বলা নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাত। নবী কারীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- ‘ওয়া ইন্না মিনাল বায়ানি লা ছিহরুন’ অর্থাৎ কিছু বর্ণনায় রয়েছে যাদুর ছোঁয়া। (আন নাহজুল বালাগাহ)।

কুরআনুল কারিমের বর্ণনা: 'দয়াময় রহমান আল্লাহ! কুরআন পাঠ শেখালেন; মনুষ্য সৃজন করলেন; তাকে ভাষা বয়ান শিক্ষা দিলেন।' (সূরা-৫৫ রহমান, আয়াত: ১-৪)।

ভাষা চর্চা ইবাদাত। আরবি ভাষার ব্যাকরণ মুসলমানদের হাতেই রচিত হয়। অনারবরা কুরআন পড়তে সমস্যা হতো বিধায় হযরত আলী (রা.) তার প্রিয় শাগরেদ হযরত আবুল আসওয়াদ দুওয়াইলী (র.) কে নির্দেশনা দিয়ে আরবি ভাষাশাস্ত্র প্রণয়ন করান। যা ইলমে নাহু ও ইলমে ছরফ নামে পরিচিত। পরবর্তিতে উচ্চতর ভাষাতত্ত্ব ইলমে বায়ান, ইলমে মাআনী ও ইলমে বাদী‘র উন্নয়ন ঘটে; যার পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন ইমাম আবদুল কাহির যুরজানী (র.) ও ইমাম যামাখশারী (র.)। এ ছাড়াও বসরায় ইমাম ফার্রা (র.) ও ইমাম কেছায়ী (র.) এবং ক‚ফায় ইমাম খলীল (র.), ইমাম আখফাশ (র.) ও ইমাম ছিবাওয়াইহ (র.) বিখ্যাত ছিলেন। শেখ আবদুর রহমান জামী (র.) পারস্যবাসী হয়েও বিশ্বের সেরা আরবি ব্যাকরণের তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ গ্রন্থ ‘শারহে জামী’ (ফাওয়ায়িদে যিয়াইয়া) রচনা করেন। যা ‘শাফিয়া’ গ্রন্থের প্রণেতা ইমাম ইবনে হাজিব (র.) প্রণীত ‘কাফিয়া’ গ্রন্থের ব্যাখ্যা। এ গন্থের আরও জগৎ বিখ্যাত বিশ্লষণ পুস্তক রয়েছে; ‘সুওয়ালে কাবুলী, সুওয়ালে বাসুলী, তাহরীরে চম্বট ইত্যাদি এর অন্যতম।

সাহিত্য চর্চাও ইবাদাত:

সুসাহিত্যও ইবাদাত। আল্লাহ তাআলা বলেন: '(হে নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমি আপনার
প্রতি সর্বসুন্দর কাহিনী বর্ণনা করেছি।' (সূরা-১২ ইউসুফ, আয়াত: ২)।

প্রিয়নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে স্বয়ং কাব্য করতেন। বিখ্যাত সাহাবী হযরত হাসসান বিন সাবিত (রা.) কাব্য রচনা করতেন। হযরত আয়িশা (রা.) কাব্য চর্চা করতেন। এভাবে ইসলামের সকল যুগেই বিভিন্ন ভাষায় সাহিত্য চর্চা চলে আসছে। সত্য প্রচার ও দাওয়াতী কাজে ভাষার গুরুত্ব: আল্লাহ তাআলা মানুষের হিদায়াতের জন্য নবী রসূল (আ.) গণকে পাঠিয়েছেন। সকল নবী রসূল (আ.) গণের ধর্ম প্রচারের প্রধান মাধ্যম ছিল দাওয়াত তথা মহা সত্যের প্রতি আহ্বান। আর এর জন্য ভাষার কোনো বিকল্প নাই। আল্লাহ তাআলা হযরত মূসা (আ.) এর প্রতি ওহী নাযিল করলেন; তাকে নবী ও রসূল হিসেবে ঘোষণা করলেন; তার প্রতি তাওরাত কিতাব অবতীর্ণ করেন, তখন তিনি তার ভাই হযরত হারূন (আ.) কে নবী ও রসূল হিসেবে ঘোষণা করার জন্য আল্লাহর সমীপে আরজ করলেন; তিনি ছিলেন বাগ্মী, শুদ্ধ ও স্পষ্টভাষী সুবক্তা, আর মূসা (আ.) এর মুখে ছিল জড়তা। মুসা (আ.) কারণ হিসেবেও বলেছেন- ‘হওয়া আফছাহু মিন্নী’ অর্থাৎ সে আমার অপেক্ষা বাকপটু।

কুরআন কারিমে এই বর্ণনাটি এভাবে উপস্থাপিত হয়েছে: 'মূসা (আ.) বললেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার সীনা প্রশস্ত করে দিন। এবং আমার কাজ সহজ করে দিন। আমার ভাষার জড়তা দূর করে দিন, যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে। আমার জন্য একজন সহায্যকারী বানিয়ে দিন আমার স্বজনদের মধ্য হতে; আমার ভাই হারূনকে; তার দ্বারা আমার শক্তি সুদৃঢ় করুন এবং তাকে আমার (দাওয়াতী) কাজের শরীকদার করুন, যাতে আমরা আপনার পবিত্রতা ও মহিমা বেশি বেশি বর্ণনা করতে পারি এবং আপনাকে অধিক
স্মরণ করতে পারি; আপনি তো আমাদের সর্বোত প্রত্যক্ষকারী।' (সূরা-২০ তহা, আয়াত: ২৫-৩৬)।

লেখক: প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি: শেখ ছাদী (র.) ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ

টিটি/

Header Ad
Header Ad

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুক হামলা, নিহত ২৬

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা পেহেলগামে সেনাবাহিনীর ছদ্মবেশে চালানো সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৬ জন পর্যটক। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন দুই বিদেশিও। হামলায় আহত হয়েছেন আরও ১২ জন।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার দিকে বাইসারান উপত্যকার উপরের চারণভূমিতে এই নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটে। প্রত্যন্ত এই এলাকায় ঘোড়া কিংবা পায়ে হেঁটে যেতে হয়। পুলিশ ধারণা করছে, এটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে সংবাদমাধ্যম পিটিআই জানায়, খুব কাছ থেকে গুলি চালানো হয় পর্যটকদের ওপর। মুহূর্তেই সৃষ্টি হয় আতঙ্ক। হতাহতদের চিৎকারে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। হৃদয়বিদারক দৃশ্যগুলোতে দেখা যায়—স্থানীয়রা ছুটে এসে আহতদের সেবা করছেন, অনেক নারী যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন।

নিহতদের মধ্যে একজন ছিলেন কর্নাটকের শিভামোগ্গার এক রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী। ভয়াবহ সেই হামলার সময় স্ত্রী ও সন্তানের সামনেই তাঁকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।

এই হামলা এমন এক সময় ঘটল যখন কাশ্মীরজুড়ে পর্যটন মৌসুম তুঙ্গে। পাশাপাশি ‘আমারনাথ যাত্রা’ উপলক্ষে চলছে পূর্ণ প্রস্তুতি। উল্লেখ্য, এই তীর্থযাত্রার একটি রুটই পেহেলগাম হয়ে ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ।

হামলার পরপরই এক্স-এ (সাবেক টুইটার) ক্ষোভ প্রকাশ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই আরও কঠোর ও নির্ভীক হবে।”

তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ঘটনাস্থলে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং দ্রুত নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য একটি জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানান।

অন্যদিকে দিল্লিতে নিজের বাসভবনে অমিত শাহ উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন গোয়েন্দা ব্যুরোর প্রধান তপন ডেকা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহান।

Header Ad
Header Ad

পালিয়ে গিয়েও থেমে নেই আড্ডা, কলকাতায় দেখা মিলল সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের

পালিয়ে গিয়েও থেমে নেই আড্ডা, কলকাতায় দেখা মিলল সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ঢেউয়ে ভেঙে পড়ে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকার। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর তিনি ভারতের আশ্রয় নেন। তার দেখাদেখি অনেক আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীও আত্মগোপনে চলে যান, কেউ কেউ আশ্রয় নেন পাশের দেশ ভারতে।

এই পালিয়ে যাওয়া নেতাদের অনেকেই বর্তমানে কলকাতায় অবস্থান করছেন। শুধু অবস্থানই নয়—রাজনৈতিক শূন্যতার ভেতরেও তারা উপভোগ করছেন বিলাসী জীবনযাপন। সম্প্রতি কলকাতার এক ঘরোয়া আড্ডায় দেখা গেছে গাজীপুরের বহুল আলোচিত সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে।

সূত্র জানায়, কলকাতার রাজারহাট নিউটাউন, সল্টলেক কিংবা গড়িয়াহাটের মতো অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকছেন পলাতক আওয়ামী নেতারা। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যিনি নিউটাউনের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে আছেন বলে জানা গেছে।

একই এলাকায় থাকছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও। শুধু কেন্দ্রীয় নেতারাই নন, ছাত্রলীগের সাবেক শীর্ষ নেতারাও কলকাতায় বসবাস করছেন। ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান নিউটাউনের অভিজাত এলাকায় ভাড়া করা ফ্ল্যাটে অবস্থান করছেন বলে খবর রয়েছে।

বাংলাদেশে তাদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ ও মামলার তদন্ত চলমান। কিন্তু কলকাতায় যেন সেই সব অভিযোগের ছোঁয়া নেই—চায়ের কাপে রাজনীতি নয়, বরং আড্ডা, বিলাসিতা আর আত্মগোপনের ‘নতুন জীবন’ নিয়েই ব্যস্ত তারা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক শুদ্ধি অভিযান শুরু হওয়ার পর অনেক সাবেক ক্ষমতাধর নেতাই আইনের হাত থেকে বাঁচতে বিদেশে পাড়ি জমান, এবং ভারতের কলকাতা হয়ে উঠেছে তাদের অঘোষিত ‘নিরাপদ আবাসস্থল’।

Header Ad
Header Ad

বাবা হতে যাচ্ছেন নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি

ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি প্রথমবারের মতো বাবা হতে যাচ্ছেন। তবে এ সুখবরটি সামনে এসেছে তার বিবাহবার্ষিকীতে বিশেষ একটি পোস্টের মাধ্যমে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) অমি তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে একটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে স্পষ্ট দেখা যায় তার স্ত্রীর বেবিবাম্প।

ছবির ক্যাপশনে অমি লেখেন, “৯ বছর একসাথে”—এই ছোট্ট বাক্যেই যেন লুকিয়ে আছে তাদের দীর্ঘ পথচলার গল্প এবং নতুন জীবনের সূচনা। ছবিটি ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে। ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ এতে রিঅ্যাক্ট করেছেন এবং মন্তব্যে জানাচ্ছেন শুভ কামনা, অভিনন্দন ও দোয়া।

অমি বলেন, "আলহামদুলিল্লাহ, আমরা একসঙ্গে ৯ বছর কাটিয়ে ফেলেছি। আমাদের প্রথম সন্তান আসছে। এখনো জানি না ছেলে হবে না মেয়ে—ইচ্ছেও করিনি জানতে। শুধু চাই, আমার সন্তান সুস্থভাবে জন্মাক, আর আমার ওয়াইফ সুস্থ থাকুক। দোয়া করবেন সবাই।”

প্রথমবার বাবা হতে যাওয়ার অনুভূতি নিয়ে তিনি বলেন, "এই ফিলিংসটা একেবারেই নতুন। এখনো পুরোপুরি বুঝতে পারছি না। ওয়াইফকে এমন অবস্থায় আগে কখনো দেখিনি। তার প্রতি আমার মায়া যেন আরও বেড়ে গেছে।”

এদিকে পেশাগত দিক থেকেও ভক্তদের জন্য সুখবর দিয়েছেন অমি। জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ফিরছে নতুন সিজন নিয়ে। দুই বছর বিরতির পর নাটকটির পঞ্চম সিজনের কাজ শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন নির্মাতা নিজেই।

সম্প্রতি অমি পরিচালিত ওয়েব ফিল্ম ‘হাউ সুইট’ ঈদুল ফিতরে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গতে মুক্তি পেয়েছে। এতে জিয়াউল হক অপূর্ব, তাসনিয়া ফারিণ ও সাইদুর রহমান পাভেলসহ আরও অনেকেই অভিনয় করেছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুক হামলা, নিহত ২৬
পালিয়ে গিয়েও থেমে নেই আড্ডা, কলকাতায় দেখা মিলল সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের
বাবা হতে যাচ্ছেন নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি
পারভেজ হত্যা মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা গ্রেফতার
সংস্কারের নামে নাটক না করে দ্রুত নির্বাচন দিন: রুমিন ফারহানা
সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করলেন উত্তর সিটির প্রশাসকের উপদেষ্টা ড. আমিনুল
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে কিনা জানালেন আইন উপদেষ্টা
গোবিন্দগঞ্জে ১১ বছর পর আ.লীগের সাবেক এমপিসহ ২২১ জনের বিরুদ্ধে জামায়াতের মামলা
শেখ হাসিনাকে দেয়া ডিগ্রি বাতিলের কথা ভাবছে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়
বিএনপি সবসময় মানবতার পক্ষে কাজ করে: আমিনুল হক
জামিনে মুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের পর্যবেক্ষণে রাখার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
ঢাকায় এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে সেনাবাহিনী
শেখ হাসিনা ও টিউলিপকে দেশে ফেরাতে দুদকের কার্যক্রম শুরু
সাবেক আইজিপি বেনজীরের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের 'রেড নোটিশ' জারি
সংঘর্ষের জেরে সিটি কলেজ দুইদিন বন্ধ ঘোষণা
রাষ্ট্রের বিষয়ে তাড়াহুড়ো নয়, ধীরে সুস্থে আলোচনা করতে চায় বিএনপি
বাংলাদেশ থেকে ৭২৫ সেনা নেবে কাতার
উড্ডয়নের আগে বিমানে আগুন, রক্ষা পেলেন ৩০০ যাত্রী
সায়েন্সল্যাব মোড়ে আগুন জ্বালিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, বন্ধ যান চলাচল
রাজধানী থেকে ওবায়দুল কাদেরের ‘ভাগনে’ গ্রেপ্তার