বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫ | ৩ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

শীতকালের ইবাদাত ও আমলের বিধিবিধান

প্রাকৃতিক বৈচিত্র আল্লাহর দান। শীতকাল প্রকৃতির বিশেষ নেয়ামত। শীতকালের জন্য রয়েছে বেশ কিছু স্বতন্ত্র বিধিবিধান। আল্লাহ তায়ালা বলেন: 'আল্লাহ দিন ও রাতের আবর্তন ঘটান, নিশ্চয়ই এতে জ্ঞানীদের জন্য শিক্ষা রয়েছে।' (সূরা-২৪ নূর, আয়াত: ৪৪)। আল্লাহ তাআলা আরও বলেন: 'আর তিনি দিবা-রাত্রিকে পরস্পরের অনুগামী করেছেন, যে উপদেশ গ্রহণ করতে চায় অথবা কৃতজ্ঞ হতে চায় তার জন্য।' (সূরা-২৫ ফুরকান, আয়াত: ৬২)। হজরত ওমর (রা.) বলেন, ‘শীতকাল হলো ইবাদাতকারীদের জন্য গনীমতস্বরূপ।’ শীত তো এমন গনীমত (যুদ্ধলব্ধ সম্পদ), যা কোনো রক্তপাত কিংবা চেষ্টা ও কষ্ট ছাড়াই অর্জিত হয়। সবাই কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই এ গনীমত স্বতঃস্ফূর্তভাবে লাভ করে এবং কোনো প্রচেষ্টা বা পরিশ্রম ব্যতীরেকে তা ভোগ করে।

শীলকাল নফল রোজা রাখর জন্য সুবর্ণকাল। কাজা রোজা বাকি থাকলে তা আদায় করার জন্যও শীতের দিন অতি উপযোগী। আবু সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (স.) বলেন, ‘শীতকাল হচ্ছে মুমিনের বসন্তকাল।’ (মুসনাদে আহমাদ)। বায়হাকীর বর্ণনায় রয়েছে, ‘শীতের রাত দীর্ঘ হওয়ায় মুমিন রাত্রিকালীন নফল নামাজ আদায় করতে পারে এবং দিন ছোট হওয়ায় রোজা রাখতে পারে।’ শীতকাল এলে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলতেন- ‘হে শীতকাল! তোমাকে স্বাগতম! শীতকালে বরকত নাজিল হয়; শীতকালে রাত দীর্ঘ হওয়ায় নামাজ আদায় করা যায় এবং দিন ছোট হওয়ায় রোজা রাখা যায়।’ হাসান বসরি (রহ.) বলেন- ‘শীতকাল মুমিনের জন্য কতই না উত্তম! রাত দীর্ঘ হওয়ায় নামাজ পড়া যায় এবং দিন ছোট হওয়ায় রোজা রাখা যায়।’

আমের ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, নবীজি (স.) বলেছেন, ‘শীতল গনীমত হচ্ছে শীতকালে রোজা রাখা।’ (তিরমিজি: ৭৯৫)। হজরত মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) এর মৃত্যুর সময় তাকে তার ক্রন্দনের কারণ জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি বলেন- ‘আমি মৃত্যুর ভয়ে কাঁদছি না; বরং (রোজার কারণে) গ্রীষ্মের দুপুরের তৃষ্ণা, শীতের রাতের নফল নামাজ এবং ইলমের আসরগুলোতে হাজির হয়ে আলেমদের সোহবত হারানোর জন্য আমি কাঁদছি।’

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন- ‘আমি কি তোমাদের শীতল গনীমত কি সেটা বলে দেব না?’ সাহাবীগণ বললেন অবশ্যই। তিনি বললেন, ‘সেটা হচ্ছে, শীতকালে দিনে রোজা রাখা ও রাতে নামাজ পড়া।’ আবু হুরায়রা (রা.) থেকে আরও বর্ণিত আছে, ‘নবী কারীম (স.) বলেছেন, যদি কোনো তীব্র ঠান্ডার দিন আল্লাহর কোনো বান্দা বলে- ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নাই), আজকের দিনটি কতই না শীতল! হে আল্লাহ! জাহান্নামের জামহারি থেকে আমাকে মুক্তি দিন।’ তখন আল্লাহ জাহান্নামকে বলেন- নিশ্চয়ই আমার এক বান্দা আমার কাছে তোমার জামহারি থেকে আশ্রয় চেয়েছে। আমি তোমাকে সাক্ষী রেখে বলছি, আমি তাকে আশ্রয় দিলাম। সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞেস করলেন- জামহারি কী? নবীজি (স.) বললেন, জামহারি এমন একটি ঘর যাতে অবিশ্বাসী অকৃতজ্ঞদের নিক্ষেপ করা হবে এবং এর ভিতরে তীব্র ঠান্ডার কারণে তারা বিবর্ণ হয়ে যাবে। (আমালুল ইয়াওম ওয়াল লাইল: ৩০৬)।

শীতকালে সঠিকভাবে অজু করা, অজুর অঙ্গ ধোয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা; প্রতিটি অঙ্গের যতটুকু স্থানে পানি পৌঁছানো দরকার ততটুকু স্থানে পানি পৌঁছানো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ আমল। রসূলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘তিনটি আমল পাপমোচন করে, ‘সঙ্কটকালীন দান, গ্রীষ্মের রোজা ও শীতের অজু।’ (আদ দোয়া লিত তাবরানী: ১৪১৪)। রসূলে আকরাম (স.) আরও বলেছেন, আমি কি তোমাদের জানাব না? কিসে তোমাদের পাপমোচন করবে! এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করবে! সাহাবায়ে কিরাম বললেন- অবশ্যই! হে আল্লাহর রসূল (স.)! তিনি বললেন, ‘শীতের কষ্ট সত্ত্বেও ঠিকভাবে অজু করা।’ (মুসলিম: ২৫১; তাফসীরে কুরতুবী)।
অজুর ক্ষেত্রে পা না ধুয়ে মোজার উপর মাসেহ করার বিধানও রয়েছে। ‘মুসাফির’ (ভ্রমণরত) ব্যক্তি তিন দিন তিন রাত (৭২ ঘণ্টা) পর্যন্ত মাসেহ করে যেতে পারবেন এবং ‘মুকীম’ (সবাসে অবস্থানরত) ব্যক্তি এক দিন এক রাত (২৪ ঘণ্টা) মাসেহ করতে পারবেন। এ সময়সীমার পর অজুর প্রয়োজন হলে মোজা খুলে পা ধুয়ে অজু করতে হবে। অধিকাংশ মুজতাহিদ ফকীহ শুধু চামড়ার মোজার ওপর মাসেহ করাই অনুমোদন করেন। হজরত মুগিরা ইবনে শুবা (রা.) বর্ণনা করেন, রসূল (স.) কাপড়ের মোজা (জাওরাবাঈন) এবং জুতার উপরও মাসেহ করেছেন। (তিরমিজি: ৯৯; আবু দাউদ: ১৫৯)। এ হাদীসের ভিত্তিতে অন্যান্য মুজতাহিদ ফকীহগণ কাপড়ের মোজা ও পুরো পায়ের পাতা আবৃতকারী জুতার উপর মাসেহ করা অনুমোদন করেন।
প্রচন্ড শীতে কষ্ট হলে গরম পানি দিয়ে অজু করাতে কোনো বাধা নেই। অজুর পর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ মুছে ফেলাতেও সমস্যা নেই। শীতের তীব্রতা যদি কারও সহ্যের বাইরে চলে যায়, পানি গরম করে ব্যবহার করার সুযোগ না থাকে এবং ঠান্ডা পানি ব্যবহারে শারীরিকভাবে ক্ষতি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে, তাহলে তিনি অজু বা গোসলের পরিবর্তে তায়াম্মুম করতে পারেন। (বায়হাকি, খন্ড: ১, হাদীস: ২২৬)।

শীতকালে গরম পোশাক পরিধান করা সুন্নাত। ওমর (রা.) তার শাসনামলে শীতের আগমন লগ্নে লিখতেন- ‘শীত কিন্তু এসে গেল, এ তোমাদের দেহের শত্রু। অতএব এর প্রতিরোধে পশমী বস্ত্র, মোজা, হাতমোজা ইত্যাদির প্রস্তুতি নাও। আর পশম দিয়ে গায়ের চামড়ায় এবং শরীরের পোশাকে শীতের আক্রমণ ঠেকাও। কারণ শীত খুব দ্রুত প্রবেশ করে, তবে সহজে বিদায় নেয় না।’

নেককার পুণ্যাত্মাগণ শীতের রাতগুলোয় সালাত ও জিকিরে রত হন। শীতকাল আগমন করলে উবাঈদ বিন উমাঈর (রা.) বলতেন- ‘হে কুরআনের ধারক! তোমাদের রাতগুলো তিলাওয়াতের জন্য প্রলম্বিত করা হয়েছে, অতএব তা পড়তে থাকো। আর রোজা রাখার জন্য তোমাদের দিনগুলো সংক্ষেপিত করা হয়েছে, তাই বেশি বেশি রোজা রাখো।’ কুরআনের ভাষায়, 'তারা রাতের সামান্য অংশই এরা ঘুমিয়ে কাটায়, আর রাতের শেষ প্রহরে এরা ক্ষমা চাওয়ায় রত থাকে।' (সূরা-৫১ জারিয়াত, আয়াত: ১৭-১৮)।

হজরত ওমর (রা.) তার ছেলেকে উদ্দেশ করে বলেন- ‘শীতের দিনে ভালোভাবে অজু করা বড় গুরুত্বপূর্ণ ও সওয়াবের কাজ।’ আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (স.) বলেন- ‘আমি কি তোমাদের এমন কাজের কথা বলব না! যা দ্বারা গুনাহ মাফ হয় এবং মর্যাদা বৃদ্ধি হয়?’ সাহাবীগণ বললেন, অবশ্যই হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেন, ‘মন না চাইলেও অজু করা, অধিক পদক্ষেপে মসজিদে যাওয়া এবং এক নামাজের পর আরেক নামাজের জন্য অপেক্ষা করা।’ (মুসলিম)।

লেখক: প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, শেখ ছাদী (র.) ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ

টিটি/

Header Ad
Header Ad

ছয় দফা দাবিতে সারাদেশে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

ছবি: সংগৃহীত

কারিগরি শিক্ষার মান উন্নয়ন ও ছয় দফা দাবি আদায়ে এবার রেলপথ অবরোধের ডাক দিয়েছে দেশের সরকারি ও বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা মোড়ে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দেশব্যাপী রেল অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়।

কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন জুবায়ের পাটোয়ারী। তিনি বলেন, “আমরা আজ সড়ক ছেড়ে দিলাম, কিন্তু আন্দোলন থেমে যাচ্ছে না। কাল থেকে সারাদেশে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি চলবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ছি না।”

তিনি জানান, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও কোনও লিখিত আশ্বাস পাননি তারা। ফলে, দাবি আদায়ে আন্দোলনের পরবর্তী ধাপ হিসেবে রেল অবরোধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরেক আন্দোলনকারী মাশফি রহমান বলেন, “জনদুর্ভোগ বিবেচনা করে আজকের মতো সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করা হলো। তবে কাল থেকে শুরু হবে আরও জোরালো কর্মসূচি—রেলপথ অবরোধ।” তিনি জানান, অবরোধ কখন থেকে শুরু হবে, তা কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের ফেসবুক পেজে জানিয়ে দেওয়া হবে।

শিক্ষার্থীদের ৬ দফা মূল দাবি-

১. ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতি বাতিল ও সংশ্লিষ্টদের চাকরিচ্যুত করা।
২. ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে বয়সসীমা নির্ধারণ ও ইংরেজি মাধ্যমে কারিকুলাম চালু।
৩. ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের ১০ম গ্রেডে চাকরির নিশ্চয়তা ও নিচু পদে নিয়োগ বন্ধ।
৪. কারিগরি সেক্টরে অপ্রশিক্ষিত নিয়োগ বন্ধ ও নিজস্ব জনবল নিয়োগ নিশ্চিত করা।
৫. স্বতন্ত্র ‘কারিগরি শিক্ষা মন্ত্রণালয়’ গঠন এবং সংস্কার কমিশন প্রতিষ্ঠা।
৬. উচ্চশিক্ষার সুযোগ বাড়াতে টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রকৌশল কলেজে আসন সংরক্ষণ।

প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে এই ছয় দফা দাবিতে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। সড়ক অবরোধ, অবস্থান কর্মসূচির পর এবার রেল অবরোধে নামছেন তারা

Header Ad
Header Ad

তারেক রহমানই দেশের দায়িত্ব নিয়ে সংস্কার করবেন: আব্দুস সালাম পিন্টু

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু বলেছেন, অনেক আগেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা সংস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন। সেখানে শিক্ষা থেকে শুরু করে প্রতিটি গুরত্বপূর্ণ বিষয়ই তুলে ধরা হয়েছে। তারপরও কেউ কেউ নির্বাচনের আগে সংস্কার দাবি করছে। আগামীতে তারেক রহমানই দেশের দায়িত্ব নিয়ে সংস্কার করবেন।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকালে টাঙ্গাইল জেলা এডভোকেট বার সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপির মনোনয়নের জন্য অনেকেই দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন। যাদের বিরুদ্ধে বিন্দুমাত্র অভিযোগ আছে, তাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন দেওয়া হবে না। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রার্থী বাছাই শুরু করেছেন। যাদের জন সমর্থন আছে, সেই সমস্ত ক্লিন ইমেজের ত্যাগী নেতাদের আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হবে।

এ সময় টাঙ্গাইল জেলা এডভোকেট বার সমিতির সভাপতি জহুর আহমেদ খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এসএম ফাইজুর রহমান, বার সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন, বার সমিতির সাবেক সভাপতি সরকারি কৌশুলি (পিপি) শফিকুল ইসলাম রিপন, বার সমিতির সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম চাকলাদার, মাইদুল ইসলাম শিশির, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানের আরশাদ খানকে স্পিন কোচ হিসেবে নিয়োগ দিল বিসিবি

আরশাদ খান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) দলের স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার আরশাদ খান। প্রাথমিকভাবে পাঁচ মাসের জন্য চুক্তি হলেও ভবিষ্যতে চুক্তির মেয়াদ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে আরশাদ খান বাংলাদেশে এসে কাজ শুরু করেছেন। বর্তমানে এইচপি দলের প্রধান কোচ হিসেবে আছেন ডেভিড হেম্প এবং পেস বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কলি মুর। আরশাদের যুক্ত হওয়ায় পূর্ণতা পেল দলের বোলিং বিভাগ। পাশাপাশি, ফিল্ডিং কোচ নিয়োগের জন্যও কাজ করছে বোর্ড।

আরশাদ খান পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন ৯টি টেস্ট এবং ৫৮টি ওয়ানডে ম্যাচ। ওয়ানডেতে তার উইকেট সংখ্যা ৫৬ এবং টেস্টে ৩২। ১৯৯৮ সালে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ গেমসে পাকিস্তান দলের অধিনায়কত্ব করেছেন তিনি। খেলা ছাড়ার পর জীবিকার প্রয়োজনে ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ট্যাক্সি চালান। এরপর ২০২০ সালে আবার ক্রিকেট জগতে ফিরে এসে শুরু করেন কোচিং ক্যারিয়ার।

সর্বশেষ তিনি পাকিস্তান নারী দলের স্পিন কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার বাংলাদেশের তরুণ স্পিনারদের দক্ষতা বাড়ানোর দায়িত্ব পড়েছে তার কাঁধে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ছয় দফা দাবিতে সারাদেশে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
তারেক রহমানই দেশের দায়িত্ব নিয়ে সংস্কার করবেন: আব্দুস সালাম পিন্টু
পাকিস্তানের আরশাদ খানকে স্পিন কোচ হিসেবে নিয়োগ দিল বিসিবি
টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস
অসত্য সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে বিরামপুরে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন
চীনা পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ২৪৫ শতাংশ করলেন ট্রাম্প
গাইবান্ধার সাবেক এমপি সারোয়ার কবিরকে কারাগারে প্রেরণ
প্রখ্যাত ইসলামী বক্তা বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা
দারিদ্র্যপীড়িত রাজিবপুরে শিক্ষার্থীদের পকেট কাটছে রাজিবপুর সরকারি কলেজ
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতেই হবে: প্রধান উপদেষ্টা
গোবিন্দগঞ্জে স্কুলছাত্র সাব্বির হত্যার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ, দোষীদের শাস্তির দাবি
৬ দফা দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ঢাকা-যমুনা সেতু মহাসড়ক অবরোধ
৮৬ জনকে চাকরি দেবে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়
নওগাঁ শহরে বাসায় ঢুকে এক তরুণকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা
আরাকান আর্মির হাতে জিম্মি ৫৫ জেলেকে ফেরত আনল বিজিবি
মেহেরপুরে ছাত্রদলের দুই নেতাকে কারাগারে প্রেরণ
ঢাকায় এলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ
মৌলিক সংস্কার না হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ বিবেচনাধীন থাকবে: নাহিদ ইসলাম
বিড়ালের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ মুহূর্তের ছবি ভাইরাল, প্রশংসায় ভাসছেন তারেক রহমান
সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে কঠোর বিধিনিষেধ, পরিবারের সদস্য নিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ