বিশ্বজয়ী হাফেজ তাকরীমকে সম্মাননা দেওয়া উচিত
সৌদি সরকারের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত ৪২তম বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ১১১টি প্রতিযোগি দেশের হাফেজদের মধ্যে তৃতীয় স্থান অধিকার করায় বাংলাদেশি হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীমকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।
রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক অভিনন্দন বার্তায় ইউনুছ আহমাদ বলেন, মাত্র ১৩ বছর বয়সের একজন হাফেজে কুরআন সালেহ আহমাদ তাকরীমের এই বিজয় মুসলিমবিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা উজ্জ্বল করেছে। তার এই গৌরবময় মুসলিম উম্মাহর বিজয়, ইসলামের বিজয়, কুরআনের বিজয়। এ বিজয় এটা প্রমাণ করেছে যে, শত প্রতিকূলতা ও সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশে ইসলামী সংস্কৃতি ও শিক্ষার চর্চা থেমে নেই।
তিনি বলেন, হাফেজ তাকরীমের বিজয়ে দেশের সর্বস্তরের মানুষ খুশী ও আনন্দিত। তাকরীমের বিজয়ে দেশের মুসলমানরা ইসলামকে হৃদয়ের কতটা গভীর থেকে ধারণ করে তা সহজেই অনুমেয়।
বিশ্ববিজয়ী হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীমের শিক্ষক এবং পিতা-মাতাকেও অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি মুসলিম মা-বাবার কর্তব্য, নিজ নিজ সন্তানকে আবশ্যিকভাবে কুরআন ও ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করা। এতে তারা শুধু পরকালেই আল্লাহর কাছে পুরস্কারপ্রাপ্ত হবেন না, দুনিয়াতেও মর্যাদাবান হবেন এবং তাদের সন্তানরা সৎ ও আদর্শবান হিসেবে গড়ে উঠার পথ খুঁজে পাবে।
ইউনুছ আহমাদ বলেন, সম্প্রতি একটি মহল ইসলামপন্থিদেরকে নারীবিদ্বেষী হিসেবে দাড় করানোর চেষ্টা করছে। আলেম-উলামারা কখনোই নারীদের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদার বিপক্ষে নয়। নিজেদের ইজ্জত-সম্মান ও নিরাপত্তা অটুট রাখার স্বার্থেই ইসলামের অন্যতম বিধান পর্দা মেনে শালীনভাবে জীবনযাপনের উপদেশ দিয়ে থাকেন।
তিনি বলেন, ১১১ দেশের অনেক বড় পরিসরের কুরআন প্রতিযোগিতায় হাফেজ সালেহ আহমাদের বিজয়ে দেশের সর্বস্তরের জনতা যে হারে বিপুল আনন্দ উদযাপন করছে, তাতে প্রমাণ হয় দেশের ১৮কোটি জনতা ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদিদের মিথ্যাচারে কখনো বিভ্রান্ত হন না। আমরা আশা করবো ধর্ম মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে বিশ্বজয়ী তরুণ এই হাফেজকে রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা দিয়ে অর্জিত এই বিশাল গৌরবকে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরবেন। কেন না এ বিজয় দেশের, ইসলামের, ১৮ কোটি মানুষের।
এমএইচ/এমএমএ/