বরিশালে মহালয়ায় গীতিআলেখ্য ‘রূপে রূপান্তরে মহামায়া’
বরিশালে পঞ্চমবারের মতো যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় শুভ মহালয়া উদযাপনের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। গত ১৫ দিন ধরে মন্দির প্রাঙ্গণে চলছে অনুষ্ঠানের মহড়া।
রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টায় অগ্রগামী যুব সংঘের আয়োজনে নগরীর স্ব-রোডের রাধা গোবিন্দ নিবাস মন্দিরে চণ্ডীপাঠ, আগমনী সংগীত ও গীতিআলেখ্য পরিবেশনা করা হবে। প্রভাতী অনুষ্ঠানে মন্দিরে বিশ্বনাথ রায়ের ভক্তিকণ্ঠে ‘যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেন সংস্থিতা-নমস্তৈস্য নমস্তৈস্য নমোঃ নমোঃ’ মন্ত্র উচ্চারণের মধ্যে দিয়ে মঙ্গলঘট স্থাপন এবং ঢাক-কাঁসর ও শঙ্খ বাজিয়ে দেবীকে মর্ত্যে আহ্বান জানাবেন ভক্তরা।
ভোর ৬টায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও উলুধ্বনীর সঙ্গে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হবে। এর পরে আগমনী গান, পরিবেশনা করবেন শিল্পীরা। মহালয়া অনুষ্ঠানে চণ্ডীপাঠের সঙ্গে আবাহনী সংগীত পরিবেশন করবেন শ্রী কমল ঘোষসহ অন্যান্য শিল্পীরা। এর পরে থাকবে নৃত্য শিল্পীদের পরিবেশনায় দলীয় ও একক নৃত্য। পাশাপাশি উত্তরণ সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীদের পরিবেশনায় সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়েছে।
এ বছর মহালয়ায় আকর্ষণ হিসেবে থাকছে গীতিআলেখ্য ‘রূপে রূপান্তরে মহামায়া’ পরিচালনা করছেন ‘ ‘চিত্রাঙ্গদা বরগুনা নৃত্যগ্রুপ’।
প্রভাতী অনুষ্ঠানের পর আমন্ত্রীত অতিথিদের নিয়ে শুরু হবে আলোচনা সভা।
এদিকে মহালয়ার দিন থেকেই হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, এই দিনে কৈলাশ থেকে মা দুর্গা পিতৃগৃহে আগমন করেন। তাই মহালয়া থেকে দুর্গা উৎসবের আমেজ শুরু হয়।
অগ্রগামী যুবসংঘের আয়োজনে শ্রী শ্রী রাধা-গোবিন্দ নিবাস মন্দিরের মহালয়া অনুষ্ঠান নিয়ে কথা বলেছেন রাধা গোবিন্দ নিবাস পূজা উদযাপন পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক পিন্টু দাস। তিনি বলেন, সরকরি নির্দেশনা মেনেই এবছর পূজার সব আয়োজন করা হবে। তবে পূজা ঘিরে শুরুতেই রয়েছে মহালয়া। যতটা সম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনেই মহালয়া অনুষ্ঠান পালন করা হবে। তবে ভক্তদের আর্শিবাদে এই অনুষ্ঠান অব্যাহত আছে, আগামীতেও থাকবে বলেন তিনি।
আগামী পহেলা অক্টোবর থেকে দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এবার বরিশাল জেলায় ৬০০টি ও মহানগরে ৪৫টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন জুবায়ের সাহেদ ও রাখী সায়ন্তনী।
এসএন