আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ফের লাল সবুজের পতাকা ওড়ালো তাকরীম
সৌদি আরবের পবিত্র মক্কায় ৪২তম বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশি হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীম (১৩)। প্রতিযোগিতায় ১১১টি দেশের ১৫৩ জন হাফেজ কোরআন তেলোয়াত অংশ নেন।
হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীম মারকাযু ফয়জিল কোরআন আল ইসলামী ঢাকা এর কৃতি শিক্ষার্থী। প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হওয়ায় তাকরীম পাবেন এক লাখ রিয়াল (বাংলাদেশি টাকায় ২৭.৫৪ লক্ষ টাকা)।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে গত ৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে জেদ্দার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন সালেহ আহমাদ তাকরীম (১৫ পারা খ-গ্রুপ) ও ফয়জুল কোরআনের প্রধান শিক্ষক হাফেজ ক্বারী মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এর আগে লিবিয়ায় আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীম ৭ম স্থান অর্জন করেন। এ বৈশিক প্রতিযোগিতায় ৭ম স্থান অর্জন করার পাশাপাশি সর্বকনিষ্ঠ প্রতিযোগী হিসেবে বিশেষ সম্মাননা অর্জন করেন তাকরীম। গত ২২ মে আন্তর্জাতিক কিরাত সংস্থা বাংলাদেশের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করে লিবিয়ার বন্দরনগরী বেনগাজিতে অনুষ্ঠিত ১০ম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি নির্বাচিত হন।
এর আগে তেহরানের আন্দিশাহ (আল-ফিকির) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ৩৮তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় তাকরীম বিশ্বে ১ম স্থান অর্জন করে বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা বিশ্ব দরবারে সমুন্নত করেন।
তার বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার ভাদ্রা গ্রামে। তার বাবা হাফেজ আব্দুর রহমান মাদ্রাসার শিক্ষক এবং মা গৃহিণী। এর আগে গত ৫ মার্চ ইরানের তেহরানে অনুষ্ঠিত ৩৮তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় ২৯টি দেশের মধ্যে তাকরীম প্রথম হয়েছিল।
'দেশের স্বার্থেই বিশ্বজয়ী কোরআনের হাফেজদের স্বীকৃতি দেয়া প্রয়োজন'
বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম ও সেক্রেটারী মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল মজুমদার আন্তরিক অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, এক তাকরিমই বিশ্বে তিনবার লাল সবুজের পতাকা সমুন্নত করেছে। বাংলাদেশের হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীম মুসলিম বিশ্বের ১১১টি দেশে বাংলাদেশকে কোরআনের মাধ্যমে তুলে ধরে অনন্য অবদান রেখেছে। দেশের স্বার্থেই বিশ্বজয়ী কোরআনের হাফেজদের স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন।
নেতৃদ্বয় বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের হাফেজ সাহেবানরা অত্যন্ত যোগ্যতার সাথে বাংলাদেশের পতাকাকে সমুন্নত করছেন, যা আমাদের জন্য চরম চাওয়া ও পাওয়া। বিভিন্ন অবদানর জন্য যদি সরকারের বিভিন্ন বাজেট থাকে তাহলে কোরআনের পাখিদের জন্যও বাজেট থাকা প্রয়োজ এবং কোরআনের স্বার্থেই তাদের সম্মানিত করা প্রয়োজন।
/এএস