বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

আখেরি চাহার সোম্বার ইতিহাস ও তাৎপর্য

আখেরি চাহার সোম্বা মূলত আরবি ও ফার্সি বাক্য। প্রথম শব্দ ‘আখেরি’ আরবি ও ফার্সিতে পাওয়া যায়। যার অর্থ হলো শেষ। ফার্সি চাহার শব্দের অর্থ হলো সফর মাস ও ফার্সি ‘সোম্বা’ শব্দের অর্থ হলো বুধবার। অর্থাৎ ‘আখেরি চাহার সোম্বা’র অর্থ দাঁড়ায়— সফর মাসের শেষ বুধবার। দিনটিকে মুসলিম উম্মাহ খুশির দিন হিসেবে জানে এবং খুশির দিন হিসেবেই উদযাপন করে থাকে।

এবার পবিত্র আখেরি চাহার সোম্বা আগামী ২১ সেপ্টেম্বর (বুধবার) উদযাপিত হবে।

আখেরি চাহার সোম্বার ইতিহাস ও তাৎপর্য

ইসলাম ধর্মের ব্যাখ্যাকারদের মতে, মোহাম্মদ (সা.) দাবি করেছেন, মৃত্যুর আগে প্রত্যেক নবী জানতেন তার পরকালে পাড়ি দেওয়ার সময় সমাগত। কারণ, মৃত্যুর আগে আল্লাহ দূত প্রেরণ করে প্রত্যেক নবীকে দুটি বিকল্পের (দুনিয়ায় দীর্ঘ জীবন, ধন-সম্পদ, ভোগবিলাস অথবা মৃত্যুর মধ্য দিয়ে আল্লাহর দিদার লাভ, তাৎক্ষণিক বেহেশতের স্বাদ গ্রহণ) একটি বেছে নিতে বলেছেন। প্রত্যেক নবীই ওই শেষ বিকল্প বেছে নিয়েছেন। মৃত্যুর মাধ্যমে পরকালে পাড়ি দেওয়াকে শ্রেয় মনে করেছেন।
ইসলামের শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনেও উল্লিখিত ঘটনার ব্যতিক্রম ঘটেনি। ইবনে ইসহাক তার সিরাতে রাসুলুল্লাহ (সা.) গ্রন্থে বলেছেন, সফর মাসের শেষ কী রবিউল আউয়াল মাসের শুরুতে মোহাম্মদ (সা.)-এর আল্লাহর সম্মানজনক সান্নিধ্যে অন্তিমযাত্রার অসুখ শুরু হয়। ওই সময়ে এক মধ্যরাতে তিনি গিয়েছিলেন বাকিউল গারকাদের কবরস্থানে। সেখানে মৃত ব্যক্তিদের জন্য তিনি মোনজাত করেন। ভোরে ঘরে ফিরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

মোহাম্মদ (সা.)-এর ওই অসুখ যে তার মৃত্যুযাত্রার সূচনা, তা তিনি বুঝতে পেরেছিলেন। মোহাম্মদ (সা.) ও তার মুক্ত ক্রীতদাস আবু সওয়ায় হিবার কথোপকথন থেকে বিষয়টি স্পষ্ট বোঝা যায়। মোহাম্মদ (সা.) যখন মধ্যরাতে বাকিউল গারকাদের কবরস্থানে যান, তখন হিবাও সেখানে গিয়েছিলেন। হিবা বলেন, মোহাম্মদ (সা.) আমাকে দেখে বললেন, ‘আমাকে দুটো বিকল্পের একটি পছন্দ করতে বলা হয়েছে—এই জগতের সব সম্পদের মালখানার চাবি ও দীর্ঘজীবন অথবা বেহেশত, আমার আল্লাহর দিদার এবং তাৎক্ষণিক বেহেশত।’ হিবা বলেন, ‘আমি বললাম, আপনি প্রথমটি পছন্দ করেন।’ তিনি বললেন, ‘আমি দ্বিতীয়টি পছন্দ করেছি।’ অর্থাৎ মোহাম্মদ (সা.) মৃত্যুকে আলিঙ্গনের মাধ্যমে আল্লাহর দিদার লাভকে বেছে নিয়েছেন। আর এরই পরিপেক্ষিতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফলে ওই অসুখে তার জীবনাবসান হবে, তা তার অজানা ছিল না।

মোহাম্মদ (সা.)-এর কী অসুখ হয়েছিল, তা নিয়ে দুটি বিবরণ পাওয়া যায়। ইবনে ইসহাক তার সিরাতে রাসুলুল্লাহ (সা.) গ্রন্থে দাবি করেন, মোহাম্মদ (সা.) বাকিউল গারকাদের কবরস্থান থেকে ফিরে প্রচণ্ড শিরপীড়ায় আক্রান্ত হন। অন্যদিকে সিরাতে রাসুলুল্লাহ (সা.) গ্রন্থের ব্যাখ্যাকার ইবনে হিশাম তার সিরাতুন নবী (সা.) গ্রন্থে বলেন, মোহাম্মদ (সা.) তার অন্তিম যাত্রায় প্রচণ্ড মাথাব্যথায় আক্রান্ত হন। মূলত মোহাম্মদ (সা.) প্রচণ্ড শিরপীড়ায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে অসহ্য মাথাব্যথা অনুভব করেন। ওই মাথাব্যথা এতটা মারাত্মক ছিল, তিনি তার অন্তিমযাত্রার অধিকাংশ সময় অজ্ঞান ছিলেন। একটু সুস্থ হলেও আবার জ্ঞান হারাতেন।

আবিসিনিয়া থেকে আনা ওষুধ খাওয়ানো হলেও অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। কিছুক্ষণ ভালো থাকলেও পরমুহূর্তে তিনি জ্ঞান হারাতেন। এ অবস্থায় মোহাম্মদ (সা.)-এর পরিবারের সদস্য ও সাহাবীরা তার বেঁচে থাকার আশা ছেড়ে দেন। ওই নিরাশার মধ্যেই একদিন মোহাম্মদ (সা.) আশার আলো জ্বালালেন। তিনি এক সকালে জ্ঞান ফিরে পেলেন। অনেকটা সুস্থ স্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন। সাত কুয়োর জল দিয়ে গোসল করেন। নবী কন্যা ফাতেমা (রা.) এবং দুই নাতি হাসান (রা.) ও হোসেনকে (রা.) সঙ্গে নিয়ে দুপুরের খাবার খান। মোহাম্মদ (সা.)-এর ওই সুস্থ হওয়ার ঘটনায় তার পরিবারের সদস্য ও সাহাবীরা আনন্দে আত্মহারা হন। খুশিতে তারা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে নফল নামাজ আদায় করেন। আল্লাহর নামে গরিব-দুঃখীর মাঝে সামর্থ্য অনুযায়ী দান-খয়রাত করেন। হজরত আবু বকর (রা.) পাঁচ হাজার, হজরত উমর (রা.) সাত হাজার, হজরত আলী (রা.) তিন হাজার দিরহাম এবং হজরত আবদুর রহমান বিন আউফ একশত উট দান করেন।

নবিপত্নী হজরত আয়েশা (রা.)-এর বিবরণ থেকে জানা যায়, সফর মাসের শেষ বুধবার মোহাম্মদ (সা.) হঠাৎ সুস্থ হয়ে ওঠেন। যদিও দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতে নামতে মুহাম্মদ (সা.) আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু ওই ঘটনাকে আজও মুসলিমরা প্রতিবছর স্মরণ করেন। সফর মাসের শেষ বুধবার ওই ঘটনা ঘটে বলে এর নামকরণ হয় আখেরি চাহার সোম্বা।

সফর মাসের শেষ বুধবারে মোহাম্মদ (সা.)-এর সাময়িক সুস্থতাকে স্মরণ করে মুসলমানরা যে ইবাদত করেন, তাই আখেরি চাহার সোম্বা। পৃথিবীর সব মুসলিম যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে এই দিনটি স্মরণ না করলেও বাংলাদেশসহ ভারত উপমহাদেশের মুসলিমরা এই দিন বিশেষভাবে পালন করেন। পারসিক প্রভাবিত এই এলাকার ইসলাম ও মুসলিম সংস্কৃতির অন্যতম বিষয় আখেরি চাহার সোম্বা। কারণ, এ অঞ্চলের সুফিরা এবং দিল্লির শাসকরা রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দিনটি পালন করতেন। ফলে ধীরে ধীরে দিনটি ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালন করা এই এলাকার মুসলিমদের ধর্মীয় জীবনের অংশ হয়ে ওঠে।

পৃথিবীর সব অঞ্চলের মুসলমানরা যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে দিনটি পালন না করায় অনেকে এই দিনটি পালনের তাৎপর্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তবে মোহাম্মদ (সা.)-এর সাময়িক সুস্থতার ঘটনা স্মরণ করে কেউ যদি ইবাদত করে অথবা দান-খয়রাত করেন, তাতে দোষের কিছু নেই। কারণ, দানে-ইবাদতে মানুষ পরিশুদ্ধ হয়। সম্পদ বাড়ে। তাই আখেরি চাহার সোম্বা উপলক্ষে যদি কেউ নফল নামাজ পড়েন, আল্লাহর নামে গরিব-দুঃখীর মাঝে দান-খয়রাত করেন, তাতে ব্যক্তি ও সমাজের প্রভূত কল্যাণ সাধিত হওয়া ছাড়া অকল্যাণের কিছু আছে বলে মনে হয় না।

আরএ/

Header Ad
Header Ad

আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি

মহেন্দ্র সিং ধোনি। ছবি: সংগৃহীত

আবারও চেন্নাই সুপার কিংসের নেতৃত্বে ফিরলেন 'ক্যাপ্টেন কুল' মহেন্দ্র সিং ধোনি। ইনজুরির কারণে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন তরুণ অধিনায়ক ঋতুরাজ গাইকোয়াড়। তার অনুপস্থিতিতে হাল ধরলেন অভিজ্ঞ ধোনি।

আইপিএল ২০২৫-এর মাঝপথে এসে বড়সড় পরিবর্তন আনলো চেন্নাই সুপার কিংস। দলের কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং নিশ্চিত করেছেন, চেন্নাইয়ের নেতৃত্ব আবারও ধোনির কাঁধেই তুলে দেওয়া হয়েছে।

ফ্লেমিং বলেন, "আমাদের হাতে বেশ কয়েকটি নেতৃত্বের বিকল্প থাকলেও ধোনির অভিজ্ঞতাই আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছে দেয়। ধোনি পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিজেই সম্মত হয়েছেন দায়িত্ব নিতে।"

গত মৌসুম থেকে অধিনায়কত্ব সামলাচ্ছিলেন তরুণ ব্যাটার ঋতুরাজ গাইকোয়াড়। চলতি মৌসুমেও তাকেই সামনে রেখে প্রস্তুতি নেয় চেন্নাই। তবে কনুইয়ের ইনজুরিতে আইপিএলের বাকি অংশ থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। ফলে ফের নেতৃত্বভার ফিরে গেল ধোনির হাতে।

২০২৩ আইপিএলের ফাইনালে চেন্নাইকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ধোনি। তার কৌশলী নেতৃত্বেই সিএসকে ঘরে তোলে পঞ্চম শিরোপা। এর আগেও তিনি নেতৃত্ব ছেড়েছিলেন, কিন্তু সেসময় অধিনায়কত্বে ব্যর্থ হন রবীন্দ্র জাদেজা। পরে আবার দায়িত্ব নেন ধোনি, এবং প্রমাণ করেন—বয়স শুধুই সংখ্যা, অভিজ্ঞতা কখনও পুরনো হয় না।

চলতি মৌসুমে অবশ্য চেন্নাইয়ের পারফরম্যান্স আশানুরূপ নয়। এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচে মাত্র একটি জয়ে পয়েন্ট তালিকার ৯ নম্বরে রয়েছে দলটি। এই মুহূর্তে দলকে নতুন করে উজ্জীবিত করতে পারে ধোনির নেতৃত্ব, এমনটাই আশা ভক্ত-সমর্থকদের।

আগামীকাল শুক্রবার ধোনির অধীনে চেন্নাই মাঠে নামবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে। ম্যাচটি হতে পারে দলের ঘুরে দাঁড়ানোর টার্নিং পয়েন্ট।

এদিকে ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলিও ধোনিকে আবারও অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি বলেন, “আমি জানি না চেন্নাই ম্যানেজমেন্ট কী ভাবছে, তবে ধোনি যেহেতু এখনো খেলছে, তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো উচিত। সে চেন্নাইয়ের জন্য সেরা সিদ্ধান্ত নেবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।”

অন্যদিকে পয়েন্ট টেবিলে এখন শীর্ষে গুজরাট টাইটান্স, দ্বিতীয় স্থানে দিল্লি ক্যাপিটালস, তৃতীয়তে রয়েছে বিরাট কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সমান ম্যাচে সমান জয়ে চারে পাঞ্জাব কিংস। তবে শিরোপাধারী কেকেআর রয়েছে ছয়ে, পাঁচ ম্যাচে দুটো জয় নিয়ে।

Header Ad
Header Ad

‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার

‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা। ছবি: সংগৃহীত

টাকা আয়ের জন্য সন্তানদের ওপর ‘নির্যাতন চালিয়ে’ ভিডিও বানানোর অভিযোগে ‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এবার তাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সাভার থেকে গ্রেফতার করে ‘ক্রিম আপা’কে আশুলিয়া থানায় নেয়া হচ্ছে।

আশুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত বুধবার (৯ এপ্রিল) আশুলিয়া থানায় মামলাটি করেন সাভার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কাজী ইসরাত জামান।

মামলার বিবরণে বলা হয়, শারমিন শিলা পেশায় একজন বিউটিশিয়ান এবং ‘ক্রিম আপা’ নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিত। নিজের তৈরি ক্রিম ও মেকআপ বিষয়ক ভিডিও ছাড়াও তিনি প্রায়ই তার সন্তানদের—এক ছেলে ও এক মেয়েকে—ভিডিওতে ব্যবহার করে থাকেন।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যায় শিলা জোর করে মেয়ের মুখে কেক জাতীয় খাবার গুঁজে দিচ্ছেন। ভিডিওতে মেয়েটিকে আতঙ্কিত ও কাঁদতে দেখা যায়। এমন ভিডিও তার অন্যান্য কনটেন্টেও লক্ষ করা গেছে, যেখানে মেয়েটির মুখে ভয়, আতঙ্ক ও মানসিক অস্বস্তির ছাপ স্পষ্ট।

এই ধরনের আচরণকে শিশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতা, অবহেলা ও মাতৃসুলভ আচরণের লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছে মামলার বাদী পক্ষ। শিশু অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

সাভারের বাইপাইলে ‘ক্রিম আপা বিউটি পার্লার’ নামের একটি বিউটি সেলুন পরিচালনা করেন শারমিন শিলা। সেখানে থেকে বিভিন্ন রূপচর্চা ও ব্যক্তিগত জীবনের ভিডিও প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনায় আসেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘একাই একশো’ ঢাকার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শিলার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা দেয়। পরে জেলা প্রশাসন থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়। অভিযোগের পর শারমিন শিলা এক ফেসবুক লাইভে এসে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে জানান, তিনি আর কখনও এমন ভিডিও করবেন না।

Header Ad
Header Ad

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা

ছবি: সংগৃহীত

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও আকাশছোঁয়া। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম পৌঁছেছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৭ টাকায়, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। সর্বশেষ প্রতি ভরিতে ২ হাজার ৪০৩ টাকা বৃদ্ধির ফলে এই নতুন রেকর্ড তৈরি হলো।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৭ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫১ হাজার ৭৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩০ হাজার ১১২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭ হাজার ৩৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

এর আগে, সবশেষ গত ৮ এপ্রিল দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ২৪৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫৬ হাজার ৬২৪ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২৮ হাজার ১৪১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫ হাজার ৬৬৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল ৯ এপ্রিল থেকে।এ নিয়ে চলতি বছর ১৯ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ১৪ বার, আর কমেছে মাত্র ৫ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি
‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ
এসএসসির ফল ৬০ দিনে প্রকাশের চেষ্টা করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
পূর্বাচলে প্লট দুর্নীতি: শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
যমুনা নদী বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৭ জনকে কারাদন্ড