হোসনি দালানে শোকের তাজিয়া মিছিল
আজ হিজরি বছরের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখ। পবিত্র আশুরা। এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.) এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেন (রা.) ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে শহীদ হন। সেই থেকে মুসলিম বিশ্ব কারবালার ঘটনাকে ত্যাগ ও শোকের প্রতীক হিসেবে পালন করে আসছে। এই দিনে শিয়া সম্প্রদায়ের মুসল্লিরা শোক পালনে তাজিয়া মিছিলের আয়োজন করে থাকে।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) সকাল ১০টায় পুরান ঢাকার হোসনি দালান থেকে সবচেয়ে বড় তাজিয়া মিছিল যাত্রা শুরু করেছে। শিয়া সম্প্রদায়ের হাজারো মুসল্লি শোকের মাতম করতে করতে প্রতিকী অস্থায়ী কারবালা প্রাঙ্গণ ঝিগাতলা মোড়ে ধানমন্ডি লেকে গিয়ে পৌঁছাবে দুপুর দেড়টায়। সেখানে নামাজ আদায়-জিকির-দোয়ার মাধ্যমে তাজিয়া মিছিলের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর, মিরপুর, বকশিবাজার, লালবাগ, ফরাশগঞ্জ, পল্টন, মগবাজার এলাকা থেকে একাধিক মিছিল এসে মিলবে হোসনি দালানের তাজিয়া মিছিলের সঙ্গে। এরপর সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে সবগুলো মিছিল ঝিগাতলায় ধানমন্ডি লেকের অভিমুখে এগিয়ে যাবে। মিছিলটি হোসনি দালান থেকে বেরিয়ে কারা অধিদপ্তর-শিক্ষা বোর্ড-আজিমপুর-নিউমার্কেট- সায়েন্সল্যাব হয়ে ঝিগাতলায় গিয়ে পৌঁছাবে।
ঐতিহ্যবাহী তাজিয়া মিছিলের সব ধরনের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পুরো মিছিলকে কেন্দ্র করে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে র্যাব-পুলিশ-সাদা পোশাকের গোয়েন্দা-ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা।
প্রতিবারের মতো এবারও হোসনি দালান প্রাঙ্গণে ইমাম হোসেন (রা.) এর দুলদুল ঘোড়ার ন্যায় প্রতিকী একটি ঘোড়াকে সাজানো হয়। সকাল ১০টায় এই প্রতিকী দুলদুল ঘোড়াটিকে দুধ ঢেলে বরণ করে নেন শিয়া সম্প্রদায়ের মুসল্লিরা। এরপর দুলদুল ঘোড়াটি মিছিলে যোগ দিলে শুরু হয় কারবালামুখী শোক যাত্রা।
হোসনি দালান ইমামবাড়ার তত্ত্বাবধায়ক এম এন ফিরোজ হোসেন বলেন, ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ইমাম হোসেন (রা.) কারবালা প্রাঙ্গণে শহীদ হয়েছিলেন। তার আত্মত্যাগের পর ইসলাম আবার নতুনভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে সত্যের বিজয় হয়েছে। আমরা এবারের তাজিয়া মিছিলে এই বার্তা দিতে চাই যে সত্যের বিজয় সবসময় সুনিশ্চিত। বিশ্বব্যাপী ইসলাম ধর্ম আলো ছড়াবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
এসএন