রমজানের মাসআলা-১
সাহরির খাওয়া অবস্থায় ফজরের আজান হলে করণীয়
সাহরির খাওয়া অবস্থায় ফজরের আজান হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে খাওয়া বন্ধ করতে হবে। যথারীতি রোজা পালন করবেন; তবে শেষে সময়ের পর ভুলক্রমে বা অনিচ্ছাকৃত পানাহার করায় রোজা ভঙ্গ হয়েছে বিধায় এই রোজাটি রমজানের পর পুনরায় কাজা আদায় করতে হবে। তবে আজান শোনার পরও যদি পানাহার বন্ধ না করেন, তাহলে কাজার সঙ্গে কাফফারাও আদায় করতে হবে। যেহেতু প্রথমে ভুলবশত খাওয়া হলেও পরে ইচ্ছাকৃত খাওয়ার দ্বারা রোজা ভঙ্গ হয়েছে।
মনে রাখা দরকার, আজান কখনো সাহরির সময়ের মধ্যে দেওয়া হয় না; আজান ফজরের ওয়াক্ত হওয়ারও একটু পরে দেওয়া হয়। কারণ সাহরির সময় বাকি থাকলে ফজরের ওয়াক্ত হয় না, আর ওয়াক্ত হওয়ার আগে আজান দিলে আজান আদায় হবে না।
প্রসঙ্গত, আজান হলো ফজরের নামাজের জন্য সাহরি খাওয়া বন্ধ করার জন্য নয়। তাই সাহরি তার আগেই বন্ধ করতে হবে। হাদীস শরীফে যে আজানের পরেও খাওয়ার কথা আছে, তা হলো তাহাজ্জুদের আজান, ফজরের আজান নয়। যা এখনো মক্কা ও মদীনায় প্রচলিত আছে। (ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী)