বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

আহলান সাহলান মাহে রমজান

শুভেচ্ছা স্বাগতম মাহে রমজান। কুরআন নাজিলের মাস রমজান। আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা বলেন, ‘রমজান মাস, এতে মানুষের দিশারী এবং সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এই মাস পাবে তারা যেন এই মাসে রোজা পালন করে।’ তাকওয়ার মাস রমজান। আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের জন্য রোজার বিধান দেওয়া হলো, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীগণকে দেওয়া হয়েছিল; যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’ (সূরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৮৫ ও ১৮৩)

রহমত মাগফিরাত ও নাজাতের সুসংবাদ নিয়ে এলো মাহে রমজান। প্রিয় নবী (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানসহ সওয়াবের নিয়াতে রমজানে রোজা পালন করে, তার পূর্বে গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।’ ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সহিত সওয়াবের আশায় রমজানে রাত জেগে ইবাদাত করে, তার পূর্বে গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।’ ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় কদরের রাতে জেগে ইবাদাত করবে, তার অতীতের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’ (বুখারী, প্রথম খণ্ড, হাদীস: ৩৭, ৩৬ ও ৩৪)

রজব ও শাবান দুইমাসব্যাপী আমরা দোয়া করে আসছি–‘হে আল্লাহ রজব ও শাবান মাস আমাদের জন্য বরকতময় করুন এবং রমজান আমাদের নসীব করুন!’ এই প্রার্থনা কবুল হলো। তাই সবাই বলছি- ‘আহলান সাহলান মাহে রমজান, সুস্বাগতম রমজান মাস’। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ (স.) বলেন: যখন রমজান মাস আসে তখন জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়; শয়তানকে শৃঙ্খলিত করা হয়। (বুখারী, খণ্ড: ৩, হাদীস: ১,৭৭৮)

‘সওম’ অর্থ বিরত থাকা; বহুবচন হলো ‘সিয়াম’। ফার্সি, উর্দু, হিন্দি ও বাংলায় সওমকে ‘রোজা’ বলা হয়। পরিভাষায় সওম বা রোজা হলো ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ইবাদাতের উদ্দেশ্যে পানাহার ও যৌন সম্ভোগ থেকে বিরত থাকা। আল্লাহ তাআলা কুরআন হাকীমে বলেন, ‘আর তোমরা পানাহার করো যতক্ষণ রাত্রির কৃষ্ণ রেখা হতে উষার শুভ্র রেখা স্পষ্টরূপে তোমাদের নিকট প্রতিভাত না হয়। অতঃপর নিশাগম পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ করো।’ (সূরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৮৭)

প্রাপ্তবয়স্ক তথা সাবালক, সাধারণ বুদ্ধিমত্তা বা স্বাভাবিক জ্ঞানসম্পন্ন, রোজা পালনে সক্ষম সুস্থ সব নারী ও পুরুষের জন্য রমজান মাসে রোজা পালন করা বাধ্যতা মূলক ফরজ ইবাদত। ঋতুবতী নারী, সন্তান প্রসবকারী মা, অসুস্থ ব্যক্তিগণ এই রোজা পরবর্তী সময়ে কাজা আদায় করবেন। এমন অক্ষম ব্যক্তি যিনি পুনরায় সুস্থ হয়ে রোজা পালনের সামর্থ লাভের সম্ভাবনা বিদ্যমান নেই, তারা রোজার জন্য ফিদিয়া প্রদান করবেন। অর্থাৎ প্রতিটি রোজার জন্য একটি সদকাতুল ফিতরের সমান দান করবেন। জাকাত গ্রণের উপযুক্তদেরই এই ফিদইয়া প্রদান করা যাবে।

রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘জান্নাতে রায়্যান নামক একটি দরজা আছে। এ দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন শুধু রোজাদারেরাই প্রবেশ করবে। তাদের প্রবেশের পরে এই দরজাটি বন্ধ করে দেওয়া হবে, তারা ছাড়া আর কেউ এই দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।’ (বুখারী, খণ্ড: ৩, হাদীস: ১,৭৭৫)। রমজান মাসে প্রতিটি নেক আমলের ফজিলত সত্তরগুণ বৃদ্ধি করা হয়। একেকটি নফল ইবাদাতের সওয়াব ফরজ ইবাদাতের সমান দান করা হয়।

রমজান মাসে একটি ফরজ, পূর্ণ একমাস রোজা পালন করা। রমজানের সাথে সম্পৃক্ত দুটি ওয়াজিব–সদকাতুল ফিতর প্রদান ও ঈদের নামাজ আদায় করা। রমজানের বিশেষ সুন্নাতসমূহ হলো–রজব মাস ও শাবান মাস বরকতের জন্য এবং রমজান প্রাপ্তির জন্য দোয়া করতে থাকা; রজব ও শাবান মাস থেকে রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করা, রজব ও শাবান মাসে অধিক পরিমাণে নফল রোজা রাখা ও নফল নামাজ আদায় করা, শাবান মাসের চাঁদের তারিখের হিসাব রাখা; রমজানের চাঁদ দেখা; সাহরী খাওয়া, তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা, ইফতার করা ও করানো, বিশ রাকাত তারাবীহ নামাজ আদায় করা, কুরআন কারীম বেশি বেশি তিলাওয়াত করা এবং ইতিকাফ করা; রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোয় শবে কদর সন্ধান করা, ঈদের জন্য শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা।

তারাবীহ নামাজ রমজানের বিশেষ আমল। এতে কুরআন তিলাওয়াত ও রাত্রি জাগরণের আমলও হয়। পুরুষগণ তারাবীহ নামাজ মসজিদে জামাআতে আদায় করা সুন্নাত। ওজরের কারণে মসজিদে যাওয়া সম্ভবপর না হলে এবং জামাআত করা না গেলে; তখন একা পড়লেও পূর্ণ সওয়াব পাওয়া যাবে। অনুরূপ পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজও বিশেষ অবস্থায় একাকী আদায় করা যাবে। এতেও পরিপূর্ণ সওয়াব পাওয়া হবে।

তারাবীহ নামাজে পূর্ণ কুরআন শরীফ একবার পাঠ করা সুন্নাত। একে খতম তারাবীহ বলা হয়। যারা সব সময় খতম তারাবীহ পড়ে থাকেন বা পড়ার ইচ্ছা রাখেন, তারা বিশেষ কোনো কারণে তা করতে না পারলেও এর পুর্ণ সওয়াব লাভ করবেন। হাদীস শরীফে রয়েছে, ‘কাজের ফলাফল নিয়াতের উপর নির্ভরশীল।’ (বুখারী, হাদীস: ১)।

রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করুন। রমজানে ইবাদাতের পরিবেশ বজায় রাখুন। রমজানের ফরজ ওয়াজিব ও সুন্নাতসমূহ পালন করুন। নিজে নেক আমল করুন অন্যদেরও নেক আমলে উদ্বুদ্ধ ও সহায়তা করুন। দুনিয়ার শান্তি ওপরকালের মুক্তি নিশ্চিত করুন। রমজানের রোজা পালন ও ইবাদাতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ এবং কোপ ও রোষ থেকে নিষ্কৃতি ও বালা মুসিবত থেকে মুক্তির চেষ্টা করুণ। হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘রোজা অমারই জন্য, আমিই এর বিনিময় প্রতিদান দেবো।’ (বুখারী, খণ্ড: ২, পৃষ্ঠা: ২২৬)

এসএ/

Header Ad
Header Ad

মুসলিম লীগ যেমন বিলুপ্ত হয়েছে, আওয়ামী লীগও বিলুপ্ত হবে : সলিমুল্লাহ খান

ড. সলিমুল্লাহ খান। ছবিঃ সংগৃহীত

প্রথিতযশা বাংলাদেশী চিন্তাবিদ ও লেখক এবং রাজনীতি, সংস্কৃতি ও সাহিত্যের বিশ্লেষণ অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, যেভাবে মুসলিম লীগ বিলুপ্ত হয়েছে, একইভাবে আওয়ামী লীগও একদিন বিলুপ্ত হবে।

প্রবাসী সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দিনের এক অনলাইন আলোচনায় যুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগ বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং নিজের বিশ্লেষণধর্মী মতামত তুলে ধরার এক পর্যায়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আওয়ামী লীগ আর কখনো উঠে দাঁড়াতে পারবে না। যদি পারে, তাহলে আমার রাজনৈতিক পড়াশোনার সবকিছুই বৃথা যাবে।

তিনি দাবি করেন, আমি শুনেছি, আওয়ামী লীগের একজন প্রথম সারির নেতা বলেছেন, দলটি এখন জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত, কিন্তু তাদের নেত্রী কখনোই এ কথা বলেন নি। তবে ক্ষমা চাইলেও খুনের অপরাধের মার্জনা হয় না। যারা হত্যার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচার ফৌজদারি আদালতের মাধ্যমেই হবে।

ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, আমি মনে করি, আওয়ামী লীগ তাদের রাজনীতি করার নৈতিক বৈধতা হারিয়েছে। তিনি শামসুর রহমানের প্রথম কবিতার বই 'প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে'-এর উদাহরণ টেনে বলেন, "বাকশাল গঠনের আগে আওয়ামী লীগ যেমন নিজেকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেছিল, তেমনি এখন তারা আবার দ্বিতীয়বার আত্মবিলুপ্তির পথে হাঁটছে।"

ড. সলিমুল্লাহ খান আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ঐতিহাসিকভাবে প্রতিশোধপরায়ণ নন, যদিও শেখ হাসিনাকে নিয়ে বলা হয় যে তিনি ভয়ানক প্রতিশোধপরায়ণ।

তিনি বলেন, আমি মনে করি, শেখ হাসিনার প্রধান সমস্যা হলো তিনি লেখাপড়া জানতেন না। তার কথা বলার ধরন থেকে কখনোই মনে হয়নি যে তিনি প্রজ্ঞাবান।

এ আলোচনা শেষে তিনি উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক বাস্তবতা পরিবর্তনশীল এবং সময়ই বলে দেবে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কী হতে যাচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাব্বীসহ ৮ বুয়েট শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার  

ছবিঃ সংগৃহীত

রাজনীতি নিষিদ্ধ ক্যাম্পাসে গত বছর মার্চে ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) রাজনীতি ফেরাতে বেশ সরব ছিলেন সংগঠনটির একদল নেতাকর্মী। এর অন্যতম সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সদস্য ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ২০তম ব্যাচের ছাত্র ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বী। এ ঘটনায় রাব্বীসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এমন ৮ জন শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। আর বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার ও শোকজ করা হয়েছে ৫২ জনকে।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক এ কে এম মাসুদ বলেন, বুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধ। কিন্তু শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা গত মার্চে ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় রাজনীতি ফেরাতে বেশ সরব ছিলেন। সেসব বিষয় তদন্ত করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রাব্বী ছাড়া আজীবন বহিষ্কার হওয়া বাকি শিক্ষার্থীরা হলেন, বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ২০তম ব্যাচের তানভীর মাহমুদ স্বপ্নীল ও মিশু দত্ত চাঁদ, কেমিকৌশল বিভাগের ২০তম ব্যাচের অরিত্র ঘোষ, সাগর বিশ্বাস জয়, আশিক আলম ও আসগর দাস এবং যন্ত্রকৌশল বিভাগের ১৯তম ব্যাচের আসিফ আল জাবের।

শাস্তি-শোকজ হওয়া ৬০ জনই ছাত্রলীগের সাথে জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন শহীদ আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ। ফেসবুকের এক পোস্টে তিনি লেখেন, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাথে প্রকাশ্যে বা গোপনে যুক্ত থাকা, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মিডিয়ায় মিথ্যা ইন্টারভিউ দেওয়া, ক্যাম্পাসের নিরাপদ পরিবেশ নষ্টের চেষ্টা করেছে এমন বুয়েটের ৮ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার, ১২ জনকে ৬-৪ টার্ম বহিষ্কার, ৬ জনকে ২ টার্ম এবং ৩৪ জনকে ওয়ার্নিং ও হল বহিষ্কার করা হয়েছে আজ। অর্থাৎ মোট ৬০জনকে প্রায় ৫মাস তদন্তের পরে শাস্তি দেওয়া হলো।

তিনি আরও লেখেন, মূলত গত বছরের এপ্রিল থেকে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চালুর যে চেষ্টা হয়েছিলো, এরা তার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল। ভবিষ্যতে যারা পুনরায় একই ধরনের চেষ্টা করার কথা ভাবছেন, আশা করি ফলাফল কেমন হতে পারে তা স্মরণে রেখে নিজেকে বিরত রাখবেন।

এর আগে, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় বুয়েটের আট শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়াও আরও ৫২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি ও শোকজ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বুয়েটের ডিএসডাব্লিউ অধ্যাপক ড. এ কে এম মাসুদ।

তিনি বলেন, আমাদের এক সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্যাম্পাসের শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে ৮ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও ১২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে টার্ম বহিষ্কার করা হয়েছে। ছয়জনকে দুই টার্মের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে এবং শেষ বারের মতো সতর্ক করা হয়েছে। হলের সিট বাতিল করা হয়েছে সাতজন শিক্ষার্থীর ও ২৭ জনকে সতর্ক করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

জীবননগর সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বাংলাদেশি যুবক আটক

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মেদিনীপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে এক বাংলাদেশি যুবককে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আটক সজিব হোসেন (১৭) উপজেলার মেদিনীপুর গ্রামের উত্তরপাড়ার বাসিন্দা শফিকুল ইসলামের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহেশপুর-৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রফিক।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে মেদিনীপুর সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশের সময় মাদকসহ সজিবকে আটক করে বিএসএফ। একই গ্রামের আরও তিনজন-মকবুল হোসেন, শাওন ও নয়ন-সজিবের সঙ্গে সীমান্ত পার হলেও তারা দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। বিএসএফ তাদের ধাওয়া করলে বাকিরা পালিয়ে গেলেও সজিব ধরা পড়ে।

সজিবের মা সাবিনা খাতুন জানান, তার ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে সোমবার দুপুরে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। পরে সবাই ফিরে এলেও সজিব আর ফেরেনি। খোঁজাখুঁজির পর তারা জানতে পারেন, বিএসএফ সজিবকে আটক করেছে। এরপর তারা বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করলে প্রথমে বিজিবি বিষয়টি জানে না বলে জানায়। পরদিন সকালে বিজিবি ক্যাম্পে গেলে বিজিবি সদস্যরা জানান, সজিবকে বিএসএফ ভারতীয় থানায় হস্তান্তর করেছে এবং তাকে ফেরত আনার জন্য পতাকা বৈঠকের চেষ্টা চলছে।

এ বিষয়ে মহেশপুর-৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ রফিক জানান, সজিব একজন মাদক কারবারি। ভারতীয় তিন নাগরিকসহ সজিবকে মাদকের চালানসহ আটক করেছে বিএসএফ। যেহেতু সে ভারতে মাদকসহ ধরা পড়েছে, তাই তাকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মুসলিম লীগ যেমন বিলুপ্ত হয়েছে, আওয়ামী লীগও বিলুপ্ত হবে : সলিমুল্লাহ খান
ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাব্বীসহ ৮ বুয়েট শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার  
জীবননগর সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বাংলাদেশি যুবক আটক
নগদের সাবেক চেয়ারম্যান-এমডিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে ৬৪৫ কোটি টাকা জালিয়াতির মামলা
৮ ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হচ্ছে নতুন মার্কিন ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
ক্যাম্পাসের মসজিদে কোরআন পুড়িয়েছে রাবি ছাত্র, জানা গেল পরিচয়
মার্কিন ভিসার জন্য প্রার্থনা করতে মন্দিরে ভিড় ভারতীয়দের
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় মূল সন্দেহভাজন আটক
পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়াই পাসপোর্ট ইস্যু ও নবায়ন
বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীতে ২১ কোম্পানির বাস চলবে টিকিট-কাউন্টার ভিত্তিতে
পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে কানাডার সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
২০ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে হবে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা
নিহত যুবদল নেতা তৌহিদুলের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস সেনাবাহিনীর
১৭ বছর পর বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নেই সাকিব
সিরিয়ায় নির্বাচন হতে লাগবে আরও ৪-৫ বছর: অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারা
ভোটার তালিকা হালনাগাদে যুক্ত হচ্ছে ৫০ লাখ নতুন ভোটার: ইসি সচিব
রাঙামাটিতে তৃতীয় লিঙ্গের একজনকে গলা কেটে হত্যা
টিকটকে প্রেম নওগাঁর মোমিনের সাথে পালায় সুবা  
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত প্রায় ৬২ হাজার, ধ্বংসস্তূপের নিচে হাজারো মরদেহ
অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি কমানো : অর্থ উপদেষ্টা