বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | ১০ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

শবে বরাতের ফজিলত ও আমল

শাবান মাসের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতকে ‘শবে বরাত’ বলা হয়। শবে বরাত কথাটি ফারসী থেকে এসেছে। শব মানে রাত, বারাত মানে মুক্তি; শবে বরাত অর্থ মুক্তির যামিনী। ‘শবে বরাত’ এর আরবী হলো ‘লাইলাতুল বারাআত’। হাদীস শরীফে যাকে ‘নিসফ শাবান’ বা শাবান মাসের মধ্য দিবসের রজনী বলা হয়েছে। ভারতীয় উপমহাদেশ ও পারস্যসহ পৃথিবীর অনেক দেশের ফারসি উর্দূ বাংলা ও হিন্দীসহ নানান ভাষায় যা ‘শবে বরাত’ নামেই অধিক পরিচিত।

ইসলামী তমুদ্দুন তথা মুসলিম কৃষ্টিতে যেসকল দিবস ও রজনী বিখ্যাত, তন্মধ্যে পাঁচটি রাত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ এই বিশেষ পাঁচটি রাত হলো: দুই ঈদের রাত্রিদ্বয়, শবে মিরাজ, শবে বরাত ও শবে কদর। যারা রাতের ইবাদাতের গুরুত্ব অনুধাবন করেন, তারা প্রতিটি রাতকে শবে বরাত বানিয়ে নেন।

আল্লাহ তাআলা বলেন: “হা-মীম! শপথ! উজ্জ্বল কিতাবের, নিশ্চয় আমি তা নাযিল করেছি এক বরকতময় রাতে; নিশ্চয় আমি ছিলাম সতর্ককারী। যাতে সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নির্ধারিত হয়। এ নির্দেশ আমার তরফ থেকে, নিশ্চয় আমিই দূত পাঠিয়ে থাকি। এ হলো আপনার প্রভুর দয়া, নিশ্চয় তিনি সব শোনেন ও সব জানেন। তিনি নভোমন্ডল ভূমন্ডল ও এ উভয়ের মাঝে যা আছে সে সবের রব। যদি তোমরা নিশ্চিত বিশ্বাস কর, তিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই, তিনি জীবন ও মৃত্যু দেন, তিনিই তোমাদের পরওয়ারদিগার আর তোমাদের পূর্ব পুরুষদেরও। তবুও তারা সংশয়ে রঙ্গ করে। তবে অপেক্ষা কর সে দিনের, যেদিন আকাশ সুষ্পষ্টভাবে ধূম্রাচ্ছন্ন হবে। (সূরা-৪৪ [৬৪] দুখান, রুক‚: ১, আয়াত: ১-১০, পারা: ২৫, পৃষ্ঠা: ৪৯৬-৪৯৭/১৪-১৫)।

মুফাসসিরীনগণ বলেন: এখানে ‘লাইলাতুম মুবারাকা’ বা বরকতময় রজনী বলে শাবান মাসে পূর্ণিমা রাতকেই বুঝানো হয়েছে। (তাফসীরে মাযহারী, রূহুল মাআনী ও রূহুল বায়ান)। হযরত ইকরিমা (রা.) প্রমূখ কয়েকজন তফসীরবিদ থেকে বর্ণিত আছে, সূরা দুখান এর দ্বিতীয় আয়াতে বরকতের রাত্রি বলে শবে বরাত বোঝানো হয়েছে। (তাফসীরে মাআরিফুল কুরআন)।

শবে বরাতের ফজিলত:

হজরত আয়িশা সিদ্দীকা (রা.) বলেন, একবার রসূলুল্লাহ (স.) নামাযে দাঁড়ালেন এবং এত দীর্ঘ সিজদা করলেন যে, আমার ধারণা হলো তিনি মৃত্যু বরণ করেছেন; আমি তখন উঠে তাঁর পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলী নাড়া দিলাম, তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলী নড়লো; তিনি সিজদা থেকে উঠলেন এবং নামায শেষ করে আমাকে লক্ষ করে বললেন: হে আয়িশা! তোমার কি এ আশঙ্কা হয়েছে? আমি উত্তরে বললাম ইয়া রসূলুল্লাহ (স.) আপনার দীর্ঘ সিজদা থেকে আমার আশঙ্কা হয়েছিলো আপনি মৃত্যু বরণ করেছেন কি না। নবীজী (স.) বললেন- তুমি কি জানো এটা কোন রাত? আমি বললাম আল্লাহ ও আল্লাহর রসূলই ভালো জানেন। তখন নবীজী (স.) বললেন: এটা হলো অর্ধ শাবানের রাত; এ রাতে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের প্রতি মনোযোগ দেন; ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করে দেন, অনুগ্রহ প্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন। আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের তাদের অবস্থাতেই ছেড়ে দেন। (শুআবুল ঈমান, তৃতীয় খন্ড, পৃষ্ঠা: ৩৮২)।

হজরত আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে: নবীজী (স.) এ রাতে মদীনার কবরস্তান ‘জান্নাতুল বাকী’তে এসে মৃতদের জন্য দোয়া ও ইস্তিগফার করতেন। তিনি আরো বলেন, নবীজী (স.) তাকে বলেছেন, এ রাতে বনী কালবের ভেড়া বকরীর পশমের (সংখ্যার পরিমাণের) চেয়েও বেশি সংখ্যক গুণাহগারকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। (তিরমিযী শরীফ, হাদীস: ৭৩৯)।

শবে বরাতের নফল নামাজ ও ইবাদাত:

রসূলুল্লাহ (স.) বলেন: যখন শাবানের মধ্য দিবস আসবে, তখন তোমরা রাতে নফল ইবাদাত করবে ও দিনে রোজা পালন করবে। (ইবনে মাজাহ)। ইবাদাতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো নামাজ; সুতরাং নফল ইবাদাতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো নফল নামাজ। প্রতিটি নফল ইবাদাতের জন্য তাজা অজু বা নতুন অজু করা মুস্তাহাব। বিশেষ ইবাদাতের জন্য গোসল করাও মুস্তাহাব। ইবাদাতের জন্য দিন অপেক্ষা রাত শ্রেয়তর। হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী কারীম (স.) বলেছেন: চৌদ্দ শাবান দিবাগত রাত যখন আসে তখন তোমরা এ রাতটি ইবাদাত বন্দিগীতে কাটাও এবং দিনের বেলায় রোজা রাখ; কেননা এ দিন সূর্যাস্তের পর আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার আসমানে নেমে আসেন এবং আহ্বান করেন: কোনো ক্ষমা প্রার্থী আছো কি? আমি ক্ষমা করবো; কোনো রিযিক প্রার্থী আছো কি? আমি রিযিক দেবো; আছো কি কোনো বিপদগ্রস্ত? আমি উদ্ধার করবো। এভাবে ভোর পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করে আহ্বান করতে থাকেন। (ইবনে মাজাহ, হাদীস: ১৩৮৪)।

মধ্য শাবানের নফল রোজা:

রসূলুল্লাহ রসূলুল্লাহ (স.) বলেন: যখন শাবানের মধ্য দিবস আসে, তখন তোমরা রাতে নফল ইবাদাত করো ও দিনে রোজা পালন করো। (সুনানে ইবনে মাজাহ)। এছাড়া প্রতি মাসের তের, চৌদ্দ ও পনের তারিখ আইয়ামে বীজ এর নফল রোজা তো রয়েছেই। যা আদি পিতা হযরত আদম (আ.) পালন করেছিলেন এবং আমাদের প্রিয় নবী (স.) ও পালন করতেন; যা মূলত সুন্নাত। সুতরাং তিনটি রোজা রাখলেও শবে বরাতের রোজা এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। বিখ্যাত মুহাদ্দিস ফকীহ হাফিয ইবনে রজব (র.) বলেন, এ দিনের রোজা আইয়ামে বীয অর্থাৎ চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের রোযার অন্তর্ভুক্ত। (লাতায়িফুল মাআরিফ, পৃষ্ঠা: ১৫১)।
এছাড়া মাসের প্রথম তারিখ, মধ্য তারিখ ও শেষ তারিখ নফল রোজা গুরুত্বপূর্ণ; শবে কদরের রোজা এর আওতায়ও পড়ে। সওমে দাঊদী বা হযরত দাঊদ (আ.) এর পদ্ধতিতে একদিন পর একদিন রোজা পালন করলেও সর্বোপরি প্রতিটি বেজোড় তারিখ রোজা হয়; এবং শবে কদরের রোজা এর শামিল হয়ে যায়। সর্বোপরি রসূলুল্লাহ (স.) রমজান মাসের পর রজব ও শাবান মাসে বেশি নফল নামাজ ও নফল রোজা পালন করতেন; শাবান মাসে কখনো দশটি কখনো পনরটি কখনো বিশটি নফল রোজা কখনো আরো বেশি রাখতেন। এমন কি উম্মুহাতুল মুমিনীন বা মুমিন মাতাগণ বর্ণনা করেছেন, রসূলুল্লাহ (স.) এভাবে নফল রোজা রাখা শুরু করতেন মনে হতো তিনি আর কখনো রোজা ছাড়বেন না। (সহীহ মুসলিম শরীফ)।

শবে বরাত ও হালুয়া রুটি:

শবে বরাতের সাথে হালুয়া রুটির একটি প্রচলন পরিলক্ষিত হয়। হালুয়া আরবী শব্দ, অর্থ হলো মিষ্টি বা মিষ্টান্ন। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিষ্টি পছন্দ করতেন একথা সুবিদিত; তিনি গোস্তও পছন্দ করতেন তাও অবিধিত নয়। যাই হোক শবে বরাত হলো ইবাদাতের রাত, দান খয়রাত করা ও মানুষকে খাওয়ানো এক প্রকার ইবাদাত; তবে এই দিন ও রাতকে হালুয়া রুটিতে পরিণত করে ইবাদাত থেকে গাফেল হওয়া বুদ্ধি মানের কাজ নয়। তেমনি হালুয়া রুটির উপর ফতওয়া প্রদানও প্রজ্ঞা প্রসূত নয়।

শবে বরাতে করণীয় ও বর্জনীয়:

যা যা করা উচিৎ: (ক) নফল নামাজ [১] তাহিয়্যাতুল অজু, [২] দুখূলিল মাসজিদ, [৩] আউওয়াবীন, [৪] তাহজ্জুদ, [৫] ছলাতুত তাসবীহ [৬] তাওবার নামাজ, [৭] ছলাতুল হাজাত, [৮] ছলাতুশ শোকর ও অন্যান্য নফল ইত্যাদি পড়া। (খ) নামাজে কিরাআত ও রুকু সিজদা দীর্ঘ করা। (গ) পরের দিন নফল রোযা রাখা; (ঘ) কুরআন শরীফ [১] সূরা দুখান ও [২] অন্যান্য ফজিলতের সূরাসমূহ তিলাওয়াত করা; (ঙ) দুরূদ শরীফ বেশি বেশি পড়া; (চ) তাওবা ইস্তিগফার অধিক পরিমাণে করা; (ছ) দোয়া কালাম, তাসবীহ তাহলীল, যিকির আযকার ইত্যাদি করা; (জ) কবর যিয়ারত করা; (ঝ) নিজের জন্য, পিতা মাতার জন্য, আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব ও সকল মুমিন মুসলমানের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা।

যা যা করা উচিৎ নয়: (১) আতশবাজী, পটকা ফুটানো, (২) ইবাদাত বন্দিগী বাদ দিয়ে বেহুদা ঘোরাফেরা করা, (৩) অনাকাঙ্খিত আনন্দ উল্লাস করা, (৪) অযথা কথাবার্তা ও বেপরোয়া আচরণ করা, (৫) অন্য কারো ইবাদাতের বা ঘুমের বিঘ্ন ঘটানো, (৭) হালুয়া রুটি বা খাওয়া দাওয়ার পেছনে বেশি সময় নষ্ট করে ইবাদাত থেকে গাফিল থাকা।

 

লেখক: প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি: শেখ ছাদী (রহ.) ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ

E-Mail: smusmangonee@gmail.com, usmangonee9@gmail.com

 

Header Ad
Header Ad

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুক হামলা, নিহত ২৬

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা পেহেলগামে সেনাবাহিনীর ছদ্মবেশে চালানো সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৬ জন পর্যটক। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন দুই বিদেশিও। হামলায় আহত হয়েছেন আরও ১২ জন।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার দিকে বাইসারান উপত্যকার উপরের চারণভূমিতে এই নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটে। প্রত্যন্ত এই এলাকায় ঘোড়া কিংবা পায়ে হেঁটে যেতে হয়। পুলিশ ধারণা করছে, এটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে সংবাদমাধ্যম পিটিআই জানায়, খুব কাছ থেকে গুলি চালানো হয় পর্যটকদের ওপর। মুহূর্তেই সৃষ্টি হয় আতঙ্ক। হতাহতদের চিৎকারে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। হৃদয়বিদারক দৃশ্যগুলোতে দেখা যায়—স্থানীয়রা ছুটে এসে আহতদের সেবা করছেন, অনেক নারী যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন।

নিহতদের মধ্যে একজন ছিলেন কর্নাটকের শিভামোগ্গার এক রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী। ভয়াবহ সেই হামলার সময় স্ত্রী ও সন্তানের সামনেই তাঁকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।

এই হামলা এমন এক সময় ঘটল যখন কাশ্মীরজুড়ে পর্যটন মৌসুম তুঙ্গে। পাশাপাশি ‘আমারনাথ যাত্রা’ উপলক্ষে চলছে পূর্ণ প্রস্তুতি। উল্লেখ্য, এই তীর্থযাত্রার একটি রুটই পেহেলগাম হয়ে ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ।

হামলার পরপরই এক্স-এ (সাবেক টুইটার) ক্ষোভ প্রকাশ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই আরও কঠোর ও নির্ভীক হবে।”

তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ঘটনাস্থলে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং দ্রুত নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য একটি জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানান।

অন্যদিকে দিল্লিতে নিজের বাসভবনে অমিত শাহ উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন গোয়েন্দা ব্যুরোর প্রধান তপন ডেকা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহান।

Header Ad
Header Ad

পালিয়ে গিয়েও থেমে নেই আড্ডা, কলকাতায় দেখা মিলল সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের

পালিয়ে গিয়েও থেমে নেই আড্ডা, কলকাতায় দেখা মিলল সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ঢেউয়ে ভেঙে পড়ে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকার। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর তিনি ভারতের আশ্রয় নেন। তার দেখাদেখি অনেক আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীও আত্মগোপনে চলে যান, কেউ কেউ আশ্রয় নেন পাশের দেশ ভারতে।

এই পালিয়ে যাওয়া নেতাদের অনেকেই বর্তমানে কলকাতায় অবস্থান করছেন। শুধু অবস্থানই নয়—রাজনৈতিক শূন্যতার ভেতরেও তারা উপভোগ করছেন বিলাসী জীবনযাপন। সম্প্রতি কলকাতার এক ঘরোয়া আড্ডায় দেখা গেছে গাজীপুরের বহুল আলোচিত সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে।

সূত্র জানায়, কলকাতার রাজারহাট নিউটাউন, সল্টলেক কিংবা গড়িয়াহাটের মতো অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকছেন পলাতক আওয়ামী নেতারা। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যিনি নিউটাউনের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে আছেন বলে জানা গেছে।

একই এলাকায় থাকছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও। শুধু কেন্দ্রীয় নেতারাই নন, ছাত্রলীগের সাবেক শীর্ষ নেতারাও কলকাতায় বসবাস করছেন। ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান নিউটাউনের অভিজাত এলাকায় ভাড়া করা ফ্ল্যাটে অবস্থান করছেন বলে খবর রয়েছে।

বাংলাদেশে তাদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ ও মামলার তদন্ত চলমান। কিন্তু কলকাতায় যেন সেই সব অভিযোগের ছোঁয়া নেই—চায়ের কাপে রাজনীতি নয়, বরং আড্ডা, বিলাসিতা আর আত্মগোপনের ‘নতুন জীবন’ নিয়েই ব্যস্ত তারা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক শুদ্ধি অভিযান শুরু হওয়ার পর অনেক সাবেক ক্ষমতাধর নেতাই আইনের হাত থেকে বাঁচতে বিদেশে পাড়ি জমান, এবং ভারতের কলকাতা হয়ে উঠেছে তাদের অঘোষিত ‘নিরাপদ আবাসস্থল’।

Header Ad
Header Ad

বাবা হতে যাচ্ছেন নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি

ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি প্রথমবারের মতো বাবা হতে যাচ্ছেন। তবে এ সুখবরটি সামনে এসেছে তার বিবাহবার্ষিকীতে বিশেষ একটি পোস্টের মাধ্যমে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) অমি তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে একটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে স্পষ্ট দেখা যায় তার স্ত্রীর বেবিবাম্প।

ছবির ক্যাপশনে অমি লেখেন, “৯ বছর একসাথে”—এই ছোট্ট বাক্যেই যেন লুকিয়ে আছে তাদের দীর্ঘ পথচলার গল্প এবং নতুন জীবনের সূচনা। ছবিটি ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে। ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ এতে রিঅ্যাক্ট করেছেন এবং মন্তব্যে জানাচ্ছেন শুভ কামনা, অভিনন্দন ও দোয়া।

অমি বলেন, "আলহামদুলিল্লাহ, আমরা একসঙ্গে ৯ বছর কাটিয়ে ফেলেছি। আমাদের প্রথম সন্তান আসছে। এখনো জানি না ছেলে হবে না মেয়ে—ইচ্ছেও করিনি জানতে। শুধু চাই, আমার সন্তান সুস্থভাবে জন্মাক, আর আমার ওয়াইফ সুস্থ থাকুক। দোয়া করবেন সবাই।”

প্রথমবার বাবা হতে যাওয়ার অনুভূতি নিয়ে তিনি বলেন, "এই ফিলিংসটা একেবারেই নতুন। এখনো পুরোপুরি বুঝতে পারছি না। ওয়াইফকে এমন অবস্থায় আগে কখনো দেখিনি। তার প্রতি আমার মায়া যেন আরও বেড়ে গেছে।”

এদিকে পেশাগত দিক থেকেও ভক্তদের জন্য সুখবর দিয়েছেন অমি। জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ফিরছে নতুন সিজন নিয়ে। দুই বছর বিরতির পর নাটকটির পঞ্চম সিজনের কাজ শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন নির্মাতা নিজেই।

সম্প্রতি অমি পরিচালিত ওয়েব ফিল্ম ‘হাউ সুইট’ ঈদুল ফিতরে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গতে মুক্তি পেয়েছে। এতে জিয়াউল হক অপূর্ব, তাসনিয়া ফারিণ ও সাইদুর রহমান পাভেলসহ আরও অনেকেই অভিনয় করেছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুক হামলা, নিহত ২৬
পালিয়ে গিয়েও থেমে নেই আড্ডা, কলকাতায় দেখা মিলল সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের
বাবা হতে যাচ্ছেন নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি
পারভেজ হত্যা মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা গ্রেফতার
সংস্কারের নামে নাটক না করে দ্রুত নির্বাচন দিন: রুমিন ফারহানা
সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করলেন উত্তর সিটির প্রশাসকের উপদেষ্টা ড. আমিনুল
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে কিনা জানালেন আইন উপদেষ্টা
গোবিন্দগঞ্জে ১১ বছর পর আ.লীগের সাবেক এমপিসহ ২২১ জনের বিরুদ্ধে জামায়াতের মামলা
শেখ হাসিনাকে দেয়া ডিগ্রি বাতিলের কথা ভাবছে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়
বিএনপি সবসময় মানবতার পক্ষে কাজ করে: আমিনুল হক
জামিনে মুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের পর্যবেক্ষণে রাখার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
ঢাকায় এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে সেনাবাহিনী
শেখ হাসিনা ও টিউলিপকে দেশে ফেরাতে দুদকের কার্যক্রম শুরু
সাবেক আইজিপি বেনজীরের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের 'রেড নোটিশ' জারি
সংঘর্ষের জেরে সিটি কলেজ দুইদিন বন্ধ ঘোষণা
রাষ্ট্রের বিষয়ে তাড়াহুড়ো নয়, ধীরে সুস্থে আলোচনা করতে চায় বিএনপি
বাংলাদেশ থেকে ৭২৫ সেনা নেবে কাতার
উড্ডয়নের আগে বিমানে আগুন, রক্ষা পেলেন ৩০০ যাত্রী
সায়েন্সল্যাব মোড়ে আগুন জ্বালিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, বন্ধ যান চলাচল
রাজধানী থেকে ওবায়দুল কাদেরের ‘ভাগনে’ গ্রেপ্তার