বিড়াল পোষা কি জায়েজ?
বিড়ালের প্রতি মানুষের মমত্ববোধ প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। তবে ঠিক কবে থেকে বিড়ালকে পোষা প্রাণী হিসেবে রাখার প্রচলন শুরু হয়, তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।
প্রাক-ইসলামি যুগেও বিড়াল পোষা হতো। ইসলামের আবির্ভাবের পরও অনেকে বিড়াল পুষতেন। সবচেয়ে বেশি হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবি হজরত আবু হুরায়রার (রা.) নামই পরিবর্তিত হয়েছে বিড়াল লালন-পালন করাকে কেন্দ্র করে। তার প্রকৃত নাম আবদুর রহমান ইবনে সাখর।
বিড়ালের পিতা বলে ডেকেছেন নবী করিম (সা.)। তিনিও বিশ্ববাসীর কাছে আবু হুরায়রা নামে পরিচিত।
‘আবু হুরায়রা’ (বিড়ালের বাবা) নামটির পেছনে একটি মজার কাহিনী রয়েছে। একদিন হজরত আবু হুরায়রা (রা.) জামার আস্তিনের নিচে একটি বিড়ালছানা নিয়ে হজরত মুহাম্মদের (সা.) দরবারে উপস্থিত হন। সে সময় বিড়ালটি হঠাৎ করে সবার সামনে বেরিয়ে পড়ল। এ অবস্থা দেখে রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে রসিকতা করে, ‘হে বিড়ালের পিতা’ বলে সম্বোধন করেন। এরপর থেকে তিনি ‘আবু হুরায়রা’ নামে খ্যাতি লাভ করেন। আর সেদিন থেকে তিনি নিজেকে ‘আবু হুরায়রা’ নামেই পরিচয় দিতে পছন্দ করতেন।
এ ঘটনা থেকে বোঝা যায়, ইসলামে বিড়াল পালনে বাধা নেই। এমনকি মসজিদে হারাম কিংবা মসজিদে নববিতে অনেক বিড়াল ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। আগত মুসল্লিরাও তাদের পানি-খাবার দিয়ে থাকেন।
অনেকেই জানতে চান, বিড়াল পোষা কি জায়েজ? এর উত্তরে ইসলামি চিন্তাবিদরা বলেছেন, হ্যাঁ, বিড়াল পোষা বৈধ। তবে তাকে কোনো ধরনের কষ্ট দেওয়া যাবে না। বিড়ালকে পর্যাপ্ত খাদ্য-পানীয় সরবরাহ করতে হবে। তার প্রতি যথাযথ দয়া-অনুগ্রহ দেখাতে হবে। শুধু বিড়াল নয় কোনো প্রাণীর উপর অমানবিক নির্যাতন, খাবারের কষ্ট বা অবিচার করলে গোনাহগার হতে হবে।
এসএ/