শেয়ারে বিনিয়োগের জন্য সাতটি প্রয়োজনীয় টিপস
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা একটি ভাল বিনিয়োগ বিকল্প হিসাবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। এটি অনেকের জন্য একটি সুবিধাজনক বিনিয়োগ তাই অনেকেই শেয়ার বাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে থাকেন।
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ অনেকেই একটি বড় ধরনের লাভজনক বিনিয়োগ হিসেবে দেখেন, যদিও সেই সাথে উচ্চ ঝুঁকি ও থাকে। আসুন আগে জানি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের জন্য কি দেখে শেয়ার বাছাই করবো, বিষয়গুলো জানা থাকলে বিনিয়োগ হবে আরও বেশি নিরাপদ।
শেয়ারবাজার হলো বাজার যেখানে শেয়ার কেনা ও বেচা হয়। এর মাধ্যমে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার কেনা ও বেচা করা যায়। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করার কিছু সুবিধা যেমন আছে আবার এখানে বিনিয়োগে কিছু ঝুঁকি ও আছে। তাই এখানে বিনিয়োগ করার আগে আপনাকে জানতে হবে বিনিয়োগের কলাকৌশল। জেনে ও বুঝে বিনিয়োগ না করলে আপনি আপনার বিনিয়োগকৃত অর্থ হারাতে পারেন।
পুঁজিবাজারে অনেক বিনিয়োগ কৌশল রয়েছে, তবে এখানে সাতটি কৌশল তুলে ধরা হলো:
আপনার ঝুঁকি সহনশীলতা বুঝুন: যেকোনো শেয়ারে বিনিয়োগ করার আগে আপনার ঝুঁকি সহনশীলতা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত। এটি আপনাকে ঝুঁকির মাত্রা নির্ধারণ করতে সাহায্য করবে। কোন অবস্থাতে আপনি সামর্থ্যের চেয়ে বেশি বিনিয়োগ করে ঝুঁকি নিবেন না।
মানসম্পন্ন কোম্পানি বেছে নিন: আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং ভালো গ্রোথ আছে এমন শক্তিশালী ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে এমন কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ করুন। প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা, একটি টেকসই ব্যবসায়িক মডেল এবং শক্তিশালী ব্যবস্থাপনা রয়েছে এমন কোম্পানিগুলো খুঁজে বের করুন।
আপনার পোর্টফোলিওকে বৈচিত্র্যময় করুন: আপনার পোর্টফোলিওতে ঝুঁকি কমানোর জন্য বৈচিত্র্যকরণ জরুরি। বিভিন্ন ধরণের শেয়ারে বিনিয়োগ করুন। এটি আপনার ঝুঁকি কমাতে এবং সম্ভাব্য ক্ষতি কমাতে সাহায্য করবে।
দীর্ঘমেয়াদী লাভের দিকে মনোনিবেশ করুন: শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা একটি দীর্ঘমেয়াদী কৌশল হওয়া উচিত। স্বল্প-মেয়াদী দামের ওঠানামাকে গুরুত্ব দেওয়া ঠিক হবে না। আপনি যে কোম্পানিগুলিতে বিনিয়োগ করছেন তাদের দীর্ঘমেয়াদী সম্ভাবনার উপর গুরুত্ব দিন।
মূল্যায়নের উপর নজর রাখুন:
শেয়ার কেনার আগে নিশ্চিত হোন, আপনি যে শেয়ার গুলিতে বিনিয়োগ করছেন তা যুক্তিসঙ্গত 1মূল্যের। মূল্য-থেকে-আয় অনুপাত, মূল্য-থেকে-বিক্রয় অনুপাত এবং যে কোনও শেয়ারের দাম বেশি বা অতিমূল্যায়িত হয়েছে কিনা তা মূল্যায়ন করুন।
একটি সুশৃঙ্খল দৃষ্টিভঙ্গি রাখুন: একটি সুশৃঙ্খল বিনিয়োগ পদ্ধতির মাধ্যমে বিনিয়োগ করুন এবং এটিতে লেগে থাকুন। এটি নির্দিষ্ট বিনিয়োগের মানদণ্ড নির্ধারণ বা নিয়মিত ভিত্তিতে আপনার পোর্টফোলিওর ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করবে। স্বল্পমেয়াদী বাজারের গতিবিধির উপর ভিত্তি করে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া এড়িয়ে চলুন।
শিখতে থাকুন: শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা একটি ধারাবাহিক শেখার প্রক্রিয়া বা কৌশলগত দিক রয়েছে। সর্বশেষ বাজারের অবস্থা , অর্থনৈতিক খবর এবং শিল্প উন্নয়নের সাথে আপ টু ডেট থাকুন। বিভিন্ন বিনিয়োগ কৌশল সম্পর্কে শিখতে থাকুন, এবং সুযোগের জন্য অপেক্ষায় থাকুন।
ডিএসএস/