শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

গৃহযুদ্ধ ও সহিংসতায় মিয়ানমারে জান্তা শাসনের আরও এক বছর

১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার উৎখাতের ২ বছর অতিক্রান্ত হচ্ছে। সামরিক জান্তার ক্ষমতারোহনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের কবর রচনার ফলে দেশটি এক গভীর সংকটকাল পার করছে। দীর্ঘস্থায়ী সংঘর্ষ ও দেশব্যাপী সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় দেশটি এখন তীব্র গৃহযুদ্ধের ময়দানে পরিণত হয়েছে। জান্তাবিরোধী প্রধান শক্তি পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) এবং অন্যান্য জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো আগের চেয়ে আরও বেশি সংগঠিত হওয়ায় দেশটিতে জান্তা শাসকগোষ্ঠী অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারে এনএলডি নেতাদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা, মানবাধিকারের চূড়ান্ত লঙ্ঘন, অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং পাতানো বিচারের মাধ্যমে দন্ড প্রদানের হিড়িক চলছে। সহিংসতা আর গৃহযুদ্ধের দুবছর পেরোলেও সামরিক শাসনের অন্ধকার থেকে বেরোতে মিয়ানমারকে আর কত পথ পাড়ি দিতে হবে তা এখনো অজানাই রয়ে গেছে।

২০২১ সালের ১ জানুয়ারি সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং-এর নেতৃত্বে তাতমাদো নামে পরিচিত মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে তৎকালীন ক্ষমতাসীন এনএলডি সরকারের বিরুদ্ধে একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির ক্ষমতা গ্রহণ করে। ক্ষমতা গ্রহণের সাথেই দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি সহ বেশ কয়েকজন এনএলডি নেতাকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী। এর প্রতিক্রিয়ায় সর্বস্তরের জনগণ রাস্তায় নেমে জান্তার বিরুদ্ধে আন্দালন শুরু করলে তাদের উপর ব্যাপক দমন-পীড়ন চালানো হয়। জান্তা ও রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যেই সক্রিয় হয়ে ওঠে দেশটির বিভিন্ন জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো, যা দেশটিতে গৃহযুদ্ধ অনিবার্য করে তোলে। তাতমাদোর বিরুদ্ধে সামরিক ফ্রন্টে লড়াইয়ের জন্য এনইউজির সশস্ত্র বাহিনী পিপলস ডিফেন্স ফ্রন্ট বা পিডিএফ গঠিত হয়।

তাতমাদোকে মোকাবেলায় ২০২১ সালের এপ্রিলে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতৃত্বের সমন্বয়ে জাতীয় ঐক্য সরকার বা এনইউজি নামে একটি ছায়া সরকার গঠিত হয়। এনইউজি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য পিপলস ডিফেন্স ফোরাম (পিডিএফ) নামে তার সামরিক ফ্রন্ট গঠন করে। এনইউজির আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা ও সামরিক শক্তি বৃদ্ধির ফলে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পিডিএফ এর প্রতিরোধ আরো তীব্র হয়েছে। সেইসাথে যোগ হয়েছে আঞ্চলিক স্বায়ত্বশাসনের দাবিতে বিভিন্ন জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর তীব্র প্রতিরোধ। জান্তা সেনাবাহিনী একইসাথে পিডিএফ ও অন্যান্য জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সম্মিলিত প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়েছে। গত বছর সেনাবাহিনী বিমান হামলা ও আর্টিলারি ব্যবহারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শক্তি প্রদর্শণের পরও দেশটির অধিকাংশ এলাকায় জান্তা সরকারের নিয়ন্ত্রণ কার্যত হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে, মিয়ানমারের মাত্র ১৭ শতাংশ এলাকায় জান্তা সরকারের কার্যকর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

অভ্যুত্থানের পর দুই বছরে যুদ্ধ ও সংঘাত জীবনের সব ক্ষেত্রে মানবাধিকার পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ করে তুলেছে। সামরিক অভ্যুত্থানের পর জান্তার হাতে ২৮৯০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত ৭৬৭ জন রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হেফাজতে থাকাবস্থায় হত্যার শিকার হয়েছে। দুবছরে অন্তত ১৬ হাজার নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংঘাতের কারণে ১.২ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ দেশের অভ্যন্তরে ঘরছাড়া হয়েছে এবং ৭০ হাজার মানুষ সীমান্তের অতিক্রম করে থাইল্যান্ড ও ফিলিপাইনসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা সেনাবাহিনীর এই ধ্বংসযজ্ঞকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতারোধে সামরিক সরকার ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪৩ জনেরও বেশি সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে এবং স্বাধীন সংবাদমাধ্যগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।

রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর থেকে জান্তা সরকার রাজনৈতিক প্রতিরোধ দমনের কৌশল হিসেবে এনএলডি নেতাদেরকে ব্যাপকভাবে গ্রেফতার করে। মিয়ানমারের কয়েক দশকের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কয়েকজন গণতন্ত্রপন্থী নেতাদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০২২ সালের ২৫ জুলাই জান্তা চারজন গণতান্ত্রিক নেতার মৃত্যুদন্ড কার্যকর করেছে। সর্বশেষ গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চি কে ৭ বছরের কারাদন্ড দেয় দেশটির সামরিক আদালত। প্রহসনের বিচারে সর্বমোট ৩৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত সু চি অভ্যুত্থানের দিন থেকেই গৃহবন্দী অবস্থায় আছেন।

রাজনৈতিক পরিস্থিতির সাথে সাথে অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেশটিকে সীমাহীন অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। দেশব্যাপী সংঘাত, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও বিদেশী বিনিয়োগ প্রত্যাহার অর্থনীতিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলেছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনধারণের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। বর্তমানে, মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, যুদ্ধ ও সহিংসতা ব্যবসা-বানিজ্য ও উৎপাদন কার্যক্রমকে ব্যাহত করেছে, যা দেশটির মুদ্রা কিয়াটের দরপতনের মাধ্যমে তীব্র মূল্যস্ফীতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মিয়ানমারের সংঘাত শুধু দেশটির অভ্যন্তরেই প্রভাব ফেলছে না, বরং সীমান্ত পেরিয়ে তা প্রতিবেশীদের আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্যও ঝুঁকি তৈরি করেছে। মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার ভারত, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। একাধিকবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে বান্দরবানের তুমব্রুতে প্রাণহানি ও হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।

মিয়ানমারের অস্থিরতা রোহিঙ্গা সংকটকে আরও জটিল ও প্রলম্বিত করে তুলছে। প্রত্যাবাসন প্রশ্নে জান্তা সরকার বরাবরই ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে আসছে। এছাড়াও রাখাইনে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে ফেরার জন্য নিরাপদ ও টেকসই পরিবেশ তৈরির প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাখাইনের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে তীব্র সংঘাতের ফলে তুমব্রু সীমান্তের শূণ্য রেখায় অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে আশাব্যঞ্জক দিক হলো, এ সবের মধ্যেও ক্ষমতার বাইরে থাকা এনইউজি রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব স্বীকার নিয়ে নিয়েছে। রাখাইনের স্বায়ত্বশাসনের জন্য যুদ্ধরত আরাকান আর্মিও রোহিঙ্গাদেরকে মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

মিয়ানমারে চলমান মানবিক সংকট দুই বছর অতিক্রম করলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পরিস্থিতির উন্নতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে। বৃহৎ শক্তিগুলো তাদের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে জান্তার সাথে সদ্ভাব বজায় রেখে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে চলেছে। মিয়ানমারের দুই প্রতিবেশী ও বৃহৎ দুই আঞ্চলিক শক্তি চীন ও ভারতের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ। তবে গত বছর থেকে মিয়ানমার প্রশ্নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ লক্ষ্যণীয়ভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে । জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন দুই সদস্য রাশিয়া এবং চীন জান্তাকে সমর্থন দেওয়ায় এতকাল উল্লেখযোগ্য কোনো ভূমিকা রাখতে না পারলেও সম্প্রতি নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধে প্রথম রেজ্যুলেশন পাশ করতে সফল হয়েছে। ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা নিধনকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘গণহত্যা’ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সংগ্রামে সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ‘বার্মা অ্যাক্ট’ও পাস করেছে। সামনের দিনগুলোতে মিয়ানমারে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা বাড়বে- এমনটাই ধারণা করছে বিশ্লেষকরা।

মিয়ানমারের চলমান সংঘাতের গতি-প্রকৃতি এটাই ইঙ্গিত করে যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ ছাড়া এর কোনো টেকসই সমাধান এখনই সম্ভব নয়। গণতন্ত্রকে ভূলুন্ঠিত করে নাগরিকদের উপর খড়গহস্ত হয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে দৃষ্টান্ত মিয়ানমার স্থাপন করেছে, তাকে আর দীর্ঘায়িত হতে দেওয়া কোনোভাবেই উচিত নয়। শান্তিপূর্ণ ও গনতান্ত্রিক মিয়ানমার প্রতিষ্ঠার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, ভারত, রাশিয়ার মত শক্তিগুলো এবং জাতিসংঘ ও আসিয়ানের মত জোটগুলোর এখনই এগিয়ে আসা উচিত।

লেখক: আন্তর্জাতিক রাজনীতির গবেষক।

/এএস

Header Ad

অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের

ছবি: সংগৃহীত

গত অক্টোবর মাসে দেশজুড়ে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৩৪টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৮৭৫ জন। এরমধ্যে ৪৫২টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৮১৫ জন। একই সময়ে রেলপথে ৬৩টি দুর্ঘটনায় ৭৬ নিহত, ২৪ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ১৯টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ৩৬ জন আহত এবং ৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

এছাড়া এই সময়ে ১৩৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৩ জন নিহত, ২৩৯ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩০.৫৩ শতাংশ, নিহত ৩৪.৩১ শতাংশ ও আহত ২৯.৩২ শতাংশ।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। সংগঠনটি বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়, আঞ্চলিক, অনলাইন এবং ইলেক্ট্রনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ-পথের সংগঠিত দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৭ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৪৯ চালক, ১৩৭ পথচারী, ৫১ পরিবহন শ্রমিক, ৭৩ শিক্ষার্থী, ১৮ শিক্ষক, ৭৬ নারী, ৬২ শিশু, ৫ চিকিৎসক, ৯ সাংবাদিক এবং ১৩ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছে ৬ জন পুলিশ সদস্য, ৩ সেনা সদস্য, ১ আনসার সদস্য, ১২৪ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ১১৭ জন পথচারী, ৫৮ জন নারী, ৫১ জন শিশু, ৪৯ জন শিক্ষার্থী, ৩২ জন পরিবহন শ্রমিক, ১৫ জন শিক্ষক, ৪ জন চিকিৎসক, ৬ জন সাংবাদিক, ১৬ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৬৩১টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৪.৪১ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২২.৫০ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৮.৫৪ শতাংশ বাস, ১৭.৯১ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৩.৯৬ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৬.৬৫ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬.০২ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪৯.৪৮ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৫.২৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৪.৭৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৯.৫১ শতাংশ বিবিধ কারণে, ০.২৫ শতাংশ ট্রেন যাববাহনে সংঘর্ষ। এবং চাকায় ওড়না পেছিয়ে ০.৭৫ শতাংশ।

সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— দেশের সড়ক-মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশের অনুপস্থিতি সুযোগে আইন লঙ্ঘন করে যানবাহনের অবাধ চলাচল; জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় এবং অতি বৃষ্টির কারণে সড়কের মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়া; এসব গর্তের কারণে যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি বেড়েছে; জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টানিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালকের এসব সড়কে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে; মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাদাঁবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালক অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানোকে।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশ হিসেবে বলা হয়েছে— জরুরি ভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মত ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা; জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা; দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান; ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা; মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা; সড়ক পরিবহন আইন যথাযতভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা; উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেফটি অডিট করা; মেয়াদোত্তীর্ণ গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবৎ ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্যাপ করার উদ্যোগ নেওয়া এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক-মহাসড়ক দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা।

Header Ad

গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব

ছবি: সংগৃহীত

আর মাত্র তিন পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের গায়ানায় পর্দা উঠবে গ্লোবাল সুপার লিগের প্রথম আসরের। বৈশ্বিক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলোর চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে উইন্ডিজ ক্রিকেট আয়োজন করছে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগ, আর এই টুর্নামেন্টের জন্য তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিবকে দলে ভিড়িয়েছে স্বাগতিক গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন এই টাইগার পেসার।

এর আগে বাংলাদেশ সময় বুধবার দুপুরে ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন সাকিব। এরপর গায়ানায় সাকিবকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় ফ্যাঞ্চাইজিটি। নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্ট করে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে গ্লোবাল সুপার লিগ কতৃপক্ষ।

চোটের কারণে এই আসরে সাকিবের খেলা নিয়ে এতদিন অনিশ্চয়তায় ভুগছিলেন সাকিব। কিন্তু গত সোমবার ফিটনেস টেস্ট দিয়ে সেই অনিশ্চিয়তা দূর করেছেন তিনি। যার ফলে বিসিবির কাছ থেকে এই লিগে খেলার অনুমতি পান সাকিব।

রংপুর রাইডার্স ও গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সসহ টুর্নামেন্টটিতে অংশ নেবে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) লাহোর কালান্দার্স, ইংল্যান্ডের হ্যাম্পশায়ার ও অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেলা ভিক্টোরিয়ান ক্রিকেট দল।

টুর্নামেন্টটির প্রথম রাউন্ডে প্রতিটি দলই একে অপরের মুখোমুখি হবে। পাঁচ দলের মধ্য থেকে চার দল যাবে সেমিফাইনালে। এরপর আগামী ৭ ডিসেম্বর হবে টুর্নামেন্টের ফাইনাল।

Header Ad

আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার

ছবি: সংগৃহীত

আর মাত্র ২৪ ঘন্টার অপেক্ষা তারপর আগামীকাল রোববার (২৪ নভেম্বর) সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত হবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মেগা নিলাম। তবে সেই নিলামের আগেই বড় দুঃসংবাদ পেলেন ভারতীয় দুই ক্রিকেটার মানীশ পান্ডে ও সৃজিত কৃষ্ণ। সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের কারণে নিষিদ্ধ হয়েছেন তারা।এছাড়াও সন্দেহজনকের তালিকায় রাখা হয়েছে আরও তিনজন ক্রিকেটার।

নিষিদ্ধ হওয়া দুই ক্রিকেটার হলেন- মনীশ পান্ডে এবং সৃজিত কৃষ্ণ। দুজনই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার এবং আইপিএলে পরিচিত মুখ। যদিও তারা ব্যাটার হিসেবে খেলতে পারবেন, তবু এই নিষেধাজ্ঞা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করবে।

এছাড়া সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের তালিকায় থাকা অন্যরা হলেন- দীপক হুদা, সৌরভ দুবে এবং কেসি কারিয়াপ্পা। যদিও এই ৫ ক্রিকেটারের কাউকেই দল রিটেইন করেনি। তবে নিলাম থেকে তাদের দল পাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু বিসিসিআইয়ের এমন খবর জানার পর দলগুলো তাদের দলে ভেড়াতে নিশ্চয় ভাববে।

আইপিএলের মতো বড় টুর্নামেন্টে এমন বিষয়গুলো খেলোয়াড়দের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশন সংশোধন করা হলে তারা আবার ফিরে আসতে পারবেন। তবে দলগুলোর দৃষ্টিকোণ থেকে, এই নিষেধাজ্ঞা এবং সন্দেহ তাদের নিলামে প্রাধান্য হারানোর কারণ হতে পারে।

এদিকে, গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতীয় বোর্ড জানিয়েছে, আগামী বছর আইপিএল শুরু ১৪ মার্চ থেকে। জানিয়ে দেয়া হয়েছে ফাইনালের দিনও। আসন্ন আইপিএলের ফাইনাল হবে ২৫ মে। শুধু আগামী বছরের নয়, ২০২৭ পর্যন্ত আইপিএলের শুরু এবং ফাইনালের দিন জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২