রেকর্ড ১ লাখ ৬৫ হাজার কর্মী নেবে দক্ষিণ কোরিয়া
কর্মী নেবে দক্ষিণ কোরিয়া। ছবি: সংগৃহীত
দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মসংস্থান ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের জানিয়েছে, আগামী বছর প্রায় ১ লাখ ৬৫ হাজার বিদেশি শ্রমিক নিবে দেশটি। দক্ষিণ কোরিয়ান সংবাদ মাধ্যম দি কোরিয়ান ইকোনমিক ডেইলি দেশটির কর্মসংস্থান ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানায়, দেশীয় শিল্পে ক্রমবর্ধমান শ্রমিকের ঘাটতি মোকাবিলায় দক্ষিণ কোরিয়া আগামী বছর বিভিন্ন দেশ থেকে কর্মী নিতে এ ভিসা দিবে।
সংবাদ মাধ্যম জানায়, দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের অনুরোধের প্রেক্ষিতে সরকার এমন পদক্ষেপ নিয়েছ। এ লক্ষ্যে ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি নতুন এক লাখ ৬৫ হাজার কর্মী নেবে দেশটি।
জানা যায়, সরকারের পক্ষ থেকে অপেশাদার কর্মীদের জন্য ই-৯ ভিসা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০০৪ সালে থেকে দেশটি ছোট এবং মাঝারি আকারের উদ্যোক্তাদের কর্মীর চাহিদা পূরণে এ ভিসা দিয়ে আসছে। যেসব খাতে কর্মী নিয়োগ করা হবে তার মধ্যে উৎপাদন শিল্পে ৯৫০০০ জন,কৃষি খাতে ১৬০০০ জন, নির্মাণ শিল্পে ৬০০০ জন, মৎস্য খাতে ১০০০০ জন,জাহাজ শিল্পে ৫০০০ জন, সেবা খাতে ১৩০০০ জন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী ২০০০০ জনসহ সর্বমোট ১ লাখ ৬৫ হাজার কর্মী নিয়োগ করা হবে নতুন বছরে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট অফিসে গত ২১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সভায় জানায়, ১৬টি দেশের শ্রমিকদের জন্য অভিবাসী শ্রম নীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠকে ২০২৪ সালে কোরিয়াতে অভিবাসী শ্রমিকের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরকারের নীতি সমন্বয়ের অফিসের মন্ত্রী ব্যাং কি-সান জানান, "পরের বছর ই-৯ ভিসা ইস্যু বৃদ্ধির ফলে স্থানীয় কর্মীরা যেসব চাকরি ছেড়ে দিয়েছে বা শূন্যপদগুলো পূরণ হচ্ছে না, ওই সব পদে নতুন কর্মীরা সুযোগ পাবে"।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কোরিয়া শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, ই-৯ ভিসার মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়াতে অভিবাসী শ্রমিকদের কোটা প্রতিবছর বৃদ্ধি করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালে ৫২০০০, ২০২২ সালে ৬৯ হাজার এবং সর্বশেষ ২০২৩ সালে ১ লাখ ২০ হাজার জন কর্মী প্রবেশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়াতে। ২০২৪ সাল থেকে ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ ৬৫ হাজার রেকর্ড সংখ্যক কোটার মাধ্যমে কর্মীরা দক্ষিণ কোরিয়াতে যে সমস্ত নতুন অন্তর্ভুক্ত সেক্টরে চাকরি করতে পারবেন তার মধ্যে রেস্টুরেন্ট সেক্টর, কফিশপ, কনস্ট্রাকশন সেক্টর,সেবা খাত সহ বিভিন্ন ধরনের লজিস্টিক সাপোর্ট সেক্টর সমূহ উল্লেখযোগ্য।