শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সাক্ষাৎকার

আমার চেতনার উন্মেষ আমার জন্মভূমি বাংলাদেশে: শেখ সাদী আহমেদ

বাংলাভাষা ও বাংলা সাহিত্যের মূলস্রোতকে কানাডার পরিমণ্ডলে সঠিক সম্প্রসারণের অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়ে একজন অমায়িক, উদ্যোমী ব্যাক্তিত্ব বাংলাদেশি কানাডিয়ান শেখ সাদী আহমেদ। ২০০৩ সালে কানাডার টরেন্টো শহরে প্রথম বাংলা বইয়ের ঐতিহ্যবাহী দোকান ‘অন্যমেলার’ প্রতিষ্ঠা করেন।

‘অন্যমেলা’ টরেন্টোর বাংলা টাউন রূপে জনপ্রিয় ২৯৮৬ ডানফোর্থ সড়কে অবস্থিত। এরই ধারাবাহিকতায় শেখ সাদী আহমেদের সফল নেতৃত্ব ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কানাডার ‘টরন্টো বাংলা বই মেলার’ যাত্রা শুরু হয় ২০০৭ সাল হতে । এই বছর আগামী ৬ ও ৭ অগাস্টে অনুষ্ঠিত হবে টরেন্টো বাংলা বইমেলা l আর এর মাধ্যম ঐতিহ্যবাহী টরেন্টো বাংলা বই মেলা পদার্পণ করবে ষোল বছরে l বর্তমানে টরেন্টো বই মেলা শুধুমাত্র কানাডার বাংলাদেশি লেখক ও বাংলাদেশের প্রকাশক, লেখকদের নয় বরং একইসঙ্গে বহুজাতিক সংষ্কৃতির প্রতি উদার কানাডার অভিবাসী, লেখকসহ সাধারণ মানুষের ভাব ও সংষ্কৃতির আদান প্রদানের একটি সফল জনপ্রিয় বার্ষিক মিলন মেলা আর উৎসবে পরিণত হয়েছে। এইভাবে টরেন্টো বাংলা বই মেলা বাঙালি বাংলা সাহিত্যের মূলস্রোতের বিকাশের অঙ্গীকারে সাংষ্কৃতিক সত্তার এক সফল প্রতিফলন রূপে বাংলাদেশি কানাডিয়ানদের জীবনে ভূমিকা রেখে আসছে। টরেন্টো বই মেলার স্থপতি ও মূল রূপকার, আয়োজক নিবেদিত প্রাণ বাংলাদেশি কানাডিয়ান শেখ সাদী আহমেদ বাংলাদেশের দেশাত্মবোধে লালিত সাহিত্য ও বইপ্রেমী মানুষ l বাংলার আবহমান সাহিত্য সংষ্কৃতির সঠিক বিকাশের প্রতি অবিচল শেখ সাদী আহমেদের নিরলস নেতৃত্বে আর প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ বাংলা বইমেলা কানাডার পরিমণ্ডলে সৃষ্টি করেছে এক অনন্য স্বতন্ত্র ঐতিহ্য বহুমুখী প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও পাড়ি দিয়েছে দীর্ঘ সফল পথ পরিক্রমা। টরেন্টো বাংলা বইমেলা বাংলাদেশের অমর একুশে ফেব্রুয়ারির বই মেলা অনুষ্ঠিত হবার পর আমাদের ১৯৫২ সালের মহান রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের ও মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের আবহের ধারাবাহিকতায় অনুষ্ঠিত হয়।ঢাকাপ্রকাশ-এর সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে শেখ সাদী আহমেদ আলোকপাত করলেন টরন্টো বাংলা বইমেলা বিষয়ক বিভিন্ন তাৎপর্যপূর্ণ কয়েকটি দিক ।

ঢাকাপ্রকাশ: আসসালামু ওয়ালাইকুম। কোন দর্শন ও বিশেষ আদর্শ থেকে কানাডায় প্রবাস জীবনে বাংলা বইয়ের বিকাশ নিয়ে কাজ করেছেন আর এক্ষেত্রে আপনার কোন সুনির্দিষ্ট চিন্তাকে প্রাধান্য দিয়েছেন?

শেখ সাদী আহমেদ: ওয়ালাইকুম আসসালাম l জীবন সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি তা সে পার্থিব কিংবা অপার্থিব যাই হোক না কেন তা হলদর্শন এর মুল বিষয। আর প্রতিটি মানু্য তার চিন্তাচেতনায় বা যেকোনো ক্ষেত্র বিশেষে গভীর উপলব্ধি ধারণ ও বহন করে। এই বহমানতাই তার পরিচয় ও কার্যক্ষেত্র। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়েছে পৃথিবীর যে অঞ্চলেই আমরা বসবাস করি না কেন বাঙালির য়ে আবহমান কৃ্ষ্টি, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি রয়েছে তা অন্যান্য জন এবং নব প্রজন্মের মধ্যে তুলে ধরা; আর এর জন্য প্রয়োজন ভালো বই । আর এ কারণেই বাংলা বইয়ের প্রাধান্য। মেধা ও মনন বিকাশের ক্ষেত্রে মাতৃভাষার চর্চা প্রয়োজন। বই হলো সেই চর্চার অন্যতম সেরা মাধ্যম।

ঢাকাপ্রকাশ: টরেন্টোর বাংলা বই মেলা আয়োজনে কী মাত্রার প্রতিবন্ধকতার সন্মূখীন হয়েছেন ও হচ্ছেন ? প্রতি বছরের এই বই মেলায় সাধারণত কেমন সাড়া মিলছে সেই দিকটা কিছুটা আলোকপাত করবেন কি?

শেখ সাদী আহমেদ: যেকোনো বৃহৎ ও মহৎ কাজ করতে গেলে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা আসে।সেটা স্বাভাবিক। তবে বাংলা বইমেলার মতো অতি উচ্চমার্গের একটি আয়োজন করতে বিশেষত অভিবাসী জীবনে প্রতিকূল পরিবেশ; আর্থিক সংকট এবং এ কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরিকল্পনা মোতাবেক বই মেলা করা হয়ে উঠে না। এ ছাড়াও ব্যক্তিগত আভিজাত্যের আত্মাভিমান ও অনেকেরই নির্লিপ্তার কারণ একটি প্রতিবন্ধকতা। প্রতি বৎসর অভিবাসীর সংখ্যা বৃদ্ধি, প্রজন্মের অধিকতর অংশ গ্রহণ বাংলাদেশ থেকে নিরবচ্ছিন্ন বাংলাদেশের স্বনাম খ্যাত প্রকাশকরা যেমন সময়, কথাপ্রকাশ, অনন্যা, অংকুরসহ অন্যান্য প্রকাশকদের অংশ গ্রহন তথা তাদের বিপুল বই সম্ভার অভিবাসী ও প্রজন্মের মধ্যে ব্যপক উৎসাহ উদ্দীপনা এবং আগ্রহ তৈরি করেছে। এ ছাড়া, বাংলা একাডেমিসহ বাংলাদেশের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বরেণ্য ব্যক্তিত্ব টরেন্টো বাংলা বই মেলায় অংশ গ্রহণ করে উৎসাহিত করে গেছেন । একইসঙ্গে স্থানীয় অভিবাসী লেখক, কবি ,শিল্পী, সাহিত্যিকরা তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েবই মেলাকে আরও বেগবান করেছেন ।

ঢাকাপ্রকাশ: টরেন্টো বাংলা বইমেলা সম্পর্কে আপনার অভিমত কী?

শেখ সাদী আহমেদ: টরন্টো বাংলা বইমেলা কানাডার বাংলাদেশিদের একটি বড় অনুষ্ঠান । ১৫তম টরন্টো বাংলা বই মেলা উদ্বোধন কালেবাংলাদেশের বরেণ্য ব্যক্তিত্ব কবি আসাদ চৌধুরী বলেছেন, টরন্টোর একটি বিশেষ উৎসব এই বইমেলা । এক অর্থে কানাডার এক বড় উৎসব । এই অর্থে সর্ব সাধারণের অভিপ্রায় তার কন্ঠে উচ্চারিত। টরন্টো বাংলা বইমেলা বিগত ২০০৭ সাল থেকে শুরু হয়ে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে চলে এ বছর ২০২২ এ ১৬ বৎসরে পদার্পণ করচ্ছে।

ঢাকাপ্রকাশ: আমরা জানি কানাডায় বাংলা বইয়ের বিকাশে ও বইমেলা বিষয়ক আপনার অবদান অনন্য ।সেই প্রেক্ষিত হতে আপনার মতামত কি?

শেখ সাদী আহমেদ: কানাডা বহু সাংস্কৃতিক দেশ হিসেবে পরিচিত এবং এখানে অভিবাসী সকল জাতী, গোষ্ঠী, সম্প্রদায়, এর আপন সংস্কৃতি চর্চা কেসন্মান ও উৎসাহ প্রদান এবং পৃষ্ঠপোষকতা করা হয় রাষ্ট্রীয়ভাবে। বাংলাদেশি তথা বাঙালি হিসেবে আমার মনে হয়েছে আমাদের জাতীয় জীবনের অনেক কিছু এখানে পালনের চেষ্টা করি এবং পালন করি। সেই হিসেবে আমাদের একটি জাতীয় অনুষ্ঠান বইমেলা । যার সঙ্গে আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, এমনকি জাতীয় সত্ত্বা জড়িত। সে রকম একটি জাতীয় বিষয়ের সঙ্গে নিজেকে জড়িত করতে পেরে স্বস্তি অনুভব করি প্রতিনিয়ত। দেখুন কানাডা আমার মাতৃভূমি নয় বাসভূমি। জীবনের অধের্ক সময় এখানে অতিবাহিত করেছি; এই দেশের এই সমাজের অংশ হিসেবে। তবু আমার মানস গঠন, আমার চেতনার উন্মেষ আমার জন্মভূমি বাংলাদেশে। সে দেশের মাটি, আকাশ, বাতাস থেকে বয়োপ্রপ্তি ও স্থিতি লাভ করেছি। এর জন্য আমাকে অতি অবশ্যই সতত মাতৃভৃমি র সেবা ও পরিচর্যা করে যেতে হবে। তা যেকোনো উপায়ে হোক না কেন। আর এটি আমার ব্যক্তিগত অভিমত।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন বিষয়ক কিছুটা ধারণা দিবেন কি?

শেখ সাদী আহমেদ: আমি ও আমার স্ত্রী বাংলাদেশের স্নাতকোত্তর এবং বাংলাদেশে প্রথম শ্রেণির সরকারি চাকরিজীবী ছিলাম। আমার এক কন্যা কানাডায় লেখা-পড়া শেষে কানাডার প্রাদেশিক সরকার এর অধীনে চাকরিরত।

ঢাকাপ্রকাশ: আন্তরিক ধন্যবাদ শেখ সাদী আহমেদ ভাই আপনার গুরত্বপূর্ণ সময় হতে কিছুটা দেবার জন্য l

শেখ সাদী আহমেদ: আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ। 

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত