৬৯’র গণ-অভ্যুত্থান ইতিহাসে তাৎপর্যপূর্ণ: বাংলাদেশ ন্যাপ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান এক তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাপ।
চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলন, বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা, পরবর্তীকালে ১১ দফা ও ৬৯’র গণ-অভ্যুত্থানের পথ বেয়েই রক্তাক্ত সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি অর্জন করে মহান স্বাধীনতা।
অপশাসন, শোষণ ও দুর্নীতি-দুবৃর্ত্তায়নের বিরুদ্ধে সংগ্রামে তাই ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান আজও দেশের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) ‘ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে গনমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, ১৯৬৯'র গণ-অভ্যুত্থান শহীদ আসাদ ও শহীদ মতিউরের স্বপ্নের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ১৯৬৯ এ শহীদ আসাদ আর শহীদ মতিউরের রক্তের পথ ধরেই স্বৈরাচারের পতন হয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন স্বাধীনতা আন্দোলনে রূপ নেয়।
দেশের সকল শাসকগোষ্টি গণতান্ত্রিক চেতনার সাথে সকল সময়ই বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে, এখনো করছে। শাসকগোষ্ঠী দেশ ও জনগণের স্বার্থ রক্ষার চাইতে নিজেদের রক্ষায় ব্যস্ত।
নেতৃদ্বয় বলেন, শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকা ও ক্ষমতায় যাবার লড়াইয়ে দেশের জনগন আজ দিশেহারা। আর বর্তমান শাসকগোষ্ঠী প্রতিনিয়ত শুধু উন্নয়নের গল্প শোনাচ্ছে। অথচ উন্নয়নের জোয়ারে আজ নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন।
ফলে সাধারণ মানুষের জীবন আজ দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে তা তারা উপলব্ধি করছে না। শাসকগোষ্ঠী ভুলে গেছে গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন টেকসই হয় না। সরকারের কোনো ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ নেই। সর্বক্ষেত্রে অরাজকতা ও দুর্নীতি।
তারা আরও বলেন, বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। তাদের ইঙ্গিতেই দেশের রাজনীতি অদৃশ্য শক্তি নিয়ন্ত্রণ করছে। জনগণের অধিকার হরণ করা হয়েছে। ইতিহাস বলে রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ যখন অরাজনৈতিকদের হাতে নিয়ন্ত্রণ হয় তখন দেশে বিপর্যয় আসতে বাধ্য।
নেতৃদ্বয় বলেন, ৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানের চেতনায় দুর্নীতি-দুবৃর্ত্তায়নসহ সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলনের সূচনা করতে হবে। শহীদ আসাদ, শহীদ মতিউরের প্রদর্শিত পথে দেশের জনগনকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এমএইচ/এমএমএ/